এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। নিজস্ব ভোটব্যাংকের বাইরে নিরপেক্ষ ভোটারদের কাছে টানতে সব ধরনের চেষ্টা চালাবে তারা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও গণসংযোগে জাতীয় ইস্যুগুলো ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হবে।
বিএনপির সমালোচনাসহ সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাবে আওয়ামী লীগ। পক্ষান্তরে বিএনপির টার্গেট- সরকারবিরোধী ‘নেগেটিভ’ ভোট। সরকারের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ব্যর্থতাসহ দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দি ইস্যুটিও সামনে আনা হবে। ২৪ এপ্রিল প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু হবে।
জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামার আগে দুই সিটির কোন এলাকায় কোন পেশার ভোটার বেশি সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গণসংযোগের কৌশল চূড়ান্ত করা হচ্ছে। দুই সিটিতেই ভোটারদের বড় একটি অংশ শ্রমিক শ্রেণীর। তাই শ্রমিকদের ভোট টানার লক্ষ্যে নানা প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস নিয়ে হাজির হবেন দুই দলের নেতাকর্মীরা। বেতন কাঠামো গঠন, দুই দফায় বেতন বৃদ্ধিসহ শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরবে ক্ষমতাসীনরা।
পক্ষান্তরে বেতনের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের নাভিশ্বাস- এমন পাল্টা অভিযোগ নিয়ে শ্রমিকদের কাছে যাবে বিএনপি। গাজীপুরে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকায় বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতাদের গণসংযোগের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। জনগণ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। সমগ্র দেশের পাশাপাশি এ দুটি মহানগরীতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মর্যাদা বাড়িয়েছেন, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছেন। গত কয়েক বছরে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখতে পারলে আমরা দ্রুতই উন্নত দেশের মর্যাদাও লাভ করব। দুই সিটিতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিয়ে প্রচার চালানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে সব রাজনৈতিক দলেরই কিছু কৌশল থাকে, স্বাভাবিকভাবে তাদের দলেও নানা কৌশল থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, গাজীপুর ও খুলনায় ভোটারদের বড় একটি অংশ শ্রমিক। এরা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ। সরকার তাদের জীবনমান উন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে তাদের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। শ্রমিকদের নানা সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও গণসংযোগে জাতীয় ইস্যুগুলোও চলে আসবে। সরকারের অনিয়ম, গুম, খুন, দুর্নীতিসহ নানা ব্যর্থতা ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হবে। আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে। তিনি বলেন, সরকারবিরোধী লোকজন ধানের শীষের পক্ষে ভোট দেবে বলে আশা করি। এ ছাড়া বিগত নির্বাচনে যারা ক্ষমতাসীনদের ভোট দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে এবার আমাদের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। ইতিমধ্যে দুই সিটিতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ধানের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে গতবারের চেয়ে এবার বেশি ভোটে আমাদের প্রার্থী জয়লাভ করবেন।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও শ্রমিক কল্যাণের বিষয় প্রাধান্য দেবে আওয়ামী লীগ : ভোটার টানতে দুই সিটিতেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং শ্রমিক কল্যাণের বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হবে। একই সঙ্গে গাজীপুর এবং খুলনায় আলাদা আলাদা প্রতিশ্রুতি থাকছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। নৌকাকে বিজয়ী করতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে গ্রহণ করা হচ্ছে কৌশল।
দুটি শহরই শ্রমিক অধ্যুষিত হওয়ায় সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি শ্রমিকদের কল্যাণে গৃহীত এ সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরা হবে। এ সরকারের আমলেই প্রথমবারের মতো শ্রমিকদের বেতন কাঠামো গঠিত হওয়া, বেতন বাড়ানো, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থাসহ শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড গঠনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে প্রচারে।
খুলনায় শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা, অর্থনৈতিক ও পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শহর প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস দূর এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে চলবে প্রচার। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দীর্ঘ ২৯ বছর বঞ্চিত ছিল খুলনা। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বয়ং খুলনা সদরের এমপি ছিলেন কিন্তু উন্নয়ন হয়নি। এমপি হওয়ার পর খালেদা জিয়া একবারের জন্যও আসেননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার উন্নয়নে আন্তরিক। ইতিমধ্যে তিনি মোংলায় ইডিজেড করেছেন, খুলনার কাছেই গড়ে তুলেছেন পায়রাবন্দর। খুলনা শহরসহ আশপাশে নেয়া হচ্ছে বড় বড় প্রকল্প। ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নে শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে তার আন্তরিকতা প্রমাণ করেছেন। তারা বলেন, এ শহরকে পর্যটন উপযোগী ও অর্থনৈতিক হাব গড়ে তোলার জন্য তিনি খুলনাকে করতে চান তিলোত্তমা নগরী। তার উন্নয়ন আকাক্সক্ষায় সাড়া দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তারা মানুষের কাছে ভোট চাইবেন। প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন গোষ্ঠী চিহ্নিত করে তাদের ভোট পেতে কৌশলভিত্তিক পদক্ষেপও নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। ইতিমধ্যে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পূজা উদ্যাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন স্থানীয় এবং কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আজ ইজিবাইক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। এ শহরে ৩০-৫০ হাজার ইজিবাইক চলে, যার এক থেকে দেড় লাখ চালক রয়েছেন। এদের ভোট টানতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মুন্নুজান সুফিয়ান কাজ করছেন। তিনি এখানে অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য প্রচারও সমন্বয় করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলীকে পাট সেক্টরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ভোট পেতে কাজে লাগাচ্ছে শাসক দল।
খুলনায় শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং নিয়মিত বেতন-ভাতার নিশ্চয়তা, ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়ার প্রতিশ্রুতিও থাকবে প্রচারে। একইভাবে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত শহর গড়ে তোলার জন্য থাকবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি। খুলনার প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইমাম, সাংবাদিক মানিক সাহা ও হুমায়ুন কবীর বালুর নৃশংস হত্যকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে বিএনপিকে বর্জনের আহ্বান জানানো হবে।
গাজীপুরে আঞ্চলিকতার ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। এ এলাকার শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে কেন্দ্র থেকে প্রচারের জন্য গঠিত কমিটিতে বরিশালের দুই নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আফজাল হোসেনকে রাখা হয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানক ভোট চাইতে যেতে না পারলেও আফজাল হোসেন লাভজনক পদে না থাকায় ভোট চাইতে পারবেন। আর স্থানীয়দের ভোট পেতে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানকে করা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক। গাজীপুরের সব পর্যায়ের মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। তরুণদের কাছে ভোট চাওয়ার জন্য কমিটিতে আছেন তরুণ রাজনীতিবিদ এবং পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত আইনজীবী, আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
গাজীপুরের জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আজমত উল্লাহ খান বলেন, দেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে তার ধারাবাহিকতায় প্রয়োজন জনগণকে উপলব্ধি করাতে তারা প্রচার চালাবেন। থাকবে গাজীপুরের স্থানীয় উন্নয়নের কথাও। পাশাপাশি রাজধানীর খুব কাছের এ মহানগরীর মানুষ যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করলে ঢাকার মতোই উন্নত সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন- এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। আশা করি, এ শহরের জনগণ সেসব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন।
বিএনপির টার্গেট সরকারবিরোধী নেগেটিভ ভোট : বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সুষ্ঠু ভোট হলে তাদের জয় সুনিশ্চিত। কারণ, তাদের মূল ভরসা দলের ভোটব্যাংক। নানাভাবে দল বিপর্যস্ত হলেও দুই সিটিতে ধানের শীষের সমর্থক কমেনি। সরকারের দুর্নীতি, অনিয়ম, গুম-খুনসহ নানা ব্যর্থতার কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে। এর সঙ্গে যারা আওয়ামী লীগ ও সরকারের কর্মকাণ্ড পছন্দ করেন না- এ ধরনের ‘নেগেটিভ’ ভোটও তাদের পক্ষেই যাবে। তাই ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে চান তারা। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে।
নির্বাচনে জাতীয় ইস্যুকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গাজীপুর ও খুলনার দুই মেয়রকে বারবার গ্রেফতার, দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা-গ্রেফতারের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ভোটাদের মন জয় করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারাবন্দি ইস্যুও কাজে লাগানো হবে। তাকে সুচিকিৎসা ও জামিন না দিয়ে কারাগারে আটক রাখার বিষয়গুলো সামনে আনবে তারা।
সূত্র জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামার আগে দুই সিটিতে নির্বাচনী গণসংযোগের কৌশল চূড়ান্ত করছে দলটির নীতিনির্ধারকরা। ভোটারদের মন জয়ে নিচ্ছে নানা পরিকল্পনা। গণসংযোগে কোন কোন বিষয় সামনে আনা হবে এর খসড়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। দুই সিটিতে কোন এলাকার ভোটারের সংখ্যা বেশি তা বের করা হচ্ছে। গাজীপুরে শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি এবং তাদের অধিকাংশই উত্তরাঞ্চল ও ময়মনসিংহ এলাকার। টঙ্গী এলাকায় চাঁদপুর ও কুমিল্লার ভোটার বেশি। তাই এ সিটিতে গণসংযোগে অতীতে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন বা আছেন এমন নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হবে। এ ছাড়া যেসব অঞ্চলের ভোটার বেশি সেসব এলাকার কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, এ সিটির বেশিরভাগ ভোটার শ্রমিক। তাই শ্রমিকদের কাছে টানতে আমরা চেষ্টা চালাব। শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। স্থানীয় যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। যুবসমাজকে মাদকমুক্ত গাজীপুর সিটি উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। সাধারণ ভোটাররাও ধানের শীষের পক্ষে রায় দেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
সূত্র জানায়, খুলনায়ও প্রায় একই চিত্র। সেখানে ভোটারদের বড় একটা অংশ শ্রমিক। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে গিয়ে তারা খুলনায় বসবাস করছেন। ভোটারদের কাছে টানতে এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হবে। খুলনায় গণসংযোগে স্থানীয় ইস্যুর পাশাপাশি রামপাল ইস্যুও সামনে আনার চিন্তা করছে বিএনপি। স্থানীয় সুশীল সমাজসহ অনেকেই রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিপক্ষে। বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নিজেও এ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই রামপালবিরোধীদের ভোট ধানের শীষের পক্ষে আনার চেষ্টা চালাবে দলটি।
খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা যুগান্তরকে বলেন, খুলনার মানুষ সব সময় বিএনপির পক্ষে। বিএনপির সময় এ এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ মুখে উন্নয়নের কথা বললেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন এ এলাকায় হয়নি। এ বিষয়টি ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীকেও মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। চেয়ারপারসনের মুক্তি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক দুঃসময় চলছে তা ভোটারদের অবহিত করা হবে। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে সরকার বিশ্ব ঐতিহ্যের সুন্দরবন ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। গণসংযোগে রামপাল ইস্যুটিও আসবে। সরকারের নানা ব্যর্থতার জবাব খুলনাবাসী এবারের সিটি নির্বাচনে দেবেন বলে আশা করি।