এশিয়ান বাংলা, চট্টগ্রাম : ব্যাংকঋণ পরিশোধ না করে বিদেশে পাড়ি দেয়ার ঘটনা বাড়ছে। শুধু চট্টগ্রামেরই ১৯ ঋণখেলাপি এরই মধ্যে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। এদের বড় অংশই অবস্থান করছেন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে। চট্টগ্রামের বড় ঋণগ্রহীতা, যাদের ঋণ এখনো খেলাপি হয়নি কিন্তু সন্দেহজনক, তাদেরও কেউ কেউ কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোয় খোঁজ নিয়ে ও বণিক বার্তার নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, এরই মধ্যে বিদেশে পাড়ি দেয়া চট্টগ্রামের এ ১৯ ব্যবসায়ীর কাছে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। এসব ব্যবসায়ীর মধ্যে ১০ জনই বসবাস করছেন কানাডায়। চারজন পাড়ি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যরা আছেন মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ায়।
খেলাপিরা বিদেশে পাড়ি দেয়ায় ঋণের টাকা উদ্ধারও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, ঋণখেলাপিরা বিদেশে পাড়ি জমানোয় টাকাও পাচার হয়ে যাচ্ছে। আদালতে মামলা করার পরও ঋণখেলাপিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। ব্যাংকাররা দুদকসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধৃত হয়ে জেল খাটছেন। অথচ ঋণখেলাপিরা বিদেশে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটাচ্ছেন।
শওকত আলী, আরএস এন্টারপ্রাইজ: ব্যাংকের ঋণ খেলাপি করে বিদেশে পাড়ি দেয়ার সর্বশেষ নজিরটি সৃষ্টি করেছেন খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্য ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ী আরএস এন্টারপ্রাইজের শওকত আলী। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি করে মাস দুয়েক আগে কানাডায় পাড়ি দিয়েছেন এ ব্যবসায়ী। ন্যাশনাল ব্যাংকের দায়ের করা একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্যেই দেশ ছাড়েন তিনি। চট্টগ্রামের এ ব্যবসায়ীর কাছে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি টাকা।
ক্রিস্টাল গ্রুপের তিন কর্ণধার: বড় অংকের ঋণ খেলাপি রেখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন ক্রিস্টাল গ্রুপের তিন কর্ণধার। গত বছরের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রাশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী কানিজ ফারজানা রাশেদ গেছেন কানাডায়। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আরেক পরিচালক ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিমের স্ত্রী হুমাইরা করিম। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের মালিকানাধীন গ্রুপটির কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় হাজার কোটি টাকা।
দিদারুল আলম, ইফফাত ইন্টারন্যাশনাল: বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ না করে বিদেশে পাড়ি দেয়ার নজির সৃষ্টিকারীদের আরেকজন চট্টগ্রামের ইফফাত ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী দিদারুল আলম। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ২০০ কোটি টাকা খেলাপি করে ২০১৬ সালের অক্টোবরে কানাডায় পাড়ি দেন এ ব্যবসায়ী।
২০১২ সালে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক জুবিলী রোড শাখা থেকে ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে ঋণ সুবিধা নেন ইফফাত ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী দিদারুল আলম। কিন্তু ঋণের টাকা এখনো পরিশোধ করেননি তিনি। বর্তমানে তার কাছে ব্যাংকটির পাওনা ৪৫ কোটি টাকা, যা খেলাপি হয়ে গেছে। দিদারুল আলমের আরেক প্রতিষ্ঠান রেইনবো সি ফুডসের নামে একই ব্যাংক থেকে নেয়া সাড়ে ৮ কোটি টাকাও খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
একইভাবে দিদারুল আলমের কাছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার খেলাপি ঋণ প্রায় ১২৯ কোটি টাকা। একই ব্যবসায়ীর কাছে প্রায় ৫৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক জুবিলী রোড শাখারও।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খাতুনগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. নুরুল আবছার বলেন, ব্যবসার জন্য ঋণ নিয়ে দিদারুল আলম এ টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন। এরপর সপরিবারে পলাতক হয়েছেন। অর্থঋণ মামলা দায়েরের পাশাপাশি দুদকেও এ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এএইচএম শোয়াইব, মাওলানা অ্যান্ড সন্স: চট্টগ্রামে উদীয়মান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল মাওলানা গ্রুপ। রড-সিমেন্টসহ নির্মাণ খাতে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আগ্রাবাদের বাসিন্দা মোহাম্মদ তৈয়ব উল্লাহর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তার উত্তরসূরিদের নতুন খাতে দ্রুত ব্যবসা সম্প্রসারণ ও পরিচালন অদক্ষতায় বড় লোকসানে গ্রুপটির ব্যবসা এখন বন্ধের পথে। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে আটকা পড়েছে ছয় ব্যাংকের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এ টাকা পরিশোধ না করেই ২০১৬ সালের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছেন গ্রুপের বর্তমান কর্ণধার এএইচএম শোয়াইব।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গ্রুপটির প্রতিষ্ঠান মাওলানা অ্যান্ড সন্সের কাছে ব্যাংক এশিয়া আন্দরকিল্লা শাখার পাওনা রয়েছে ৪২ কোটি টাকা। এছাড়া গ্রুপটির কাছে পাওনা সাউথ ইস্ট সিডিএ শাখার ৪৩ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংক হালিশহর শাখার ২০ কোটি টাকা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের হালিশহরের প্রায় দেড় কোটি টাকা। প্রাইম ব্যাংকের সাড়ে ১০ কোটি টাকাও খেলাপি হয়েছে। ঋণের টাকা ফেরত না পেয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংক এশিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আন্দরকিল্লা শাখার হেড অব ব্রাঞ্চ মো. শামসুল আলম বলেন, ব্যবসা পরিচালনায় ঋণ দিয়েছি। সময়মতো ঋণের টাকা ফেরত না পাওয়ায় আইনি পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। ৪২ কোটি টাকা পাওনার বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির বন্ধকি সম্পত্তির পরিমাণ খুবই সামান্য।
আনোয়ারুল হক চৌধুরী, সার্ক ইন্টারন্যাশনাল: চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য পরিবহন ব্যবসা করতেন সার্ক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক চৌধুরী। ২০০৬-০৭ সালে পরিবহনের পাশাপাশি তিনি কেমিক্যাল আমদানি শুরু করেন। কেমিক্যাল আমদানির নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিলেও তা আর পরিশোধ না করে সপরিবারে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন এ ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, আনোয়ারুল হক চৌধুরীর কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার পাওনা প্রায় ৬৭ কোটি টাকা। এছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ২০ কোটি টাকা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মুরাদপুর শাখাসহ কয়েকটি ব্যাংকের আরো প্রায় শতকোটি টাকা পাওনা রয়েছে এ ব্যবসায়ীর কাছে।
গিয়াস উদ্দিন কুসুম, শাহ আমানত আয়রন মার্ট: চট্টগ্রামের আরেকটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন ব্যাংক। ঋণের টাকা পরিশোধ না করে শাহ আমানত আয়রন নামে এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী গিয়াস উদ্দিন কুসুম এখন সপরিবারে কানাডায় বসবাস করছেন।
গিয়াস উদ্দিন কুসুমের শাহ আমানত আয়রন মার্ট ও আল মদিনা এন্টারপ্রাইজ নামের দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংক এশিয়া ভাটিয়ারী শাখার পাওনা রয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা, আইডিএলসির ৭ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ভাটিয়ারী শাখার ১৩ কোটি ও ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্সের ৭ কোটি টাকা। ইস্টার্ন, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে গিয়াস উদ্দিন কুসুমের কাছে পাওনা প্রায় ৬০০ কোটি টাকা, যা খেলাপি হয়ে গেছে। ঋণের এ অর্থ বকেয়া রেখেই ২০১৫ সালে সপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান এ ব্যবসায়ী।
শরফুদ্দিন আহমদ, ফরচুন স্টিল: ব্যাংকঋণ নিয়ে শিপ ব্রেকিং ব্যবসা শুরু করেছিলেন সীতাকুণ্ডের শরফুদ্দিন আহমদ। খাতটিতে পরে মন্দা দেখা দেয়ায় সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। বর্তমানে এ ব্যবসায়ীর কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক আন্দরকিল্লা শাখার ঋণই ১০০ কোটি টাকা।
ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের দুই ভাই: ২০০৭ সালে শিপ ব্রেকিং ব্যবসা শুরু করেন ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী তিন ভাই— জয়নাল আবেদিন, জামিল আবেদিন ও মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিয়ে এ ব্যবসা করেন তারা। এরপর ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করেই বিদেশে পাড়ি জমান জয়নাল আবেদিন ও জামিল আবেদিন। বর্তমানে সপরিবারে কানাডায় রয়েছেন জয়নাল আবেদিন। আর জামিল আবেদিন বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। যদিও ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের কাছে ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ৮০০ কোটি টাকার বেশি, যার পুরোটাই খেলপি।
মোজাহের হোসেন, ইয়াছির এন্টারপ্রাইজ: খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইয়াছির এন্টারপ্রাইজ। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি বড় পরিসরে ভোগ্যপণ্য আমদানি শুরু করে। ২০১২-১৩ সালে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বড় লোকসান হলে ব্যাংকের দায় না মিটিয়েই ২০১৪ সালের শুরুর দিকে সপরিবারে কানাডায় পাড়ি দেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মোজাহের হোসেন। ইয়াছির গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইয়াছির এন্টারপ্রাইজ ও শাপলা ফ্লাওয়ার মিলসে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।
মিশম্যাক গ্রুপের তিন ভাই: ২০০৯-১০ সালের দিকে ইস্পাত, শিপ ব্রেকিং ও আবাসন ব্যবসার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন মিশম্যাক গ্রুপের কর্ণধার তিন ভাই হুমায়ুন কবির, মিজানুর রহমান শাহীন ও মুজিবুর রহমান মিলন। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেন তারা। ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ২০১২ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শুরু করে ব্যাংকগুলো। ঠিক ওই সময় সপরিবারে বিদেশে চলে যান তিন ভাই। এদের মধ্যে মিজানুর রহমান শাহীন ও হুমায়ুন কবির বর্তমানে সপরিবারে কানাডায় অবস্থান করছেন। মুজিবুর রহমান মিলন থাকছেন সিঙ্গাপুরে।
আবু সালেহ মো. জাফর, প্যাসিফিক মেরিন: ব্যাংকঋণ পরিশোধ না করেই কানাডায় পাড়ি দিয়েছেন চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী প্যাসিফিক মেরিন সার্ভিস নামের প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আবু সালেহ মো. জাফর। ঋণের বিপরীতে জামানত না থাকায় টাকা উদ্ধারে শঙ্কিত অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলো। এ ব্যবসায়ীর কাছে ব্যাংক এশিয়ার আগ্রাবাদ শাখার পাওনা প্রায় ৮১ কোটি টাকা ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাড়ে ৬ কোটি টাকা। এ ঋণও এরই মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে।
মাকসুদুল আলম, ম্যাফ ইন্টারন্যাশনাল: চার ব্যাংকের প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রেখে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী মাকসুদুল আলম। ম্যাফ ইন্টারন্যাশনালের এ স্বত্বাধিকারী ২০০৮-০৯ সালের দিকে ফল, বিটুমিন, কেমিক্যালসহ ভোগ্যপণ্য আমদানির ব্যবসা শুরু করেন। কয়েক বছর ব্যবসা করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ নেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করে ২০১৪ সালে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। মাকসুদ অস্ট্রেলিয়ায় এখন পেট্রল পাম্পের ব্যবসা করছেন বলে পারিবারিক ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
জাহিদ হোসেন মিয়া দম্পতি, জাহিদ এন্টারপ্রাইজ: সংসদে প্রকাশ করা ১০০ জন খেলাপির তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রামের জাহিদ হোসেন মিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘জাহিদ এন্টারপ্রাইজ’। একসময়ের গ্রামীণফোন কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর এ প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জাহিদ হোসেন গা-ঢাকা দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও জাহিদের স্ত্রী মাহবুবা আক্তার জাহিদ এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন।
লেয়াকত আলী, এসএল এন্টারপ্রাইজ: বিভিন্ন ব্যাংকের ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করেই দীর্ঘদিন লন্ডনে অবস্থান করছেন এসএল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী লেয়াকত আলী চৌধুরী। সাতকানিয়ার আমিলাইশ ইউনিয়নের এ বাসিন্দা খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা করতেন।