এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : কৃত্রিম সংকট না হলে আসন্ন রমজানে পাঁচ নিত্যপণ্য- ছোলা, চিনি, খেজুর, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম ভোক্তাদের নাগালেই থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ এসব পণ্যের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও আমদানির মাধ্যমে আগাম নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। বিশ্ববাজারেও পণ্যগুলোর দাম কমায় প্রায় প্রতিদিনই ব্যবসায়ীরা আমদানির এলসি (লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্র) খুলছেন। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও পাইপলাইনে আছে আরও বিপুল পরিমাণ পণ্য।
রমজান আসার আগেই বিগত কয়েক বছর ওই পাঁচ পণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা গেলেও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এবার তা সহনীয় মাত্রায় থাকছে। এমনকি কোনো কোনো পণ্যের দাম কমতেও পারে বলে অভিমত ব্যবসায়ীদের। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেগুলোর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও আমদানির মাধ্যমে আগাম নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। রমজানে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে ২.৫ লাখ টন, চিনি ৩ লাখ টন, ছোলা ৮০ হাজার টন, খেজুর ১৮ হাজার টন এবং পেঁয়াজ ৪ লাখ টন। এর বিপরীতে দেশে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের মজুদের পরিমাণ ৮ গুণ বেশি, ছোলা ৮ দশমিক ৩৩ গুণ, পেঁয়াজ ৩ দশমিক ৪৮ গুণ, খেজুর ২ দশমিক ৫৬ গুণ এবং চিনি শূন্য দশমিক ৪৫ গুণ।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাজার চলবে মুক্তবাজার অর্থনীতির ফর্মুলায়। চাহিদা, জোগান ও সরবরাহ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বাজারের দাম। স্বস্তির খবর হচ্ছে- প্রায় সব পণ্যের মজুদই কয়েকগুণ বেশি আছে। টিসিবিও রমজানের আগ থেকেই খোলা বাজারে তাদের বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করবে। তিনি বলেন, দেশে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সহনীয় আছে। চলতি মজুদ দিয়ে শুধু রমজান নয়, সারা বছরই পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পর্যাপ্ত মজুদ বাজার নিয়ন্ত্রণের একটা উত্তম পদ্ধতি। তবে বাজারের ওপর সরকার কঠোর নজরদারিও বজায় রাখবে। অসাধু তৎপরতা বা কারও কারসাজিতে বাজার পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি সংযমের মাসে সবাইকে সংযমী হওয়া এবং বছরজুড়েই নৈতিক ব্যবসা করারও আহ্বান জানান।
দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাকে সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের আমদানিকৃত পণ্য নির্বিঘ্নে খুচরা বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হলে অবশ্যই বন্দর থেকে পণ্য খালাসের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সুদের হার কমানো এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার বিষয়টিও জোরালোভাবেই উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি নিম্নমুখী। পেঁয়াজের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য গত এক মাসে প্রায় ২৪ শতাংশ কমেছে। অন্য পণ্যের দামও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১৮ টাকা ৬৫ পয়সা থেকে ২০ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে। একইভাবে সয়াবিন তেলের কেজিপ্রতি দাম ৬২-৬৪ টাকা, ছোলা ৪৬-৪৮ টাকা, চিনি ৩৮-৪১.৭৬ টাকা এবং খেজুরের দাম প্রতি কেজি ৭০ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে। বর্তমানে বাজারে খুচরা মূল্যে সয়াবিন কেজিপ্রতি ৮৫-৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চিনি ৫৫-৬০ টাকা, ছোলা ৮০-৯০, খেজুর ১২০-৩০০ এবং পেঁয়াজ দেশি ৩৫-৪০ এবং আমদানি ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের সরবরাহ দেশজ উৎপাদন ও আমদানির দুইয়ের ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের দাম উঠানামা করলে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে মজুদ পর্যাপ্ত থাকলে এবং বাজারে প্রতিযোগী বেশি হলে দাম স্থিতিশীল থাকে। কেউ যাতে রমজাননির্ভর পণ্যে কারসাজি করার সুযোগ না পায় সে জন্য সরকারের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করার পরামর্শ দেন তিনি।
চট্টগ্রামের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জের অন্যতম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএমএম গ্রুপের কর্ণধার মো. আবুল বশর চৌধুরী মঙ্গলবার বলেন, ‘রমজানে চাহিদার প্রায় কাছাকাছি পরিমাণ পণ্য এরই মধ্যে আমদানি হয়ে গেছে। আরও কিছু আছে খালাসের অপেক্ষায়। বিশ্ববাজারে প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দামই সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তাই আমদানিও যথেষ্ট। রমজানে ভোগ্যপণ্যের সংকট হওয়ার কথা নয়।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গত বছর পাইকারি বাজারে ছোলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকা। এবার তা কমে দাঁড়াবে ৫২-৫৮ টাকা। মসুর ডালের দাম প্রতি কেজি গত বছরের চেয়ে অন্তত ২৫ টাকা কম থাকবে। চিনি পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৫০-৫১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানে সামান্য বাড়তে পারে, তবে খুব একটা বেশি নয়। তেলের দামও এখন যা আছে তার চেয়ে বাড়ার সম্ভাবনা নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে রমজানের প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দাম গত বছরের চেয়ে ক্ষেত্রবিশেষে ৫-২৫ টাকা পর্যন্ত কম থাকবে।
তবে ‘চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে ধীরগতি, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং ব্যাংক ঋণের ওপর সুদ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই আমদানিকারক।
এদিকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে মেঘনা গ্র“পের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, সব ধরনের পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ফলে দাম বাড়ার কোনো কারণই নেই। তবে তিনি পণ্য পরিবহনে একটি ট্রাকে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করা যাবে না বলে সরকার যে আদেশ জারি করেছে, তা আগামী কোরবানির ঈদ পর্যন্ত স্থগিত করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এতে পরিবহন খরচ কমবে এবং পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে। তিনি সুদের হার কমানোরও তাগিদ দেন।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, সব পণ্যই আছে। তবে সঠিক পরিসংখ্যান দরকার। কারণ অনেক ক্ষেত্রে চাহিদার যে তথ্য বলা হয়, তা বাস্তবে খাপ খায় না।
খাতুনগঞ্জ হামিদ উল্যাহ খান মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস জানান, দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ ২১-২২ টাকা, দেশি ২৮-৩০ টাকা এবং দেশি মেহেরপুরী ১৬-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যদি দাম নিয়ে কারসাজি না করেন, তাহলে রমজানে পেঁয়াজের দাম তেমন একটা বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মুখ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, রমজানের বাজার মোকাবেলায় প্রস্তুত টিসিবি। ইতিমধ্যে টিসিবির আমদানি ও স্থানীয়ভাবে ক্রয়কৃত মজুদ পণ্য ভোজ্যতেল, ছোলা, চিনি, মসুর ডাল গুদামে ঢুকেছে। রমজানের ৮-১০ দিন আগ থেকেই খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু হবে। বাজারদরের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হবে টিসিবির পণ্য।
মজুদ পরিস্থিতি-
ভোজ্যতেল : বাৎসরিক চাহিদা ১৫ লাখ টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সব ধরনের তেলের উৎপাদন ছিল ২ লাখ টন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যানুযায়ী ওই অর্থবছরে ভোজ্যতেলের আমদানির পরিমাণ ছিল ২৯.২ লাখ টন। চাহিদা পূরণের পর উদ্বৃত্ত ছিল ১৬.২ টন। এর সঙ্গে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত আমদানি হয় ১৪.৩১ লাখ টন। এ বছর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ টন। তবে এ মজুদ থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত নিয়মিত ভোগ হয় ১০.২২ লাখ টন। উদ্বৃত্ত মজুদ দাঁড়ায় ২২.২৮ টন। এর সঙ্গে গত ১১-১৮ মার্চ পর্যন্ত আমদানির উদ্দেশ্যে নতুন এলসি খোলা হয় ১৪ হাজার ১৯২ টন। একই সময়ে নিষ্পত্তি হয় আরও ১৭ হাজার টন। মার্চ পর্যন্ত এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হিসাব ধরে ভোজ্যতেলের সার্বিক মজুদ দাঁড়িয়েছে ২২.৫৯ লাখ টন।
চিনি : ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চিনির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও আমদানির পরিমাণ ছিল মোট ৫৪.৭৩ লাখ টন। ওই তিন বছর দেশে চিনির চাহিদা ছিল প্রতি বছর ১৫ লাখ টন। ফলে আগের মজুদ থেকে উদ্বৃত্ত ছিল ৯.৭৩ টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত চিনি আমদানি হয় ৩.৬৫ লাখ টন। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৫৬২ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। গত ১১-১৮ মার্চ পর্যন্ত চিনির এলসি খোলা হয় ১৫ হাজার ১৭৫ টনের। এর মধ্যে খালাস হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ টন। চলতি অর্থবছরের গত নয় মাসে ভোগ হয়েছে ১০.২২ লাখ টন। ফলে ভোগের অংশ বাদ দিয়ে মার্চ পর্যন্ত সার্বিক চিনি মজুদ দাঁড়ায় ৪. ৩৫ লাখ টন।
ছোলা : বছরে ছোলার চাহিদা ১ লাখ টনের। এর সিংহভাগ চাহিদাই তৈরি হয় রমজানে। দেশে উৎপাদান হয় ৫.৫ হাজার টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছোলা আমদানি হয়েছে ৫.০৮ লাখ টন। পুরো বছরের চাহিদা মেটানোর পর ছোলার উদ্বৃত্ত থাকে ৪.৬৩ লাখ টন। এর সঙ্গে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১.৯৮ লাখ টন। এ ছাড়া আমদানির উদ্দেশ্যে ১১-১৮ মার্চ পর্যন্ত ছোলার এলসি খোলা হয় ৮০০ টনের। একই সময়ে এলসির নিষ্পত্তি করা হয় ২ হাজার ২৯১ দশমিক ৪৫ টনের। গত নয় মাসের ভোগ শেষে মার্চ পর্যন্ত এলসি খোলা ও খালাসের হিসাব ধরে ছোলার মজুদ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার টন।
খেজুর : দেশে বছরজুড়ে খেজুরের চাহিদা তৈরি হয় ২০ হাজার টন। দেশে খেজুরের উৎপাদন হয় না বলে পুরোটাই নির্ভরশীল আমদানির ওপর। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খেজুর আমদানি করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৮২ টন। চাহিদা পূরণের পর খেজুরের উদ্বৃত্ত মজুদ আছে ২৩ হাজার ৮৮২ টন। চলতি অর্থবছরের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত আমদানি করা হয় ৩৯ হাজার ১৫৪ টন। ১১-১৮ মার্চ পর্যন্ত আমদানির উদ্দেশ্যে পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছে ২৫৪ টন। একই সময়ে খালাস হয় ১ হাজার ৬৮ দশমিক ৩১৫ টন। মার্চ পর্যন্ত এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হিসাব ধরে খেজুরের মজুদ দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ১০৪ দশমিক ৫৬৯ টন।
পেঁয়াজ : বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা আছে ২৪ লাখ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২১.৫৩ লাখ টন। সে বছর আমদানি করা হয় ১২.৬৭ লাখ টন। চাহিদা পূরণের পর গেল বছরের উদ্বৃত্ত পেঁয়াজের পরিমাণ ছিল ১০.২ লাখ টন। এর সঙ্গে চলতি অর্থবছরের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত আমদানি করা হয় ৪.৫০ লাখ টন। একই সঙ্গে চলতি বছরের উৎপাদনও এখন বাজারে গড়াচ্ছে। এর পরিমাণ ২০ লাখ টন ধরা হলেও বর্তমানে দেশে অভ্যন্তরীণ মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪.৭ লাখ টন। গত ৯ মাসে পেঁয়াজ খাওয়া হয় ১৭.১৮ লাখ টন। এ ছাড়া ১১-১৮ মার্চ পর্যন্ত পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছে ১৮ হাজার ৪০৪ টনের। একই সময়ে খালাস করা হয় আরও ২১ হাজার ৩৯ টনের। ফলে ওই সময় পর্যন্ত পেঁয়াজের সার্বিক মজুদ দাঁড়িয়েছে ১৭.৯১ টন।