এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : মধ্য আমেরিকার কয়েকটি দেশ থেকে একদল অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে রওনা হয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমগুলোতে একের পরে এক ব্রেকিং আর কর্মকর্তাদের মুখে এ খবর শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অভিবাসীদের এমন দুঃসাহসে ক্ষেপে গিয়ে রোববার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারে নিজের ক্ষোভ-উদ্বেগ উগড়ে বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসিদের স্রোতে যুক্তরাষ্ট্র চুরি হয়ে গেছে’।
এখানেই থেমে থাকেননি, হোয়াইট হাউসের বাকি সব কাজ ছেড়ে অভিবাসীবিরোধী ধারাবাহিক টুইট শুরু করেন তিনি। টুইটে অভিবাসী দরদি ডেমক্রেটদের যুক্তরাষ্ট্রের আজকের এ পরিণতির জন্য দায়ী করেন ট্রাম্প।
অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার পথ করে দেয়ায় মেক্সিকো প্রশাসনকে ছাড় দেননি তিনি। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে অভিবাসীদের ঠেকাতে কঠোর আইন পাস করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। এমনকি হুমকি দিয়েছেন নাফটা চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার।
রয়টার্স জানায়, হেঁটে হেঁটে মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১২০০ অভিবাসীর একটি দল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে অভিনব এ উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। ২৫ মার্চ ‘পাম সানডে দিবস’ থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন।
নারী, শিশু ও পুরুষের সমন্বিত এ দলটির অধিকাংশই হন্ডুরাস (৮০ শতাংশ) থেকে এসেছে। পিউএলবো সিন ফ্রন্টিয়ারস বা পিপলস উইদাউট বর্ডারস (সীমান্তবিহীন জনগণ) নামের একটি সংস্থার আয়োজনে এ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন তারা।
মেক্সিকোর মধ্য দিয়ে দলটি এরই মধ্যে পাড়ি দিয়েছে বহু সীমান্ত ফাঁড়ি, পুলিশ চেকপোস্ট।
সিএনএন সোমবারের এক প্রতিবেদনে বলেছে, এটা কিছুটা অধিকার কর্মীদের মতো পদযাত্রা, আবার কিছুটা মানবাধিকার মিশনের মতো। এ ধরনের পদযাত্রা একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছরই এটা ঘটে।
তবে এবারের পদযাত্রা অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করছে। কারণ অভিবাসীদের এ দলটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় দল। দলটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
অভিবাসীদের ‘কাফেলা’ আসছে এমন খবরে রোববার সকালেই নিজের উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ধারাবাহিক টুইট করেন ট্রাম্প। মেক্সিকোর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এক টুইটে তিনি বলেন, অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ‘কিছুই করছে না’ মেক্সিকো।
প্রতিশোধ হিসেবে মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে নাফটা চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার হুমকি দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অভিবাসী ঠেকাতে একেবারে কিছুই করছে না মেক্সিকো। অভিবাসীরা দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে মেক্সিকোয় ঢুকছে। তারপর সোজা যুক্তরাষ্ট্রে।