এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম, কেন্দ্র দখল ও কারচুপির অভিযোগের মধ্যে বেরিয়ে এসেছে অস্বাভাবিক ভোট পড়ার হারও। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টিতে ৯০ শতাংশ বা এর বেশি এবং ৫৮টিতে ৮০ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পড়েছে।
এছাড়া সিলেট সিটির কোথাও ১৯ শতাংশ আবার কোথাও ৯১ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ ভোট পড়ার হারকে অস্বাভাবিক মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, রাজশাহীতে একই ভোট কেন্দ্রে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদেও ভোট পড়ার ক্ষেত্রে ভিন্নতা পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব কেন্দ্রের বিস্তারিত ফল পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, তিন সিটিতেই অস্বাভাবিক হারে ভোট পড়েছে। এতে নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি, কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে, এটা কি সম্ভব? এর আগেও খুলনা ও গাজীপুর সিটিতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। এবার তিন সিটিতে ওই হারে ভোট পড়েছে। কারণ গাজীপুর ও খুলনার মডেলে তিন সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এসব বিষয় খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে এমন ভোট পড়ার হারকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনে জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল ও কারচুপি হয়েছে তার প্রমাণ হচ্ছে এ অস্বাভাবিক ভোট।
যেসব কেন্দ্রে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, সেখানে অস্বাভিক ভোট পড়াই স্বাভাবিক। এখন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে- ৯০ শতাংশের বেশি ও ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়া কেন্দ্রগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া। একই সঙ্গে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনের এ ফল গ্রহণ করে গেজেট প্রকাশ করবে নাকি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল এখনও হাতে পাইনি। ফল পাওয়ার পর আমরা দেখব কোন কেন্দ্রে কত সংখ্যক ভোট পড়েছে। পরে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এর আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনটি ভোট কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছিল। নির্বাচন কমিশনের একজন যুগ্ম-সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি ওইসব কেন্দ্রের ওপর অনুসন্ধান চালিয়েছিল। ওই অনুসন্ধানে তিন কেন্দ্রেই অনিয়মের তথ্য পেয়েছিল কমিটি।
ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল। এবার রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ১২টি ও সিলেটে ২টি কেন্দ্রে ৯০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়েছে। তবে বিষয়টি এখনও ইসি খতিয়ে দেখেনি।
নির্বাচনের ফলাফলে আরও দেখা গেছে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৮১ ভোট পড়েছে। বৈধ ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৯০ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯১টি। অপরদিকে সিলেট সিটিতে ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ সিটিতে ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২টি ভোটের মধ্যে বৈধ ভোট ১ লাখ ৯১ হাজার ২৮৯টি ও বাতিল ৭ হাজার ৩৬৭টি। এ সিটিতে প্রায় ৪ শতাংশ ভোট নষ্ট হয়েছে।
এ সিটিতে ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট।
সোমবার তিন সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তিনটিতেই কমবেশি কারচুপি, কেন্দ্র দখল করে জালভোট, ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়া, প্রার্থীকে মারধর, সহিংসতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছে বিএনপিসহ অন্য দলের প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধেও পক্ষপাতের অভিযোগ আনেন।
ভোটে অনিয়মের অভিযোগে বরিশাল সিটির ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ ও আরও ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সহিংসতা ও অনিয়মের ঘটনায় সিলেটের দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে রাজশাহীর কোনো ভোটকেন্দ্র স্থগিত হয়নি।
এ সিটিতে অনেক ভোটার তাদের ভোট দিতে পারেননি। ভোট দেয়ার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে কোনো কোনো কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভোটাররা।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন : ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৩৮টি ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি কেন্দ্রে ৮০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ১২টি ভোটকেন্দ্রে ৯০ শতাংশ বা তার বেশি ও ৫৮টিতে ৮০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়েছে। আর ৪৬টি কেন্দ্রে ৭০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলোতে ৭০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে ভোট পড়েছে। এছাড়া অনেক কেন্দ্রে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে একেক ধরনের ভোট পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, রাজশাহীর নগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৫৭৬টি ভোটের মধ্যে ২ হাজার ৫০৪টি ভোট পড়েছে। বাকি ৭২টি ভোট পড়েনি। এ কেন্দ্রে নৌকায় ১ হাজার ৬৩২টি ও ধানের শীষে ৮০৫টি ভোট পড়েছে। কাশিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯১ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৫৮৬টি ভোটের মধ্যে ২ হাজার ৩৭১টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে ১ হাজার ৫৭৫টি ও ধানের শীষ প্রতীকে ৬৬৭টি ভোট পড়েছে।
এছাড়া গুড়িপাড়ার গোলজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯০ দশমিক ৪৬ শতাংশ, গোলজারবাগ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ, ঠাকুরমারা কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯১ দশমিক ১৭ শতাংশ ও সপুরার রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট (২য় তলা) কেন্দ্রে ৯১ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এছাড়া শিরোইল কলোনীর আলী নেওয়াজের অটো গ্যারেজের মাঠ কেন্দ্রে ৯১ দশমিক ১৯ শতাংশ, ছোট বনগ্রাম মাধ্যমিক আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯০ দশমিক ৭০ শতাংশ, শাহ মখদুম ডিগ্রি কলেজে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ, ভদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯২ দশমিক ৭১ শতাংশ, সায়ের খাতুন নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯১ দশমিক ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে ও মীর আইউব আলী বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রে ৮৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সব কটি কেন্দ্রে নবনির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিপক্ষের মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
ফল পর্যালোচনা করে আরও দেখা গেছে, একই কেন্দ্রে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটের ভিন্নতা পাওয়া গেছে। রাজশাহীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেয়র পদে ২ হাজার ৩৭১টি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রেই সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ২৭৭টি ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৩৬৪টি ভোট পড়েছে। অর্থাৎ এ কেন্দ্রে মেয়রের তুলনায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪টি ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭টি কম ভোট পড়েছে। একইভাবে রাজশাহীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে রাজশাহী কোর্ট কলেজ কেন্দ্রে মেয়র পদে ২ হাজার ৩১২টি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ২৫টি ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ১০২টি ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে মেয়র পদের তুলনায় সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৮৭টি ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১০টি কম ভোট পড়েছে। এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউসেপ মোমেনা বখশ স্কুল কেন্দ্রে মেয়র পদে ২ হাজার ৫২৮টি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৫০৬টি ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৫৫৩টি ভোট পড়েছে। আরও অনেক কেন্দ্রে একই ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে।
ইসির একজন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, একজন ভোটারকে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের পৃথক তিনটি ব্যালট পেপার ইস্যু করার নিয়ম রয়েছে। এ হিসাবে প্রত্যেকটি পদেই একই সংখ্যক ব্যালট ইস্যু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু একই কেন্দ্রে একেক সংখ্যক ব্যালট ইস্যুর কারণ হচ্ছে- হয় ভোটার তিন পদেই ব্যালট নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন অথবা ওই কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন : সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট হারের অস্বাভাবিক তারতম্য দেখা গেছে। একটি কেন্দ্রে ৯১ দশমিক ৭১ শতাংশ ও আরেকটি কেন্দ্রে ১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তারা, এ দুটিকেই অস্বাভাবিক ভোটের হার বলে মনে করছেন। এ সিটি নির্বাচনে আরও দুটি ভোটকেন্দ্রে প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
৭টি কেন্দ্রে ৮০ শতাংশ বা তার বেশি ও ২৬টি কেন্দ্রে ৭০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়েছে। অপরদিকে অন্তত ৩টি ভোটকেন্দ্রে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ সিটিতে সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৯১ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ কেন্দ্রে ২ হাজার ২৪৪টি ভোটের মধ্যে ২ হাজার ৫৮টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বদরউদ্দীন আহমদ কামরান পেয়েছেন ১ হাজার ১৫৫ ভোট। পক্ষান্তরে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৬৪০ ভোট। অপরদিকে পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সর্বনিম্ন ১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে ২ হাজার ১৭১টির মধ্যে ৪২৯টি ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন।
আরও দেখা গেছে, সিলেটের শেখঘাট এলাকার মঈনুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৯ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী ৯৬০ ভোট ও আওয়ামী লীগের বদরউদ্দীন আহমদ কামরান ৯০০ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে শাহ গাজী সৈয়দ বুরহানউদ্দিন রহঃ মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৮৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে নৌকায় ১ হাজার ৫৭৬টি ভোট ও ধানের শীষে ১ হাজার ২৫৭টি ভোট পড়েছে। এ দুটি কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন জালভোট দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
সিলেট সিটি নির্বাচনের যেসব কেন্দ্রে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে সেগুলো হচ্ছে- একাডেমিক ভবন প্রাইমারি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট পিটিআই (৩৫.৮২ শতাংশ) ও শাহজালাল উপশহর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র (৩৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ)। এছাড়া যে আটটি কেন্দ্রে ৮০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়েছে সেগুলো হচ্ছে- মঈনুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৮৬.৪৭ শতাংশ), শেখঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৮৯.৪২), কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৮৩.৪২ শতাংশ), কাজী জালাল উদ্দিন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৮০.৬৪ শতাংশ), নবীনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৮০.৬১ শতাংশ), স্কলার্স হোম প্রিপারেটরি স্কুল (৮৭.২৩ শতাংশ) ও বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল (৮৪.৩০ শতাংশ)।