চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হতে পারে।
ওই সময় কমনওয়েলথ হেড অব গভর্নমেন্ট মিটিং চোগামে যোগ দিতে উভয় নেতাই যুক্তরাজ্য সফর করবেন।
ওই সম্মেলনের ফাঁকে শেখ হাসিনা ও মোদির মধ্যে একটি বৈঠকের জন্য দুই দেশের পক্ষে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার।
দৈনিকটি জানায়, লন্ডনের সম্ভাব্য বৈঠকটি বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান সরকারের আমলে দুই দেশের শেষ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হবে। এ কারণে এই বৈঠকটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে বৈঠক হলে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যাগুলো নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করবেন।
তবে ওই বৈঠকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দেয়া মোদির পক্ষে সম্ভব হবে না বলে জানায় আনন্দবাজার পত্রিকা।
সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিস্তা ছাড়াও আরও অনেক দিক রয়েছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত পাশে রয়েছে।
চলমান প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি নতুন কোন ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা বলবেন শেখ হাসিনা-মোদি। এ ছাড়া আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
কট্টর মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের মোকাবেলা করতে পারস্পরিক সহযোগিতা আগামী দিনগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে নির্বাচনের মুখে হিংসার ঘটনা বাড়লে তার প্রভাব সীমান্তে পড়তে পারে— এই উদ্বেগ রয়েছে নয়াদিল্লির। নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও কড়াকড়ি করা নিয়ে কথা চলছে দুই দেশের মধ্যে।
আনন্দবাজার জানায়, তিস্তা নিয়ে আশু নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেদের আন্তরিকতার কথা জানাবে ভারত
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে আর্থ-সামাজিকভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য কী পদক্ষেপ নিলে সুবিধা হয়-বাংলাদেশ সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে ভারত।
সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বিমস্টেকের নিরাপত্তাবিষয়ক বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা আসেন। তার পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলের ঢাকা সফরের কথা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, বাংলাদেশ সরকারের আরও বেশি আস্থা অর্জন করাকে এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে দেশটি। এ জন্য সাংস্কৃতিক দূতিয়ালির মাধ্যমে ‘ট্র্যাক টু’কূটনীতির দিকেও জোর দেয়া হচ্ছে।
আগামী ১০ এপ্রিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে ঢাকা আসবেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সবুজকলি সেন।