এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : নকআউট পর্বে টানা তিনটি ১২০ মিনিটের ম্যাচ খেললেও ফাইনালের আগে দলে বড় কোনো চোট সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ। ফ্রান্সও প্রস্তুত চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য।
মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া।
গত তিন রাউন্ডে ফ্রান্সের তুলনায় অনেক কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা ক্রোয়েশিয়াকে। শেষ ষোলোয় ডেনমার্ককে ও কোয়ার্টার-ফাইনালে রাশিয়াকে টাইব্রেকারে হারানোর পর সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডকে অতিরিক্ত সময়ে গোলে হারায় দলটি। ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় দলটির ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ ও ডিফেন্ডার ইভান স্ত্রিনিচকে।
শুক্রবার ক্রোয়েশিয়ার অনুশীলনে ছিলেন না পাঁচ খেলোয়াড়। তবে দলের সব খেলোয়াড় ফিট আছেন বলে জানালেন দালিচ।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ৫১ বছর বয়সী কোচ বলেন, “আগামীকাল বিশ্বকাপের ফাইনাল। খেলোয়াড়রা জানে, এর অর্থ কি। একটা বিষয় আমাকে খুশি করে যে, আমার সব খেলোয়াড়রা শতভাগ ফিট না থাকলে আমাকে বলে।”
“আমি তাদের কাছে আশা করি, ম্যাচে যদি তারা তাদের সর্বোচ্চটা দিতে না পারে তাহলে তারা যেন আমাকে বলে।”
নকআউট পর্বে নিজেদের তিনটা ম্যাচে ফ্রান্সের তুলনায় ক্রোয়েশিয়াকে মোট ৯০ মিনিট বেশি খেলতে হয়েছে। ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষের চেয়ে ক্রোয়াটরা বিশ্রামও একদিন কম পেয়েছে। তবে তা নিয়েও চিন্তিত নন দালিচ।
“অনুশীলন সেশন নিয়ে আমরা জোর করিনি। আমাদের অনুশীলন করার কিছু নেই। আমাদের একটু বিনোদন ও বিশ্রাম দরকার। আমাদের ছোট ছোট কিছু চোট সমস্যা আছে। তবে আমি আশা করি, এগুলো আজ আমরা কাটিয়ে উঠব এবং আমার সব খেলোয়াড় খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।”
“তারা যদি প্রস্তুত না থাকে তাহলে বেঞ্চে আমাদের দারুণ সব খেলোয়াড় আছে যারা খেলতে মরিয়া হয়ে আছে।”
“জয় বা পরাজয় যাই হোক না কেন ক্রোয়েশিয়ায় এটা (ফাইনাল খেলতে নামা) অনেক বড় একটা ঘটনা হবে। এটা আমাদের শক্তি ও প্রেরণা জোগায়।”
“একজন খেলোয়াড় বা একজন কোচের জন্য আগামীকালকের চেয়ে ভালো কোনো মুহূর্ত হতে পারে না। যাই ঘটুক, আমরা খুশি ও গর্বিত হব। কারণ এটা আমাদের প্রাপ্য।”
১৯৯৮ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল ক্রোয়েশিয়া। ফরাসিদের সঙ্গে শেষ পাঁচ লড়াইয়েও কোনো জয়ের দেখা পায়নি তারা। তবে এসব পরিসংখ্যান একটুও ভাবাচ্ছে না দালিচ ও তার খেলোয়াড়দের।
“আমি পরিসংখ্যান, ঐতিহ্য ও মুখোমুখি লড়াই নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না। আগামীকাল ফাইনাল। মাঠের অন্য পাশে কারা আছে এটা আমরা পরোয়া করি না। আমরা এখানে ফাইনাল উপভোগ করতে এবং আমাদের সেরাটা দিতে এসেছি।”