এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : জার্মানির একটি শহরে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দেওয়ার ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন। শনিবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের মুয়েনস্টার শহরে এ ঘটনা ঘটে। ছবিটি টুইটার থেকে নেওয়া
জার্মানির একটি শহরে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দেওয়ার ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন। শনিবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের মুয়েনস্টার শহরে এ ঘটনা ঘটে। ছবিটি টুইটার থেকে নেওয়া
জার্মানির একটি শহরে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দেওয়ার ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন। শনিবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের মুয়েনস্টার শহরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাড়ির চালক ঘটনার পর পরই আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ বলছে, এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। তবে এখনো এ ঘটনাকে ‘হামলা’ বলে ঘোষণা করেনি জার্মানির সরকার।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মুয়েনস্টার শহরের কায়াপেনকার্ল স্ট্যাচুর কাছে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। পথচারীদের ওপর তুলে দেওয়া গাড়িটির ভেতর একটি সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া গেছে। তবে সেটি আদতে কি-তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র আন্দ্রিয়াস বোঁদে বলেন, এই ঘটনাকে ‘হামলা’ বলার সময় এখনো আসেনি। মুয়েনস্টারের পুরনো শহর এলাকায় কায়াপেনকার্ল স্ট্যাচুর অবস্থান। ওই ভাস্কর্যের কাছেই একটি জনপ্রিয় পথচারী এলাকা আছে। সেখানে কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ আছে। ওই সব খাবারের দোকানের গ্রাহকেরা সাধারণত রেস্তোরাঁর বাইরে বসেই খাওয়া-দাওয়া করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে রেস্তোরাঁর বাইরে বসে থাকা মানুষের ওপর উঠে গিয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে রাস্তায় চেয়ার-টেবিল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তবে গাড়ির চালক নিহত হওয়ায়, অন্য সন্দেহভাজনদের আর খোঁজা হচ্ছে না।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনা নিয়ে জল্পনা না করার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জার্মানির পুলিশ।
এদিকে জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকারের উপমুখপাত্র উলরিকে ডেমার বলেছেন, হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে আছে সরকার। কর্তৃপক্ষ দ্রুতই এ ঘটনার প্রেক্ষাপট উদ্ঘাটন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে লরি দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছিল।