এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংস্কারের পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করা থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদ্যমান আইনবিধি ও ব্যবস্থাপনায় নামমাত্র পরিবর্তন এনে সেই কাঠামোতেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা ও সদিচ্ছার অভাব, সময়ের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে সংস্কারের বিষয়ে পিছু হঠেছে বলে জানায় ইসি সূত্র।
জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে ইসির সংলাপে উঠে আসা তিন ক্যাটাগরির অর্ধশত সুপারিশের দু’চারটি ছাড়া বাকিগুলো বাস্তবায়নে এখনও উদ্যোগ নেয়নি। পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনী আইন-গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)-এর অন্তত ৩৫টি সংশোধনী আনার প্রক্রিয়া শুরু করলেও সেখান থেকে সরে এসেছে ইসি।
এক্ষেত্রে ইসি কর্মকর্তাদের শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাবসহ কয়েকটি বিষয় বাদ দিয়ে বর্তমানে ঢিমেতালে চলছে ২৮টি সংশোধনী আনার কাজ। অন্যদিকে সমালোচনা সত্ত্বেও সিটি নির্বাচনে এমপিদের প্রচারের সুযোগ দিয়ে রোববার আচরণ বিধিমালার সংশোধনী ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়েছে এ সংশোধনীর কাজ।
এছাড়া চার সিটি নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ)’ নিশ্চিত করতে বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা এখনও পাননি ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আসন্ন গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি লংঘনের অনেক ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। আচরণবিধি লংঘন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ পড়লেও অদ্যাবধি নেয়া হয়নি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা।
তবে ইসি সূত্র জানায়, গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে শিগগিরই কমিশনাররা একটি বৈঠক করবেন। সেখানে সদ্যসমাপ্ত খুলনা সিটি নির্বাচনের ত্রুটি-বিচ্যুতি পর্যালোচনা করে চার সিটির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
নির্বাচনী সংস্কার ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, কিছু বিষয়ে ধীরে চলতে হচ্ছে। কিছু বিষয় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নির্বাচনী সংস্কার কাজ করতে হচ্ছে।
তবে আমরা রোডম্যাপে উল্লেখ করা সংস্কার কার্যক্রম থেকে সরে আসিনি। চার সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হবে। খুব শিগগিরই আমরা (কমিশনাররা) বসব। ওই সময়ে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন ও জুলাই মাসে চার সিটি কর্পোরেশনসহ অর্ধশতাধিক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই মাস মূলত এসব নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকবে ইসি। এরপরই সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল জোরেশোরে শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে সংসদ নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম নেয়ার মতো সময় হাতে নেই।
বরং নির্বাচনী আইন-বিধি ও ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংস্কার আনা হলে সঠিক সময়ে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। আইন ও বিধি মোতাবেক বিগত কমিশনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এগোতে হবে বর্তমান কমিশনের।
এছাড়া সংলাপে উঠে আসা প্রস্তাবের ৬টি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত ও ১০টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এখতিয়ারের বাইরে থাকায় এসব সুপারিশের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো ছাড়া কমিশনের এ বিষয়ে করণীয় কিছু নেই।
এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কমিশনের সক্ষমতা ও সদিচ্ছা কতটুকু তা চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বর্তমান কমিশন ইতিমধ্যে সমালোচিত হয়েছে।
তবুও চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর কতটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে, তার ওপর কমিশনের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ পাওয়া যাবে। এমনকি আগামী সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে তার ইঙ্গিত মিলবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভূমিকা কী হতে পারে, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে কিনা- তার পূর্বাভাস এ চার সিটিতে মিলবে বলেও মনে করেন তারা।
জানতে চাইল সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য কমিশন যেসব পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজনের কথা বলেছিল। এখন দেখছি তারা তা থেকে সরে এসেছে। সীমানা পরিবর্তন এর বড় প্রমাণ। বরং তাদের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়, জাতির জন্য অশনিসংকেত। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপিদের প্রচারের সুযোগ দেয়া কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সবার জন্য সমান সুযোগ দেয়ার যে যুক্তি দেয়া হচ্ছে তা সঠিক নয়। সবাই সমপদে নেই।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইসির যে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, খুলনা সিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তা অনেকাংশে নষ্ট হয়েছে। সামনের চার সিটি কর্পোরেশনে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করাই ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া ভেঙে গেলে ভবিষ্যতে চরম অনিশ্চয়তা নেমে আসবে। সংসদসহ যে কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো জয়ের জন্য সব চেষ্টাই করবে, এটাই স্বাভাবিক।
তবে তারা যদি নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা না করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে কমিশন দৃঢ়তা ও সদিচ্ছার পরিচয় দিয়ে যে কোনো গোলাযোগে ভোট বন্ধ করার মাধ্যমে খারাপ নির্বাচন ঠেকাতে পারে। কমিশন সেই ভূমিকা পালন করবে কিনা- তা দেখার বিষয়।
সামনের সিটি নির্বাচনে বোঝা যাবে সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী ধরনের ভূমিকা রাখে। ওই নির্বাচনে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে আগামী সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি কেমন হতে পারে।
জানা গেছে, সংস্কার কাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে ইসি। আবার কখনও কখনও ইসি নিজ থেকেই সংস্কার কার্যক্রম থেকে সরে এসেছে। এর অন্যতম হচ্ছে সীমানা পরিবর্তন আইন সংশোধন। এতে উপজেলা অখণ্ড রেখে খসড়া তৈরি করেছিল।
টাকা খরচ করে একজন আইন বিশেষজ্ঞও নিয়োগ করেছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওই খসড়া আইনে রূপান্তরে ইসি কোনো উদ্যোগ নেয়নি। পরে ৪০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে খসড়া প্রকাশ করে। এতেও আপত্তি জানায় আওয়ামী লীগ। পরে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। যদিও বিএনপি ২০০৮ সালের আগের সীমানায় ফেরার দাবি জানালেও তা আমলে নেয়া হয়নি।
এছাড়া আরপিওতে ৩৫টি সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছিল ইসির আইন সংস্কার কমিটি। এতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ব্যর্থতায় সর্বোচ্চ সাজা বাড়িয়ে ৭ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এছাড়া বিএনপির আপত্তি সত্ত্বেও ইভিএম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাজা বাড়ানোর প্রস্তাব বাদ দেয়া হয়। বর্তমানে ছোটখাটো ২৮টি সংশোধনী নিয়ে কাজ করছে কমিশন। ইসির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব সত্ত্বেও আরপিওতে সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব করা হয়নি।
এছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নে ভোট কক্ষের গোপন রুম কাপড়ের বদলে বোর্ড দিয়ে ঘেরাও করা, ডিজিটাল সিল ও স্ট্যাম্প ব্যবহারের প্রস্তাব এলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে কমিশন।
আরও জানা গেছে, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল বর্জন করেছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় সংস্কারে ৭টি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ওই সব কর্মপরিকল্পনা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়।
ওই কর্মপরিকল্পনা সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করতে পারেনি কমিশন। কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক সংস্থা ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। ওই সংলাপে উঠে আসা ৫০টি প্রস্তাব ও সুপারিশ তিন ভাগে ভাগ করেছে কমিশন।
এর মধ্যে সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রস্তাব ৬টি, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল ১০টি ও নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত ৩৪টি। এর বেশির ভাগই বাস্তাবায়নের কোনো উদ্যোগ নেই ইসির।
কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর কমিশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আনা, দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া আছে নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং, প্রার্থীর জামানত কমিয়ে আনা, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন ইসির নিয়ন্ত্রণে ছিল কিনা- তা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচন কে করছে? প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, পুলিশ, প্রশাসন নাকি নির্বাচন কমিশন- কার হাতে নিয়ন্ত্রণ তা বুঝতে পারছি না। নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতি ঘোলাটে মনে হচ্ছে। সামনের নির্বাচনে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তা দেখার অপেক্ষায় আছি।
তবে সবার সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করা কঠিন বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিবেশ পুরোটা ইসির নিয়ন্ত্রণে নয়। খুলনা সিটি নির্বাচনে আমরা অনেক বেশি প্রচেষ্টা নেয়ার পরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটেছে।
আমরা এসব চিহ্নিত করার কাজ করছি। আমাদের দুর্বলতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে গাজীপুর ও তিন সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব নির্বাচনী সংস্কার কাজ করছি। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমাদের হাতে সময় কম সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারও ইচ্ছায় বা চাওয়া অনুযায়ী আমরা সংস্কার করছি না। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করছি।
আইন মন্ত্রণালয়ে আচরণবিধি : জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সংশোধনী ভেটিংয়ের জন্য রোববার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইসি। এতে সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকার এমপিদের প্রচারের সুযোগ থাকবে না।
তবে অন্য এলাকার এমপিরা প্রচারের সুযোগ পাবেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আচরণ বিধিমালায় সংশোধনী আনল নির্বাচন কমিশন। তবে আগামী ১৩ জুনের আগে বিধিমালা সংশোধনীর প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে এমপিরা প্রচারে নামতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন সিইসি।