স্টাফ রিপোর্টার ঃ
যুক্তরাষ্ট্রে পক্ষকাল কাটানোর পর সোমবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনে আসেন শেখ হাসিনা। লন্ডনে নির্ধারিত হোটেলে সামনে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অবস্থান নেয় ব্রিটেনের বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক হাজার হাজার নেতা কর্মী। হাতে কালো পতাকা ও মাথায় কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ-শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে দ্য স্যাভয় হোটেলের সামনের সড়ক।
গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ, গুম, খুন, হত্যা, লুটপাট এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শনে সমবেত হন বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক নেতাকর্মীরা। এসময় নো মোর হাসিনা, গো ব্যাক হাসিনা, স্টপ কিলিং, সেভ বাংলাদেশ, রিস্টোর ডেমোক্রেসি ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত ব্যনার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন বিক্ষোভকারীরা। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি জনসমাগম ঘটে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইউরোপ ও লন্ডনের বিএনপির কয়েক হাজার নেতা -কর্মীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিএনপি ও জামায়াতের নেতা কর্মীরা হাসিনা যে হোটেলে অবস্থান করছে সেটা ঘেরাও করে রেখেছে ।
বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অবৈধ এই প্রধানমন্ত্রীকে পৃথিবীর যেখানে দেখবেন, দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের কাছে অনুরোধ, তাকে ঘেরাও করে রাখবেন। আমিও থাকবো আপনাদের সাথে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা বলেন , অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহন করায় শেখ হাসিনাকে আমরা বাংলাদেশীরা যেখানেই পাবো সেখানেই কালো পতাকা প্রদর্শন করবো। সারা দেশে হত্যা .গুম , খুনের জন্য তার বিচার দাবী করছে আমরা ।
পাশাপাশি সাধারন সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ বলেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের টাকা খরছ করে বিশাল বহর নিয়ে লন্ডনে এত দামি হোটেলে থেকে বাংলাদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশের বৈধ টাকা খরছ করার অধিকার তার নাই।
বিএনপি কেন্দ্রিয় সংসদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান বলেন, এই অবৈধ সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে, আপনারা সবাই তৈরি থাকুন। ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বাকশালি অপশাসন থেকে মুক্ত করবই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করলেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জামােয়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের মধ্যে অংশ নেন সাবেক শিবির নেতা ও সাংবাদিক মাহবুব আলী খানশূর, শিবির নেতা মোঃ সুয়াইবুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী ফরিদুল ইসলাম, সাবেক জামােয়াতে ইসলামীর নেতা মুহিবুল্লাহ ও শহিদুল ইসলাম, সাবেক শিবির নেতা মোঃ আব্দুল মুকিত রাজিব প্রমুখ
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, , বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, ইস্টলন্ডন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ( আবুল হোসেন ), মোঃ হাসনাইন, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক নূরুউদ্দিন ( লুৎফর), মোঃ জোবায়ের ইসলাম শিশির, এসিসটেন্ট সেক্রেটারী নূরুউদ্দিন ( লুৎফর), তৈমুছ আলী, গোলাম রব্বানী শহিদুল ইসলাম মামুন, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম ওমর পারভেজ, , আবদুর রহিম, লাকি আহমেদ , ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, সাবেক ছাত্রনেতা আনোয়ার পারভেজ তালুকদার,তাজ উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, খসরুজ্জামান খসরু, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, শামসুর রহমান মাহতাব, দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, লন্ডন মহানগর যুবদলের যুব বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান , ছাত্রশিবির নেতা নউশিন মোস্তারী মিয়া সাহেব, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ রাকিব হাসান, মোহাম্মদ আব্দুল গনি, মোঃ আব্দুস সামাদ, মোঃ মহিন উদ্দিন, আব্দুল আলীম, আজির উদ্দিন , স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক লাকি আহমেদ, আবদুর রহিম, মো. জোবায়ের ইসলাম শিশির প্রমুখ।
ফেরদৌস আলম, আইনজীবী ফোরাম নেতা এডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহীল রাব্বি, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আলমগীর শেখ, আলহাজ সাদিক মিয়া, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, আশরাফুল ইসলাম হীরা, রহিম উদ্দিন, নাসির আহমদ শাহীন, আমিনুর রহমান আকরাম, আব্দুল হামিদ খান হেভেন, তাজবির চৌধুরী শিমুল, আফজল হোসেন, আবু নাসের, সেলিম আহমেদ,সরফরাজ আহমদে সরফু,যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. আব্বাস উল্লাহ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, বাবুল আহমেদ চৌধুরী, কামাল চৌধুরী, এ জে লিমন, হেলাল উদ্দিন, আরিফ মাহফুজ, শিশু মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, মোঃ ফয়জুল হক, বশির মিয়া, আব্দুল হাই, মিসবাহ উদ্দিন, হারুন মিয়া, আসাদুজ্জামান আহমেদ, সিনিয়র নেতা আবদুল কাদির নাজিম,মাহবুব আহমেদ নোমান, হাসান আহমেদ, মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ, আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুর রব, কদর উদ্দিন, আব্দুল গাফফার, খালেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ জামিল চৌধুরী, সোহেল আহমদ, কাওছার আহমেদ, আবু তাহের, জামাল উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, আরিফুল হক, রুবেল, মোঃ জিয়াউর রহমান, নজরুল ইসলাম মাসুক, মোঃ সেলিম মাহমুদ, শফিক মিয়া, মোঃ মাকসুদুল হক, এডভোকেট শেখ তারেকুল ইসলাম, সৈয়দ জিয়াউর রহমান জিয়া, সৈয়দ আকবর, সৈয়দ আতাউর রহমান সিহাব আহমেদ, জয়নাল আবেদিন, মোঃ মহসিন আহমেদ, আবু নোমান, সুয়াইবুর রহমান, মিছবাহ উদ্দিন, মোঃ ওমর গনি, ফখরুল ইসলাম, রেজাউর রহমান চৌধুরী রাজু, রায়হান চৌধুরী, মোমিনুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, মাহবুবুর রহমান, আব্দুল বারী, আব্দুল হামিদ, কামাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন রুবেল, মাকসুদুর রহমান, মাওলানা শামিম আহমেদ, কয়েস আহমেদ, মিসবাহ বিএস চৌধুরী, আবুল হোসেন, শেখ মো:সাদেক, ডালিয়া লাকুরিয়া,আব্দুল হক রাজ, দেওয়ান আব্দুল বাছিত, আকতার হোসাইন শাহিন, বাবর চৌধুরী, শাহজাহান হোসাইন শেনাজ, নুরুল আলী, মোজাহিদুল ইসলাম সুমন, শাহেদ আহমেদ, সুয়েদুল হাসান, শাকিল আহমেদ, শরিফুল ইসলাম,তুরনমিয়াআজির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, ফিরোজ আলম,মোফসল আলী, তরিকুর রশিদ চৌধুরী শওকত, বদরুল ইসলাম, আব্দুল মোতালিব লিটন, মোঃ সফিউল ইসলাম মুরাদ, সোহেল শরিফ মোঃ করিম, রেজাউল করিম রিকি, ফুয়াদ আহমেদ, হুমায়ূন কবির হিমু, মনির আহমেদ, রেজান জামান প্রমুখ।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩শ’ প্রতিনিধির একটি বিশাল বহর নিয়ে নিউইয়র্কের পথে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।