asianbangla.com

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

    What's Hot

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    October 18, 2024

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024
    Facebook Twitter Instagram
    Trending
    • রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত
    • দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন
    • আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা
    • করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ
    • ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই : ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনাল 
    • লন্ডনে রাইটস অফ দ্যা পিপলস এর ভারতীয় হাইকিমশন ঘেরাও কর্মসূচি
    • লণ্ডনে জিবিএএইচআর এর ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ
    • বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণমানুষকে সোচ্চার হতে হবে
    Facebook Twitter Instagram
    asianbangla.comasianbangla.com
    Demo
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • বিশ্ব
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • কূটনীতি
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • সংস্কৃতি
    • উচ্চশিক্ষা
    • প্রবাস
    • মানবাধিকার
    • মতামত
    • সারা বাংলা
      • ঢাকা
      • চট্টগ্রাম
      • রাজশাহী
      • খুলনা
      • বরিশাল
      • ময়মনসিংহ
      • রংপুর
      • সিলেট
    asianbangla.com
    Home»আলোচিত»কোটা আন্দোলন : আলটিমেটাম ২৪ ঘণ্টার
    আলোচিত

    কোটা আন্দোলন : আলটিমেটাম ২৪ ঘণ্টার

    By এশিয়ান বাংলাMay 10, 2018No Comments0 Views
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : প্রজ্ঞাপন জারি না করাকে কেন্দ্র করে ফের দানা বাঁধছে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলন। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৫ দফার আলোকে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

    নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে আগামী রোববার থেকে ফের আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।

    এদিন ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ দাবিতে মানবনন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদদের অনেকে। একই সঙ্গে তারা শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহবান জানান।
    এ অবস্থায় আগামী দু-একদিনের মধ্যে কোটা সংস্কারের বিষয়ে কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। বুধবার তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার হোক, বাতিল হোক অথবা যে ফরমেটেই থাকুক তা শিগগিরই জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটির প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করি দু-একদিনের মধ্যেই এ কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তারপর কমিটি হয়তো ১০ থেকে ২০ কার্যদিবস সময় নিতে পারে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে কোটা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হবে। একটা কাজ করতে হলে সময় দিতে হবে। আমরা কোটা সংস্কার নিয়ে কাজ করছি। এটি এ মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে।’

    কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের বিষয়ে বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। কোটা যদি দরকার হয় ক্যাবিনেট সেক্রেটারি তো আছেন।

    আমি তো তাকে বলেই দিয়েছি। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসে তারা কাজ করবেন। সেটা তারা দেখবেন।’ প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের কথা বললেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি ফেরেন আন্দোলনকারীরা। তারপরও প্রজ্ঞাপন জারি না করায় ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেন আন্দোলনকারীরা।

    এর মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে পহেলা মে থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। এমন অবস্থায় ২৭ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীমের বৈঠক হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে এবং মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাসে ৭ মে পর্যন্ত আলটিমেটামের সময় বৃদ্ধি করে আন্দোলনকারীরা। এরপর ৭ মে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমে জানান, তার কাছে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘কোটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং কোনো অগ্রগতিও নেই। আগে যে অবস্থায় ছিল, এখনও তাই আছে।’ এরপরই মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনকারীরা। বুধবারের মানববন্ধন শেষে তারা দাবি মেনে নেয়ার ব্যপারে ২৪ ঘণ্টার জন্য সরকারকে সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে তাদের দাবি অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রোববার থেকে ফের আন্দোলন শুরু হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা না রাখার বিষয়টি সংসদে ঘোষণা করেছেন। ২ মে’র সংবাদ সম্মেলনেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন কোটা থাকবে না। এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় থাকার সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুছিয়ে এনে সময় মতো প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

    বুধবার বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে বেলা ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। ‘আর নয় কালক্ষেপণ, দ্রুত চাই প্রজ্ঞাপন’, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, বৃথা যেতে দেব না’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগ হয়ে মিলন চত্বর ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসেন আন্দোলনকারীরা। সায়েন্স লাইব্রেরি থেকে মিছিল নিয়ে আসে শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। এরপর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। কলা ভবনের মূল ফটক ছাড়িয়ে ভিসি চত্বর পর্যন্ত দীর্ঘ হয় মানববন্ধন। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত মানববন্ধন চলে।

    মানববন্ধনে আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন সরকারের ওপর আস্থা রেখেছি। সরকারকে সময় দিয়েছি। কিন্তু ২৮ দিন পার হওয়ার পরও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এখন সরকার আমাদের সঙ্গে নাটক শুরু করেছে। প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যদি কালকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তাহলে রোববার থেকে সারা দেশে ছাত্ররা পথে নেমে আন্দোলন করবে। ছাত্র আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে।’

    প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ফের আন্দোলন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই অহিংস আন্দোলন করে আসছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছি। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় সময় নেয়া হলেও দাবি পূরণে অগ্রগতি দেখছি না। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে বৈঠকে মামলা প্রত্যাহারসহ যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তারও বাস্তবায়ন হয়নি। এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আলোচনায় তাদের পক্ষ থেকে যেসব কথা বলা হয়েছে, তারও বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ আমরা তাদের অনুরোধ রক্ষা করে আন্দোলন স্থগিত রেখেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের হতাশ করেছে।’

    মামুন আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও কেন গেজেট প্রকাশ হচ্ছে না? আমরা আশঙ্কা করছি, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা যাতে বাস্তবায়ন না হয়, সেজন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সংসদে ঘোষণা দেয়ার পরও প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। আমরা এ চেষ্টা সফল হতে দেব না। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই কোটার যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছি। বাতিলের দাবি আমাদের কখনোই ছিল না। তবুও যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন, আমরা সেই দাবির প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাইনি। তবে যদি কোটা বাতিল না করে যৌক্তিক সংস্কার করা হয়, তাহলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না। তবে সেটা অবশ্যই আমাদের দেয়া পাঁচ দফার আলোকে হতে হবে।’

    ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’র সুনির্দিষ্ট ৫টি দাবি হল- কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে খালি থাকা পদগুলোয় মেধাবীদের নিয়োগ দেয়া; কোনো ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না নেয়া; সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একবারের বেশি ব্যবহার না করা। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনি, নারী, জেলা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি), প্রতিবন্ধী, আনসার ও ভিডিপি, পোষ্য, খেলোয়াড়, এলাকা ও বোনসহ ২৫৭ ধরনের কোটা বিদ্যমান। এসব কোটা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারি চাকরি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতেও প্রয়োগ করা হয়। বিসিএসে মেধাতালিকা থেকে ৪৪ শতাংশ নিয়োগ হয়। বাকি ৫৬ শতাংশ আসে কোটা থেকে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য (ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনি) ৩০, মহিলা ১০, জেলা ১০ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি) ৫। এছাড়া এসব কোটা পূরণ না হলে, সেখানে ১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রতিবন্ধীর জন্য। আর যদি সংশ্লিষ্ট চাকরির ক্ষেত্রে এসব প্রাধিকার কোটা পূরণ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে মেধাতালিকা থেকে প্রতিবন্ধীর কোটা পূরণ করা হয়। এছাড়া নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও একই কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মেধাতালিকা থেকে ৩০ শতাংশ এবং বাকি ৭০ শতাংশ পূরণ করা হয় কোটা থেকে। এই কোটার মধ্যে শতাংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ৩০, মহিলা ১৫, আনসার ও ভিডিপি ১০, অনাথ ও প্রতিবন্ধী ১০ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর আর কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন, তাই এ বিষয়ে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা উচিত। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের আরও সহনশীল হতে হবে। অধৈর্য হলে চলবে না। কারণ প্রশাসনিক কাজ করতে সময় লাগে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে আন্দোলনকারীরা যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ থাকলে জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র কখনই কাম্য নয়।

    এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে মানববন্ধন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে আবার ২৫ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। ৩ মার্চের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান দাবি করেন। সমাধান না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নামেন তারা। এ সময়ে দাবি পূরণ না হওয়ায় ৪ মার্চ রাজধানীর শাহবাগে কোটা সংস্কার চেয়ে বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। দাবি আদায়ে ১৪ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি ওই দিন সারা দেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ঢাকায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে ১৬ জন আহত হন এবং ৬৩ জনকে আটক করা হয়। পরে দেশব্যাপী ছাত্র বিক্ষোভের মুখে রাত ৯টার দিকে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরে সেদিনই এ ঘটনায় আন্দোলনকারী অজ্ঞাতনামা ৭শ’ থেকে ৮শ’ জনের নামে মামলা করা হয়। এরপর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৫ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা।

    ১৮ মার্চ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। ২৫ মার্চ গলায় শিক্ষা সনদ ঝুলিয়ে রাস্তা পরিষ্কার কর্মসূচি পালন করে দাবি আদায়ে এক অভিনব প্রতিবাদ জানান চাকরিপ্রার্থী বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ১ থেকে ৭ এপ্রিল ছিল ‘কোটা সংস্কার সচেতনতা সপ্তাহ’। এরপর ৮ এপ্রিল রাতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে ছাত্র-পুলিশের মধ্যে রাতব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

    আন্দোলন চলে পরবর্তী কয়েক দিন। এ অবস্থায় ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের আশ্বাস দিলে বাড়ি ফেরেন তারা। এ আন্দোলনকে ঘিরে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
    এশিয়ান বাংলা

    Related Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024

    লন্ডনে রাইটস অফ দ্যা পিপলস এর ভারতীয় হাইকিমশন ঘেরাও কর্মসূচি

    May 8, 2024

    Comments are closed.

    Demo
    Top Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 202493

    সেনা হত্যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা

    March 1, 202466

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 202441

    বাংলাদেশ নতুন নির্বাচনের দাবীতে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানব বন্ধন

    February 19, 202437
    Don't Miss

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    By এশিয়ান বাংলাOctober 18, 20242

    স্টাফ রিপোর্টার  টাওয়ার হ্যামলেটসের জন্য ইস্ট লন্ডন ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে (ইএলএফটি) তাদের পাবলিক গভর্নর হিসেবে রফিকুল…

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024
    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from SmartMag about art & design.

    Demo
    Facebook Twitter Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp TikTok
    © 2025 AsianBangla. Designed by AsianBangla.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Go to mobile version