এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর ৪০টি কেন্দ্র থেকে পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপির এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়েছে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা। এসব কেন্দ্রে ভোটারদেরও ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে এসব কেন্দ্রে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছে,’ যোগ করেন রিজভী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।
সকাল ৮টা থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল পৌনে ৯টার দিকে খুলনা নগরীর রহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি অভিযোগ করেন, ভোট শুরুর আগে অনেক কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ভোট শুরুর পর ২৫-৩০টি কেন্দ্র থেকে তাঁর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে ভোট শুরুর প্রথম দিকে নগরীর পাইওনিয়ার স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় তিনি বলেন, ‘জনগণ যে রায় দেয়, তিনি সেটি মেনে নেবেন। এ ছাড়া বিএনপি প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ভোটে জেতার আগপর্যন্ত বলে কারচুপি হয়েছে। জেতার পর বলে জনগণের জয় হয়েছে।’
বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুছ আলী বলেন, ‘দু-একটি ভোটকেন্দ্রে গোলযোগের খবর পেয়েছি। তবে সার্বিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।’
একই কথা বলেছেন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি, তবে আমরা শুনেছি। শোনার পরে খোঁজ নিয়ে দেখলাম, দু-একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি এবং ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
এই পরিপ্রেক্ষিতে সকালে ঢাকায় বিএনপির নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের কল্যাণে খুলনা সিটি নির্বাচনে চিরাচরিত উৎসবের আমেজ নেই। শুধু ভোটারদের মনে শূন্যের হাহাকার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ধানের শীষের নারী এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়। গেলে হেনস্তা করা হবে। পুরুষ এজেন্টদের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে।’