এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ভারতের জি হিন্দুস্তান টেলিভিশনে তিন তালাক নিয়ে একটি টকশোতে আলোচনার সময় ক্ষেপে গিয়ে মাওলানা ইজাজ আরশাদ কাসেমির গালে থাপ্পড় মারেন দেশটির সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএএস) সঙ্গে যুক্ত রাষ্ট্রীয় মুসলিম মহিলা সঙ্ঘের প্রধান(অনারারি) ফারাহ ফাইয়াজ।
পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনায় মাওলানা আরশাদকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ফারাহ ফাইয়াজ বলেন, স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কোরআনে তিন তালাক প্রথার স্বীকারোক্তি নেই। মুসলিম নারীদের সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকতে তালাক-ই-বিদায়াত কোনো ধরনের আপস ছাড়াই মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। এ নিয়ে যথাযথ আইন না থাকায় মুসলিম নারীরা লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হন।
আইনজীবী ফারাহ ফাইয়াজ উত্তরপ্রদেশে মুসলিম উইমেনস কোয়েস্ট ফর ইকুয়ালিটি নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালান। ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএএস) সঙ্গে যুক্ত রাষ্ট্রীয় মুসলিম মহিলা সঙ্ঘের প্রধান তিনি।
ভারতের সুপ্রিমকোর্টে তিন তালাক মামলার আবেদনকারীদের মধ্যেই তিনি একজন। তার করা মামলার রায়ে গত বছর ভারতের সুপ্রিমকোর্ট তিন তালাকপ্রথাকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
আরএসএস নেত্রী ফারাহ ফাইয়াজ অভিযোগ করে বলেন, নিম্নআদালত ও উচ্চআদালতের পাশাপাশি মুসলিম ধর্মীয় নেতারা একটা বিচারিক ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা মুসলিম নারীদের আদালতে যেতে বাধা দেন।
ফারাহ ফাইয়াজের এসব মন্তব্যকে ইসলামবিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেন মাওলানা কাসেমী।
কাসেমীকে ভারতের প্রধান মুসলিম পণ্ডিতদের একজন বলে দাবি করেছে ফতওয়াহ অনলাইন। তিনি উর্দু সাহিত্য ও ফিকাহ শাস্ত্র বিশেষজ্ঞ। কোরআন ও সুন্নাহ নিয়ে গভীর পাণ্ডিত্যের জন্যও তার খ্যাতি রয়েছে।
লাইভ টকশোতে চড়-থাপ্পড় ও হাতাহাতির ঘটনায় দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঝড় ওঠে। অনেকেই মাওলানা কাসেমীকে ধুয়ে দিয়েছেন। তার পক্ষেও কথা বলেছেন কেউ কেউ।
অলোক ভাট নামে এক ব্যক্তি টুইটারে বলেন, মাওলানা কাসেমী যা করেছেন, তা নিয়ে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আগেই দেখতে হবে ওই মহিলাই তাকে প্রথম চড় মেরেছেন।