এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : তুরস্কের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ফুয়াত উকতাই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর নতুন প্রেসিডেন্সিয়াল সরকারের ১৬জন মন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। নব নিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ফুয়াত উকতাই এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী সচিব ছিলেন।
১৯৬৪ সালে তুরস্কের আনাতোলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন ফুয়াত উকতাই। ১৯৮৫ সালে তিনি চুকোরোভা ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলরস ইন ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯০ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েন স্ট্যাট ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বিজনেসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওকতাই টার্কিশ এয়ারলাইয়েন্সে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহকারী সচিব হিসেবে কাজ করেছেন।
বর্তমান সেনাপ্রধান হুলুসি আকারকে তার সরকারে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন এরদোগান। তবে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসুগলুকে অপরিবর্তিত রেখেছেন।
এরদোগানের নতুন সরকারে ১৬ জন মন্ত্রী স্থান পেয়েছেন। বিগত সরকারে তার মন্ত্রিপরিষদ ছিল ২৬ জনের। বিগত দিনগুলোতে নানা প্রচেষ্টার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্ত হতে ব্যর্থ হওয়ায় এরদোগান তার বিগত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ইইউ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করেছেন।
আইনমন্ত্রী হয়েছেন আবদুল্লাহ মিথ গুল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মেহমেত কাসাপোগলো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লো, পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী মেহমেত এরসুই, শিক্ষামন্ত্রী জিয়া সেলজুক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেততিন কুচসা।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট পদে বিপুল ভোটে পুনরায় বিজয়ী হওয়ার পর নতুন করে শপথ নেয়ার মাধ্যমে তিনি তুরস্কের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হলেন এরদোগান। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তার এ অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এরদোগানের অভিষেক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এরদোগান। ২০১৪ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১১ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এরদোগান।
নতুন নির্বাচনের আগেই সংবিধান সংশোধন করে তুরস্কের একক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে নেন এরদোগান। নতুন শাসনব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মতো ব্যাপক ক্ষমতার চর্চা করতে পারবেন। মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের নিয়োগ ও বহিষ্কার করার ক্ষমতা, বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও তাদের বহিষ্কার করার কর্তৃত্বও তার হাতেই থাকছে।