এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের ব্যক্তিগত সকল বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার। যারা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তাদের ব্যক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আগে এবং বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত আছে তা আদ্যপ্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। তাদের গতিবিধি নজরদারি ছাড়াও তারা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন সেই বিষয়টিও নির্দেশ দেয়া হয়েছে খতিয়ে দেখতে। গত ১ মাস ধরে তাদের ব্যক্তিগত কললিস্ট পর্যালোচনা করার তাগিদ দেয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের। এছাড়াও ভিসির ভবনে হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুঙ্খানুপঙ্খুভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি সদর দফতরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শীর্ষ কর্মকর্তারা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় কোটা আন্দোলনের পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলার জন্য পুলিশের সকল শাখাকে ডিএমপি কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান।
সভায় ডিএমপির ৪৯ টি থানার ওসি, ৮ টি জোনের ডিসি, এডিসি, এসি এবং ডিবির ৪ টি বিভাগের ডিসি ছাড়াও ঊর্ধ্বতন পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ডিএমপি কমিশনার মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চলমান ইস্যু কোটা আন্দোলন নিয়ে গত কয়েকদিন আগে ঢাকার আইন-শৃংখলা রক্ষা ও জননিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। ডিএমপির টিম তা শক্ত হাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। এসময় তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশনা দেন। সভায় উপস্থিত সকল কর্মকর্তাগত সেই নির্দেশগুলো নোট করে আমলে নেন।
সূত্র জানায়, নতুন করে আন্দোলন শুরু হলে আন্দোলনকারীরা কোনভাবেই যাতে শাহবাগের চোরাস্তার মোড় অবরোধ করতে না পারে সেই জন্য সেখানে প্লাস্টিকের ঢাল ও লাঠি হাতে সর্বক্ষণ পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সদস্যদের প্রহরা দিতে বলা হয়েছে। কারণ শাহবাগের চৌরাস্তাটি হচ্ছে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। অবরোধকারীরা সড়কটি বন্ধ করে দিলেই পুরো ঢাকায় যানযট ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্দোলনের প্রধানস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা পোশাকে গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়, যাতে কেউ কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করতে না পারে।