asianbangla.com

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

    What's Hot

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    October 18, 2024

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024
    Facebook Twitter Instagram
    Trending
    • রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত
    • দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন
    • আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা
    • করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ
    • ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই : ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনাল 
    • লন্ডনে রাইটস অফ দ্যা পিপলস এর ভারতীয় হাইকিমশন ঘেরাও কর্মসূচি
    • লণ্ডনে জিবিএএইচআর এর ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ
    • বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণমানুষকে সোচ্চার হতে হবে
    Facebook Twitter Instagram
    asianbangla.comasianbangla.com
    Demo
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • বিশ্ব
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • কূটনীতি
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • সংস্কৃতি
    • উচ্চশিক্ষা
    • প্রবাস
    • মানবাধিকার
    • মতামত
    • সারা বাংলা
      • ঢাকা
      • চট্টগ্রাম
      • রাজশাহী
      • খুলনা
      • বরিশাল
      • ময়মনসিংহ
      • রংপুর
      • সিলেট
    asianbangla.com
    Home»প্রধান সংবাদ»ট্রাম্পের মুসলিম ফোবিয়া
    প্রধান সংবাদ

    ট্রাম্পের মুসলিম ফোবিয়া

    By এশিয়ান বাংলাMarch 17, 2018No Comments0 Views
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    পিউ রিসার্চ সেন্টার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনমত জরিপ পরিচালনাকারী একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বের বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে জনমত জরিপ পরিচালনা এবং গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করাই তাদের মূল কাজ। পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্তকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টার একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে- যা কিছুটা অবাক হওয়ার মতোই। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের জনসংখ্যার তুলনায় দ্রুত বর্ধনশীল একমাত্র ধর্মবিশ্বাস হচ্ছে ইসলাম। ২০৭০ সালের মধ্যে ইসলামই হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্ম। এটি দীর্ঘ গবেষণামূলক জরিপের ফলাফল। বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হলো ইসলাম। আর সবচেয়ে বেশি অনুসারী খ্রিষ্টান ধর্মবিশ্বাসের।

    মুসলিম জনসংখ্যা যেভাবে বদলে দিতে পারে ইউরোপের চেহারা (বিবিসি-বাংলা) ২ ডিসেম্বর ২০১৭ ইউরোপে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সংখ্যার অনুপাতে ২০৫০ সালে ইউরোপের চেহারাটা কেমন দাঁড়াবে? ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ অভিবাসনের হার বিবেচনায় এর যে নানা চিত্র দাঁড় করিয়েছে তাতে দেখানো হচ্ছে, মুসলিম জনসংখ্যার বিরাট বৃদ্ধি ঘটবে বিভিন্ন দেশে।
    ধরা যাক সুইডেনের কথা। ২০১৬ সালে সুইডেনের মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু অভিবাসনের উচ্চ হার যদি অব্যাহত থাকে, ২০৫০ সাল নাগাদ সুইডেনে মুসলিমরা হবে মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ।

    পিউ রিসার্চ সেন্টার অভিবাসনের বিভিন্ন হার বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা সম্পর্কে তিন ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে বলা হচ্ছে, অভিবাসন যদি এখনই শূন্যে নামিয়ে আনা হয়, তারপরও ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা বর্তমানের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে। আর যদি অভিবাসনের উচ্চ হার অব্যাহত থাকে, তা হলে মুসলিম জনসংখ্যা হবে ১৪ শতাংশের বেশি। অভিবাসন বন্ধ হলেও ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে।
    পিউ রিসার্চ সেন্টার এই গবেষণাটি চালায় মোট ৩০টি দেশের ওপর। এর মধ্যে ২৮টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সদস্যরাষ্ট্র। অন্য দু’টি দেশ হচ্ছে নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড।

    ২০১৬ সালের তথ্য বিবেচনায় নিলে ইউরোপের এই ৩০টি দেশের মুসলিম জনসংখ্যা এই মুহূর্তে দুই কোটি ৫৭ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি মুসলিম আছে ফ্রান্সে। দেশটিতে বাস করে প্রায় অর্ধ কোটি মুসলিম (৪৯ লাখ ৫০ হাজার)। ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে মুসলিমরা হচ্ছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ইউরোপের ৩০টি দেশের মধ্যে মুসলিমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যায় আছে জার্মানিতে। সেখানে মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ১ শতাংশ মুসলিম। তাদের সংখ্যা ৫৭ লাখ ২০ হাজার।

    ব্রিটেনে মোট জনসংখ্যার অনুপাতে মুসলমানদের সংখ্যা জার্মানির তুলনায় বেশি (৬ দশমিক ৩ শতাংশ)। ব্রিটেনে মুসলমানদের সংখ্যা ৪১ লাখ ৩০ হাজার। এ ছাড়া ইউরোপে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় এবং হারে মুসলিম আছে নেদারল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও সুইডেনে। উচ্চহারে অভিবাসন হলে ২০৫০ সালে ব্রিটেনের মুসলিম জনসংখ্যাই হবে ইউরোপের বৃহত্তম।
    সামনের দশকগুলোতে ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে গিয়ে পিউ রিসার্চ সেন্টার তিন ধরনের অভিবাসন পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়েছেÑ একেবারে শূন্য, মধ্যম এবং উচ্চহারে অভিবাসন। ইউরোপে যদি অভিবাসন এখনই একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়, তারপরও ২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে তিন কোটিতে, যা মোট জনসংখ্যার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। যদি মধ্যম হারে অভিবাসন চলতে থাকে, তাহলে ইউরোপে মুসলিমদের সংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ সাড়ে পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে ব্রিটেনেই মুসলিমদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হবে, এক কোটি ৩০ লাখ। আর উচ্চ হারে যদি অভিবাসন ঘটে, তাহলে ২০৫০ সালে ইউরোপে মুসলিমদের সংখ্যা হবে সাড়ে সাত কোটি। জার্মানি হবে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। জার্মানির মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ হবে মুসলিম। তাদের মোট সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় এক কোটি ৭৫ লাখে।

    জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তু সংস্থার পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে ইউরোপ ১০ লাখের বেশি অভিবাসী ও শরণার্থী গ্রহণ করেছে। অভিবাসীদের বেশির ভাগই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের হওয়ায় ডানপন্থী কিছু রাজনৈতিক দল মুসলিমবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। মুসলিম সংখ্যা বাড়ার কারণ সম্পর্কে পিউ তার গবেষণা রিপোর্টে বলেছে, মুসলিমদের মধ্যে জন্মের হার বেশি, অন্যদের তুলনায় মুসলিমরা গড়ে ১৩ বছরের ছোট। ২০১৫-১৬ সালের পূর্বাবস্থায় অভিবাসীদের প্রবাহ ফিরে আসাকে অভিবাসী আগমনের মাঝারি ধাপ বলে মনে করা হয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ মুসলমানের বর্তমান সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ১১ দশমিক ২ শতাংশ হবে। গবেষণার ক্ষেত্রে তৃতীয় ধাপটি তৈরি হয়েছে ২০১৫-১৬ সালে আসা মুসলিম শরণার্থীদের প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে। পিউ বলেছে, ওই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে মুসলিম সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপে ১৪ শতাংশে উন্নীত হবে। তারপরও মুসলমানদের অবস্থান খ্রিষ্টান ও ধর্মহীনদের পরেই থাকবে। খবরে বলা হয়েছে, ২০৭০ সালে ইসলাম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মে পরিণত হবে।

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘৃণিত আচরণই তাকে ইসলাম গ্রহণে উৎসাহ জোগায় বলে ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন লিজা সাকলিন নামের এক মার্কিন নারী। নওমুসলিম ওই নারী বলেন, ট্রাম্পের ইসলামবিদ্বেষই আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে উৎসাহ জুগিয়েছে।
    এক বছর আগে ট্রাম্পের ঘৃণিত আচরণের কারণে তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন বলেও স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন। ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- যে দিন ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন, সে দিন এক মহিলা তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, কিভাবে তার ( ট্রাম্পের ) ঘৃণ্য আচরণ তাকে ইসলামের দিকে ধাবিত করে।

    এক বছর আগের কথা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু ঘৃণিত আচরণ আমাকে কুরআন স্পর্শ করতে উদ্বুদ্ধ করে (বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় তুলনামূলকভাবে ধর্মের বিষয়ে তেমন পড়তাম না) এখন এটা আন্তরিকতার সাথে পড়ি। ‘আর এটাই মুসলমানদের সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে আমাকে ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করে। যার ফলে আমি নিজেই কৃতজ্ঞ অনুভব করি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শপথ গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে আমি জনসমক্ষে হিজাব পরা শুরু করব সবসময়ের জন্য। গর্বের সাথে হিজাব পরিধান করব এবং আমি মানুষকে গোপনে ও প্রকাশ্যে তাদের সব ধরনের ধর্মান্ধতার ওপর আহ্বান করব।’

    স্ট্যাটাসে আরো রয়েছে, ক্লিনটন তখন মসনদে। আমি বাল্টিমোরে, ঘুম থেকে উঠে একদিন এক অবিশ্বাস্য নাটকীয় সংবাদ জানতে পারি। হোয়াইট হাউজে ইসলামের চাঁদতারা পতাকা উড়ছে। ভয়ের কিছু ছিল না। কারণ আলকায়েদার জন্ম তখনো হয়নি এবং বিন লাদেনেরও পাত্তা ছিল না, যিনি হোয়াইট হাউজে এসে এ ধরনের অঘটন ঘটানোর হিম্মত রাখেন। তবে সে সময় এখানকার মিডিয়ায় একটি ঝড় বয়ে যাচ্ছিল- যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এ সময়টিতে বাল্টিমোর জন হপকিন্সে গবেষণা করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হোমউড ক্যাম্পাসের লাইব্রেরির বেসমেন্টের ওয়ালের একটি তথ্য আমার চোখে পড়ে- প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ মানুষ ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করছে। মিডিয়ার অন্য সূত্রে জানতে পারি, এই এক লাখ নওমুসলিমের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। পাশ্চাত্য ভাবধারায় লালিতপালিত এবং মুক্ত হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মেয়েরা এত ঝুঁকি নিয়ে কেন ইসলামকে পছন্দ করছে যেখানে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, আত্মসমর্পণ ও ভিন্ন রূপ হওয়ার বিধান। Daughters of Another Path নামে একটি বই হাতে পাই। বইটিতে ফুটে উঠেছে আমেরিকান নারীদের ইসলাম গ্রহণের কথামালা। বইটি এত জনপ্রিয় যে, সাথে সাথে ফ্রেঞ্চ ভাষায় ফ্রান্স থেকে প্রকাশিত হয়।

    ইন্টারনেটে একটি মেয়ে লিখেছে, ‘বইটি এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলি। এ তো আমারই কথা। প্রথমে আব্বা-আম্মাকে পড়তে দিয়ে বলি, ‘এ বইতে পাবে, কেন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছি।’ যা হোক, বইটি আমার এত ভালো লেগেছিল যে, ঠিক করলাম অনুবাদ করব। এসে দেখি ২০০০ সালেই বইটি বাংলায় ঢাকা থেকে প্রকাশ করেছে কো-অপারেটিভ বুক সোসাইট। এতে আছে, মার্কিন মেয়েরা কেন পরিত্যাগ করছে তাদের এত দিনকার খ্রিষ্টীয় পরিবেশ আর পছন্দ করছে ইসলামকে। আমেরিকায় দ্রুত বেড়ে চলা ধর্ম হওয়ায় মুসলমানদের সমাজে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে বা কোণঠাসা করার মানসে আইনে প্রয়োগ করা হয় ‘সিক্রেট এভিডেন্স’। এই গোপনীয়তার সুযোগ নিয়ে মুসলমানদের জেলে ঢোকানো হতো। আর এই সিক্রেট এভিডেন্সের প্রয়োগ শুধু মুসলমানদের ক্ষেত্রেই দেখা যেত। এখানকার আমেরিকান মুসলিমদের তখন একমাত্র দাবি ছিল, এর অবসান। বুশের নির্বাচনে জেতার জন্য দরকার ছিল মুসলিম ভোট। কারণ এবারই প্রথম কোনো ইহুদি আমেরিকার ইতিহাসে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইহুদিদের সব ভোট যাচ্ছে আলগোরের পাল্লায়। এই ভোটের মোকাবেলার জন্য বুশের দরকার পড়ল নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য সব মুসলিম ভোট।

    তিনি এই সুযোগটি কাজে লাগান। আলগোরের সাথে নির্বাচনী বিতর্কে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিক্রেট এভিডেন্সকে তিনি discriminatory (পক্ষপাত / বৈষম্যমূলক) মনে করেন। বাস্তবে ঐতিহাসিকভাবে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জাতীয় নির্বাচনী বিতর্কে মুসলমানদের পক্ষে কথা বললেন। এর বিনিময়ে আমেরিকান মুসলমানেরা একজোট হয়ে নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে বুশের পক্ষ নেন। দরজায় কড়া নেড়ে শেষে ইহুদি লবির বিপরীতে বুশকে বিজয়ী করেন। আগে মুসলমানেরা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুসারে ভোট দিতেন; জোটবদ্ধভাবে একপাল্লায় এবারই প্রথম ভোট। বুশ জয়ী হলেন, নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে ইনভেস্টরস বিজনেস ডেইলি এক নিবন্ধে লিখলÑ আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা বিজয়ের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।’ কিন্তু বুশ ক্ষমতার মসনদে গিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে সিক্রেট এভিডেন্স বহাল রাখেন আর হোয়াইট হাউজ নির্বাচনকে চিরতরে মুসলিম ভোটের প্রভাব বলয়মুক্ত রাখার নীলনকশা হিসেবে নাইন-ইলেভেন নাটক মঞ্চস্থ করেন।
    নাইন-ইলেভেনের এক গোপন স্যাটেলাইট ইমেজ রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে। এমনটাই দাবি করলেন রাশিয়ার কূটনীতিকেরা। জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গি হামলার এমন এক ছবি তার কাছে রয়েছে, যা দিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব, কাজটা আসলে করিয়েছিল আমেরিকাই। এই ছবি নাকি প্রমাণ করবে, বিশ্বের ভয়ঙ্করতম জঙ্গি হামলার দায় আসলে মার্কিন প্রশাসন ও মার্কিন গোয়েন্দাদের। এমনটাই দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর প্রাভদা নামের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এমন রিপোর্ট। বিভিন্ন সূত্র থেকে এখন ফাঁস হয়ে পড়েছে, আমেরিকা নিজেই নাইন-ইলেভেন ঘটিয়েছিল।

    মূল কথা, মিডিয়া সুকৌশলে একটি বার্তা আমেরিকানদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নেয় যে, মুসলমানরা সন্ত্রাসী, মুসলমান হওয়া মানে সন্ত্রাসী হওয়া এবং এই লক্ষ্যে তারা জিহাদ করছে এই ভূখণ্ডে।’ এসব প্রোপাগান্ডা থেকে এটা সহজেই উপলব্ধি করা যায়, ইহুদি লবি ইসলামোফোবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ও সরকারকে কত বেশি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০১ সালে নয়-এগারোতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম হামলা হলেও একই জায়গায় প্রায় আট বছর আগে ১৯৯৩- এর ২৬ ফেব্রুয়ারি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মুসলমানরা সন্ত্রাসীÑ এটা প্রমাণের সূচনার মাধ্যমে নীলনকশা প্রণীত হয়েছিল। বিশ্বনন্দিত সাময়িকী রিডার্স ডাইজেস্টে বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে এই বিস্ফোরণের ওপর একটি নিবন্ধে বলা হয়- বোমা হামলার জন্য এ কেন্দ্রটি বেছে নেয়ার উদ্দেশ্য ছিল, এই টুইন টাওয়ারে বিশ্বের সব দেশের এবং সব জাতির লোক অবস্থান করে, যাদের সংখ্যা একটি শহরের লোকসংখ্যার কাছাকাছি হবে। অতএব, এ কেন্দ্রে কিছু হওয়ার অর্থ হচ্ছে- বিশ্বের সব জাতি ও দেশের এবং বিশ্ব অর্থনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। সিএনএনের প্রথম রিপোর্টে স্বীকার করা হয়, যদি বোমা হামলাকারীরা বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রের ধ্বংস করার পরিকল্পনা করত, তাহলে বিস্ফোরক রাস্তার সমতলে বসাত, যার ফলে শত শত লোক হতাহত হতো। বাল্টিমোর নিউট্রেন্ড পত্রিকা লিখেছে- বোমা হামলাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছিল, যার ফলে সবচেয়ে কম ক্ষতি হয়, সবচেয়ে কম লোক এর আওতায় পড়ে।’ বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে প্রথমে হামলা ছিল একটি আগাম অভ্যন্তরীণ কৌশল, যার লক্ষ্য ছিল প্রচারমাধ্যমে স্পর্শকাতর অনুভূতি সৃষ্টি করে মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত ও প্রচার করা এবং মুসলমানদের ব্যাপারে আমেরিকানদের সতর্ক ও উত্তেজিত করা। ১৯৯৩ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় মিডিয়া সন্ত্রাস। নীলনকশার শেষ বা চূড়ান্ত পর্যায়টি ছিল ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে আছড়ে পড়ল নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান।
    আমেরিকান মুসলমানদের অবশ্য করণীয় হচ্ছে- এ থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করা। বুশ যা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প এবার প্রকাশ্যে ঘোষণার মাধ্যমে সে পথেই এগোচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এবার নতুন কৌশলে ‘নাইন-ইলেভেন’।
    যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে! মুসলমানদের প্রতি ভীতি ও ঘৃণা ছড়াতে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। এমনি একটি ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে কাউন্সিল অব আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস্ (সিএআইআর) ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায়।

    লেখক : মুহাম্মাদ আলীরেজা, সাবেক শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
    এশিয়ান বাংলা

    Related Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    খালেদা জিয়া ও ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি

    February 22, 2023

    তারকে রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতটা প্রয়োজন ?

    November 20, 2022

    Comments are closed.

    Demo
    Top Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 202493

    সেনা হত্যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা

    March 1, 202466

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 202441

    বাংলাদেশ নতুন নির্বাচনের দাবীতে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানব বন্ধন

    February 19, 202437
    Don't Miss

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    By এশিয়ান বাংলাOctober 18, 20242

    স্টাফ রিপোর্টার  টাওয়ার হ্যামলেটসের জন্য ইস্ট লন্ডন ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে (ইএলএফটি) তাদের পাবলিক গভর্নর হিসেবে রফিকুল…

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024
    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from SmartMag about art & design.

    Demo
    Facebook Twitter Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp TikTok
    © 2025 AsianBangla. Designed by AsianBangla.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Go to mobile version