এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : এলেন, দেখলেন, জয় করলেন- দক্ষিণ আফ্রিকার হিরো আকানি সিমবাইন। ২০১৮ গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসের অ্যাথলেটিক্সের রাজার মুকুট উঠল আকানির মাথায়। সোমবার ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.০৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। দ্রুততম মানব দক্ষিণ আফ্রিকার হলেও দ্রুততম মানবীর খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। জ্যামাইকান উইলিয়ামস ক্রিস্টিনাকে পেছনে ফেলে দ্রুততম মানবীর খেতাব জেতেন মিশেল লি। তিনি সময় নেন ১১.১৪ সেকেন্ড।
অবশ্য রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতেছে জ্যামাইকা। জ্যামাইকা, ‘ল্যান্ড উই লাভ’ গুনগুন করে এই গানটি কারারা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে গাইছিলেন কয়েকজন জ্যামাইকান অ্যাথলেট। জ্যামাইকার জাতীয় সঙ্গীত এটি। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে উসাইন বোল্টের সুবাদে এতবার বেজেছিল গানটি যে মুখস্ত হয়ে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য জ্যামাইকানদের, এবার কোনো বোল্ট নেই। নেই গ্লাসকোর হিরো বেইলি কান। ইয়োহান ব্লেককে তিন নম্বরে ঠেলে দিয়ে স্বর্ণ ও রুপা তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্রুইন জিটেস ১০.১৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা ও ব্লেক ১০.১৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে পান ব্রোঞ্জ।
সিমবাইন যখন দৌড় শেষ করেন, তখন কারারা স্টেডিয়ামের সব দর্শক দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছিল দ্রুততম মানবকে। ফ্লাডলাইটের আলো
যেন ম্লান হয়ে গিয়েছিল সিমবাইনের খুশির ঝিলিকের কাছে। স্বর্ণপদক গলায় ঝুলিয়ে এই গতিমানব বলেন, ‘গেমসের দ্রুততম মানব হওয়া আমাদের জন্য অন্যরকম বিস্ময়। আমি আবেগাপ্লুত। সত্যি এটা অবিস্মরণীয় এক মুহূর্ত আমার জীবনে।’
অন্যদিকে ফেভারিট জ্যামাইকান ক্রিস্টিনা উইলিয়ামসকে টপকে দ্রুততম মানবী হন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মিশেল লি। জ্যামাইকান ক্রিস্টিনা (১১.২১ সেকেন্ড) ও ইভান্স (১১.২২ সেকেন্ড) যথাক্রমে রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতলেও হতাশা ভর করেছে ক্যারিবিয়ান শিবিরে। এক জ্যামাইকান অ্যাথলেট আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যই থাকে যে কোনো গেমসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের একটি পদক। যার জন্য সেই শৈশব থেকে আমাদের দৌড় শুরু। গেমসের একটি স্বর্ণ হাতছাড়া হওয়া কিছুতেই মানতে পারছি না।’
১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়া কমনওয়েলথ গেমসে অটো বোলডেন ত্রিনিদাদকে ১০০ মিটারে স্বর্ণ এনে দিয়েছিলেন। ২০ বছর পর ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপ দেশটিকে আবারও স্বর্ণ জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন মিশেল লি। দ্রুততম মানবীর খেতাব জেতা মিশেল লি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘এ সাফল্য আমার দেশ ও পরিবারকে খুবই গর্বিত করবে। এখন আমি অপেক্ষায় আছি ৪ x ১০০ মিটার রিলেতেও সাফল্যের।’