এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সিরিয়ার একটি ত্রাণ সংস্থা বলেছে, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহর পূর্ব গৌতার দৌমায় সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। চিকিৎসা-ত্রাণ বিতরণকারী আরেক সংস্থা বলেছে, এই অঞ্চলে রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে স্বেচ্ছাসেবী ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেটসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, সরকারি বাহিনীর হামলায় ৭০ জন নিহত হয়েছে। এর সংখ্যা বাড়তে পারে। হোয়াইট হেলমেটস প্রথমে ৭০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি টুইট করে জানায়। পরে আবার সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০ জন নিহত হয়েছে বলে জানায়। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ত্রাণ সংস্থার কোনো দাবি বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তারা মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর অভিযোগও এনেছে। রয়টার্স এও বলেছে, এই হামলার অভিযোগ তারা কোনো নিরপেক্ষ সূত্রের মাধ্যমে যাচাই করেনি।
রাসায়নিক হামলার অভিযোগের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। রাসায়নিক হামলার ঘটনা যদি প্রমাণিত হয়, তবে এর জন্য রাশিয়াই দায়ী থাকবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে হামলা চালিয়ে পূর্ব গৌতার প্রায় পুরোটাই দখল করে নেয় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। শুধু বাদ ছিল দৌমা। গত শুক্রবার বিকেলে রাশিয়া-সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এ অঞ্চলে আবার বিমান হামলা চালায়। মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, দৌমায় হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে। সেখানে সাধারণ অস্ত্রই ব্যবহার হয়। এতে সৃষ্ট ধোঁয়ায় তারা মারা যায়। আর এর ফলে ৭০ জনের মতো মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছে।
চিকিৎসা-ত্রাণ বিতরণকারী সংগঠন সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি (এসএএমএস) বলছে, দৌমার হাসপাতালে ক্লোরিন বোমা ফেলা হয়েছে। এতে সেখানে ছয়জন নিহত হয়েছে। এসএএমএসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রয়টার্সকে বলেছেন, রাসায়নিক হামলায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে।