এশিয়ান বাংলা, খুলনা : কাল খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী আজ মধ্যরাতে শেষ হবে প্রার্থীর প্রচার কার্যক্রম। আজ সকালে নির্বাচনী মাঠে নামার কথা পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
একই সময়ে নির্বাচনী এলাকায় নামছে ১০ জন জুডিশিয়াল ও ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক মোবাইল কোর্ট। যারা আচরণ বিধিমালা ও আইন লংঘন করবে, তাদের তাৎক্ষণিকভাবে সাজা নিশ্চিত করার কথা এসব মোবাইল কোর্টের।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে এমন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হলেও ভোটারদের মধ্যে তেমন একটা চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে বস্তিবাসী, শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ এবং সংখ্যালঘুদের মধ্যে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা ভোটের আগের রাতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোট কেনাবেচার ঘটনা ঘটতে পারে। আর গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে দলটির নির্বাচনী এজেন্টরা বেশি আতঙ্কগ্রস্ত। দলটির নেতাকর্মীদের রাতে নিজ বাড়িতে না ঘুমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভোট ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ভোটে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে তাদের কাক্সিক্ষত জয় আসবে- এমন আশাবাদের খবরও প্রচার করছেন দলটির অনেক নেতা। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
তবে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী। শনিবার তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ ও ফল প্রকাশে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ আইন ও বিধিমালা লংঘনের চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রায় একই ধরনের কথা জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সোনালী সেন। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। শহরে প্রবেশের ৮টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ভোটের অনুকূল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তবে খুলনার নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ভোট গ্রহণের সময় যতই এগিয়ে আসছে, সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ততই বাড়ছে চাপা আতঙ্ক। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ১১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ও ছয়টি ওয়ার্ডে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।
দুই দলের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে ভোটে সহিংসতার পরিবেশ তৈরি করছে। এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অতি উৎসাহী কিছু নেতাকর্মী পাড়ামহল্লায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তারা নানাভাবে ভোটারদের বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে জয়ী করতে সব চেষ্টা চালাবেন। তবে ভোটারদের মধ্যে এ আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
এ বিষয়ে খুলনা জেলার সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, সাধারণ ভোটাররা চাপ অনুভব করছে, তারা আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কিনা- তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আ’লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী দু’জন প্রায় সমানে সমান। দু’জনের কেউই মেয়র প্রার্থী হতে চাননি। দুটি দল তাদের মনোনয়ন দিয়েছে। এখন নির্বাচন দুই প্রার্থীর মধ্যে নয়, আ’লীগ ও বিএনপির প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এ কারণে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে; যা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের সহায়ক নয়। দু’দলের নেতাদের বক্তব্যে সাধারণ ভোটারদের ওপর জোর খাটানোর ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে।
খুলনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেও এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের ব্যবস্থাপনা তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী পপি সাহা বলেন, আমি নতুন ভোটার। এবারই প্রথম ভোট দিতে যাওয়ার আশা আছে। দু’একদিন ধরে নির্বাচনের যে পরিস্থিতি তা আতঙ্কিত করছে। বিশেষ করে নারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতি হলে নারীরা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারকে চাপ দেয়া হয়, কিন্তু বস্তিসহ নিুবিত্তের ভোট কেনার চেষ্টার কথা শুনছি। একটি গ্রুপ অব কোম্পানির কর্মকর্তা হাজী মহসিন রোডের বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন, নির্বাচনে গুমট পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোটাররা আতঙ্কিত কিন্তু মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, দুই প্রার্থী সমানে সমান। তাদের নেতাকর্মীরা মাঠে সরব। কারও পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বললে শত্রু হতে হয়। পাশাপাশি পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করছে। এ কারণে ভোটের প্রকৃত চিত্র দেয়া কঠিন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী এসএম কামাল বলেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বিএনপি ও তাদের মেয়র প্রার্থী দায়ী। তারা বক্তব্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, কারচুপি হবে, জঙ্গি ইত্যাদি বক্তব্য দিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিশাল বহর নিয়ে মাঠ দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। অপরদিকে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। মামলা ছাড়াও গ্রেফতার করছে। এসব কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, খালিশপুর শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। দৌলতপুরেও শ্রমিকদের আধিপত্য রয়েছে। এ দুটি এলাকায় প্রায় দু’লাখ ভোটার রয়েছে। অপরদিকে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা এলাকায় আড়াই লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। শ্রমিক এলাকা ও এক হাজার ১৯টি বস্তি এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ওই সূত্র জানায়, ৭, ১৬, ১২, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা একে অপরকে ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে করা হচ্ছে। এমনকি আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বৃহস্পতিবার এক অভিযোগে নির্বাচন বানচাল করার মতো গুরুতর অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
উৎসবে আওয়ামী লীগ : সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে রয়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। তাদের মতে, খুলনার মানুষ এখন উন্নয়ন চায়। এ কারণে তারা তালুকদার আবদুল খালেককে ভোট দেবেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বাগেরহাট-২ আসনের (রামপাল-মংলা) এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়ায় তার ওপর মানুষের সহানুভূতি বেড়েছে। এছাড়া গত নির্বাচনের চেয়ে এবার তাদের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল অনেক কম। বিশেষ করে বাগেরহাট ও কুষ্টিয়ার দু’জন প্রভাবশালী এমপি এ নির্বাচনের নেপথ্যে অলিখিতভাবে মূল সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছেন। তারা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছেন। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তারা সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা কিছু ক্ষেত্রে তাদের দাবি উপেক্ষা করলেও পরে তা সমাধান করা হয়েছে। দলসূত্রে আরও জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের জন্য তৈরি করা ৩৫৫টি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি করেছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের দাবির মুখে সেখান থেকে ৯৫ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। নতুন কয়েকটি নামও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করলেও তা নির্বাচনের কার্যক্রমে তেমন প্রভাব ফেলবে না।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডে ১২ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৭ জন প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি ৪টি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী থাকলেও তা মেয়র প্রার্থী জয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। অপরদিকে বিএনপির দুই কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়া আরও ৫ জন বিএনপিপন্থী কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে জোরালোভাবে মাঠে নামছেন না। এসব কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে আগাম জয় উৎসব সৃষ্টি করছে বলেও মন্তব্য করেছেন একাধিক নেতা। তবে সরকারেন ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার অসুবিধা এ নির্বাচনে কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী এসএম কামাল বলেন, মানুষ বিএনপিকে বর্জন করেছে। তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। বিভিন্ন জায়াগায় প্রচারে গেলে সাধারণ মানুষে এভাবেই আমাদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা সাংগঠনিক সর্বশক্তি নিয়ে এ নির্বাচনে নেমেছি। আশা করছি জনগণ ভোট দিয়ে আমাদের জয়ী করবেন।
ভোট নিয়ে শঙ্কায় বিএনপি : ভোট গ্রহণ সামনে রেখে আজ রোববার ও কাল সোমবার নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ ব্যাপক হারে গ্রেফতার করবে- এমন আশঙ্কায় রয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলটির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতি রাতেই পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে ভয়-ভীতি সঞ্চার করছে। কর্মীদের মনোভাব নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এছাড়া সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে তাদের।
তবে ভোটের আগে শঙ্কা বাড়লেও আশাবাদী দলটির স্থানীয় নেতারা। তারা জানান, গত ৯ বছরে খুলনার টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্ষমতাসীনদের হাতে। এসব কারণে অনেক মানুষ তাদের ওপর বিরক্ত। এসব মানুষ নীরব রয়েছে। ভোটের দিন তারা নীরবে ধানের শীষে ভোট দেবেন। তারা আরও জানান, সিটি কর্পোরেশনের ১, ৩, ১২, ১৯ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জামায়াতের প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন। ওইসব ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থী থাকলেও তাদের পক্ষে কোনো প্রচার চালাচ্ছেন না। এসব কারণে এ নির্বাচনে মেয়র পদে জামায়াত নেতাকর্মীরা গোপনে বিএনপির পক্ষে কাজ করছে; যা ভোটের বাক্সে জমা হবে। এছাড়া ৬টি ওয়ার্ডে বিদ্রোহী কাউন্সিলর থাকলেও ইতিমধ্যে তাদের মধ্যে আপসরফা করা হয়েছে। বর্তমানে ১০ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে; যা ভোটে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ গ্রেফতারের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে। এছাড়া নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দখল হবে- এমনটিও শুনতে পাচ্ছি। তাই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছি। অন্যথায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তবে তিনি জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
প্রচার শেষ আজ : ইসি সূত্র জানিয়েছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচার শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর ৭৪ বিধি অনুসারে ভোট গ্রহণের শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে। সে অনুযায়ী ১৩ মে মধ্যরাত থেকে আগামী ১৭ মে মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রচার চালানো যাবে না। এমনকি ওই সময়ে জনসভা, মিছিল ও শোভাযাত্রাও নিষিদ্ধ।