এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তাদের হাতে চারজন ইসরাইলি সৈন্য বন্দী রযেছে। এসব সেনার মুক্তির ব্যাপারে আলোচনার যে দাবি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু করেছেন তা সত্য নয়। তারা বলেছে, এসব বন্দী বিনিময়ের ব্যাপারে তেলআবিবের ব্যর্থতা ঢাকা দেয়ার জন্য নেতানিয়াহু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি সেনা আব্রাহাম মাংগেস্তুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাাতের সময় দাবি করেন, আটক ইসরাইলি সেনাদের মুক্ত করতে গোপন কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে।
তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা মা’আ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বন্দী বিনিময়ের ব্যাপারে তেলআবিবের সঙ্গে হামাস কোনো আলোচনায় বসেনি। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ইসরাইল ঘোষণা করে, আব্রাহাম ম্যাংগেস্তু নামে তাদের এক সেনা গাজা সীমান্ত অতিক্রম করার পর আর ইসরাইলে ফিরে যায়নি। এর আগে ২০১৪ সালের ২০ জুলাই গাজায় ইসরাইলের ৫১ দিনব্যাপী যুদ্ধের সময় হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দিন কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করে, তারা শাওল অ্যারন নামের একজন ইসরাইলি সেনাকে গাজার সীমান্তবর্তী শুজায়িয়া এলাকা থেকে আটক করেছে। এই বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে তেলআবিব দাবি করে, শাওল অ্যারন আর বেঁচে নেই এবং হামাসের কাছে শুধু তার লাশ রয়েছে। কিন্তু পরে যুদ্ধ শেষে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার পর কাসসাম ব্রিগেড তাদের হাতে আটক চার ইসরাইলি সেনার ভিডিও কিপ প্রকাশ করে। শাওল অ্যারন, আব্রাহাম ম্যাংগেস্তু, হিদার গোল্ডেন ও হাশাম বডি সাইয়েড নামের ওই চার ইসরাইলি সেনা এখনো হামাসের হাতে বন্দী। ইসরাইলের হাতে বন্দী হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্ত করার বিনিময়ে চার ইসরাইলি সেনাকে মুক্তি দিতে চায় হামাস।
জলোচ্ছ্বাসে ৯ ইসরাইলি শিক্ষার্থী সেনার মৃত্যু : ইসরাইলের দণিাঞ্চলে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নয় ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে আরো একজন। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার নেগেভ মরুভূমিতে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিার্থীদের মধ্যে আটজনই নারী।
প্রাক-আর্মি প্রস্তুতিমূলক প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২৫ সদস্যের একটি দল নেগেভ মরুভূমিতে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল। দলটিতে সবার বয়স ১৮ বছর। দুই দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের পর হঠাৎ করেই ডেড সি থেকে বিশাল আকারের ঢেউ এসে জাফিত নদী ভাসিয়ে নিয়ে যায়। দলটি ওই সময় শুকিয়ে যাওয়া জাফিত নদীর ীণধারার পাশ দিয়ে হাঁটছিল। স্রোতের তোড়ে তারা নদী দিয়ে ভেসে যায়। পরে ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের হাইপোথারমিয়ার চিকিৎসা চলছে।
উদ্ধার শিার্থীদের একজন বলেন, আমরা তীব্র স্রোতের টানে নদীতে ভেসে যাই। নিখোঁজ শিার্থীর খোঁজে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও ডুবুরি দল তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর দুর্যোগ’ বলে বর্ণনা করেছেন।