এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : রাশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতায় আছেন ভ্লাদিমির পুতিন। নতুন করে ৬ বছর মেয়াদে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। চতুর্থ মেয়াদ শেষ করতে পারলে ২৪ বছর রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার গৌরব অর্জন করবেন পুতিন, যা হবে সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের নেতা জোসেফ স্ট্যালিনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড। তিনি আর কত দিন ক্ষমতায় থাকবেন, আদৌ ক্ষমতা ছাড়বেন কিনা, তা নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে নানা জল্পনা-কল্পনা আছে। রোববার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবিধানিক প্রতিবন্ধকতার কারণে পুতিন তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। রাশিয়ার আইনে একটানা দ্বিতীয় মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ নেই। ২০২৪ সালে চতুর্থ মেয়াদে পুতিনের প্রেসিডেন্সি শেষ হলে তখন তার বয়স হবে ৭২ বছর। সে সময় তিনি অবসরে যেতে পারেন এবং তার যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ২০২৪ সালের পরও ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি পথ রয়েছে। ২০০০ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন। এরপর ২০০৪ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট না থাকার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ২০০৮ সালে প্রসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ওইবার নিজের সহচর দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী করে নিজে তার অধীনে প্রধানমন্ত্রী হন। পরে ২০১২ সালে আবার প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক নিকোলাই পেত্রব বলেন, ‘চতুর্থ দফা মেয়াদ শেষে একই পন্থায় ফের ক্ষমতায় ফিরতে পারেন পুতিন।’ সেসময় তার বয়স হবে ৭৮ বছর। এ বয়সে ক্ষমতায় ফেরার জন্য নির্বাচন করবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বিশ্বের আরেক ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পন্থা অনুসরণ করতে পারেন তিনি- এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্টের নির্দিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার পথ তৈরি করেন জিনপিং। রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিমিত্রি ওরেসকিন বলেন, ‘আমি মনে করি ২০২৪ সালের পরও ক্ষমতায় থাকবেন পুতিন। জিনপিংয়ের মতোই জীবদ্দশায় ক্ষমতা ছাড়বেন না তিনি।’ যদিও মার্চে এনবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই সংবিধান পরিবর্তন করব না। আজও এ ধরনের চিন্তা আমার মধ্যে নেই।’