বিশেষ প্রতিনিধি ঃ বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আরও বেগবান করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিতেও বলেছেন তিনি।
এক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির নির্বাচন দেখে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন তিনি।
বুধবার (২০ জুন) বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান। তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আহমেদ আজম খানের মাধ্যমেই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের এসব নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
আহমেদ আজম খান কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে আসার পর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া বলেছেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন ও তার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে।
নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে চলমান ‘নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে’ বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে সেখানে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও সরকারের কী ভূমিকা থাকে, তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে বলেছেন।
এ বিষয়ে আহমেদ আজম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি গিয়েছিলাম তার পারিবারিক আইনজীবী হিসেবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির অংশ নিতে কোনও অসুবিধা নেই বলেছেন ম্যাডাম। কিন্তু খুলনা মডেলের নির্বাচন জনগণ দেখতে চায় না। এসব স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো প্রমাণ করে সরকার জনগণের ভোটের নির্বাচন করে না। তারা সিল মারা নির্বাচন করে। খুলনা মার্কা নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য সুফল বয়ে আনে না। আমরা গাজীপুর নির্বাচন দেখবো, তারপর সিদ্ধান্ত নেবো বাকিগুলোতে অংশ নেবো কিনা।’
খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থা ভালো নয় দাবি করে আহমেদ আজম বলেন, ‘চিকিৎসা নিয়ে তার (খালেদা জিয়া) পরিষ্কার কথা হলো—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)—এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে তার কোনও অভিযোগ নেই। এগুলো অনেক ভালো। অযথা এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকার বির্তকিত করছে।’
আজম খান আরও বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে আমি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চাই এ জন্য যে, এর আগেও এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি এবং সেখানকার ডাক্তাররা আমার রোগ সম্পর্কে ভালো জানেন। এ কারণে আমি সেখানে চিকিৎসা নিতে চাই। এখানে নতুন করে বিতর্ক করার কিছু নেই।’