ইউএস–বাংলা (বিএস-২১১) ফ্লাইটটির অবতরণ ঠিক ছিল না বলে দাবি করেছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজকুমার ছত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন ভাই প্লেনটিতে ছিলেন, তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, “প্লেনটি বাম্পিং করছিল। ল্যান্ড করার আগেই আমরা কাঁদতে শুরু করি বাঁচাও বাঁচাও বলে।” এ ছাড়া কন্ট্রোল প্যানেল এবং অনেকেই আমাকে বলেছে ইট ওয়াজ নট নরমাল ল্যান্ডিং।’
গত সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস বাংলার বিএস-২১১ ফ্লাইট। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন। আহত হয়েছেন ২০ জন। দুর্ঘটনার বিষয়ে আজ শুক্রবার কাঠমান্ডুতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজকুমার ছত্রী। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্ঘটনার পর টাওয়ারের একটি অডিও লিক হয়েছে, যেখানে পাইলটকে শেষ মুহূর্তে বলা হয়েছে এটা আপনার রানওয়ে না, রানওয়ে বদলান, সেটার কারণে কী পাইলট রানওয়ে পাল্টাতে চাচ্ছিলেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাজকুমার ছত্রী বলেন, ‘ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ৯০ ভাগ বিমান দক্ষিণ থেকে অবতরণ করে। ইউএস বাংলাকেও দক্ষিণ থেকে অবতরণ করতে বলা হয়। যখন পাইলট দক্ষিণ থেকে ল্যান্ড না করে দক্ষিণ পার হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কন্ট্রোলার বলেন, আপনাকে তো ০২ বলেছিলাম, কেন আপনি ২০–তে আসছেন, এটা তো উত্তর। তখন পাইলট বলেছেন, আমরা ২০-ই ব্যবহার করব। তখন কন্ট্রোল প্যানেল থেকে পাইলটকে পূর্বে অপেক্ষা করতে বলা হয়।…একটা বিষয় হচ্ছে সব সময় শেষ সিদ্ধান্ত পাইলটের। নির্দেশনা পাইলটের ওপর নির্ভর করে।’
এ সময় সাংবাদিকেরা ছত্রীর কাছে জানতে চান, উড়োজাহাজ নিচে নামার পর যদি রানওয়ে পাল্টাতে বলা হয়, তখন পাইলটের কী কিছু করার থাকে কি না? তিনি বলেন, না কিছু করার থাকে না।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের ত্রুটি ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ছত্রী বলেন, ‘সেটা আমরা অস্বীকার করছি না, স্বীকারও করছি না। আমাদের উচ্চপর্যায়ের তদন্তকারী দল কাজ করছে।’
দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় কোনো ত্রুটি ছিল না জানিয়ে রাজকুমার ছত্রী বলেন, দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানে কোনো ত্রুটি হয়নি। প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল কাউকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হবে না। তবে উদ্ধারকারীদের দক্ষতায় জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়।