এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ এবং ঘাতক বাসচালকের ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে টানা চতুর্থ দিনের মতো বুধবারও অচল ছিল ঢাকা। যাত্রাবাড়ী দনিয়া থেকে উত্তরা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক আটকে রেখে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দিনভর বিক্ষোভ করে। অধিকাংশ সড়কে তেমন যানবাহন চলাচল করেনি। ফলে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছায় নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। আজ সকাল ১০টা থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে শনিবার থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেয় তারা। এ অবস্থায় সরকার আজ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করেছে।
রোববার জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই ছাত্রছাত্রীর মৃত্যুর পর থেকে শিক্ষার্র্থীরা আন্দোলনে নামে। বুধবার চতুর্থ দিনের মাথায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঢাকার পর চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিন যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া এলাকায় উল্টোপথে আসা দ্রুতগতির একটি পিকআপ (মাঝারি ট্রাক) ফয়সাল নামে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এদিকে নারায়ণগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকরাও সকাল থেকে ৬ ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন। সেখানে রাস্তায় স্কুলছাত্রদের মারধর করার ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থার মধ্যেই সচিবালয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে তিনি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। ঘাতক বাস জাবালে নূর পরিবহনের মালিক মো. শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া ঘাতক বাসের চালক মাসুম বিল্লাহকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিন দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, বনশ্রী, রামপুরা, খিলক্ষেত, ভাটারা, বাড্ডা, উত্তরা, কাকরাইল, বেইলি রোড, শান্তিনগর, ফার্মগেট যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কগুলোতে অবস্থান নেয়। সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা কলেজ, ধানমণ্ডি আইডিয়াল, উইলস ফ্লাওয়ার, নটরডেম কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশরী গালর্স কলেজ, হাবিবুল্লা বাহার কলেজ, উত্তরা ও মিরপুর এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। তবে এদিন শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীদের কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে ঢাকার রাজপথ।
সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। ভয়ে বেশিরভাগ সড়কে তেমন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। গণপরিবহন না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরে বিকাল ৪টার দিকে বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিবার দুর্ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাস দেয়া হয়। সেগুলো বাস্তবায়ন হয় না। তাই আশ্বাস নয়, তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা বলেন, নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং ঘাতক চালকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে হুশিয়ার করে দেন। এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ না করে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি সামলাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গিয়ে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করছেন পুলিশ।
সরেজমিন দেখা গেছে, বুধবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের কারণে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ভয়ে রাস্তা থেকে গণপরিবহন কমতে থাকে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজ অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল শিক্ষার্থীদের। এ রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে হৃদরোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ বাবা আজিমুল হককে উত্তর বাড্ডা থেকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ছেলে শরিফুল। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, হঠাৎ বাবার হার্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে। জরুরি হাসপাতালে নিতে হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে বের হয়েছি, এক ঘণ্টা লাগল রামপুরা ব্রিজে আসতে। শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিলেও রাস্তায় আটকে থাকা গাড়ির জন্য আমরা যেতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শরিফুল। শুধু শরিফুল নন, তার মতো অনেকেই সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কাকরাইলে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, তিন দিন ধরে রাস্তায় একই অবস্থা। হেঁটে অফিসে যাচ্ছি। অফিস থেকে যখন ফিরব, তখন ভয়াবহ যানজট থাকে। তাই ফিরতেও হয় হেঁটে। সৌভাগ্যবান কেউ কেউ রিকশা বা ভ্যান পেলেও বহু মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করতে হয়। আর ঢাকা থেকে বের হওয়ার দুই গুরুত্বপূর্ণ পথ উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীর রাস্তা বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েন অনিশ্চয়তায়।
আমাদের উত্তরা প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিতে চাইলে পুলিশি বাধায় ব্যর্থ হয়। জসীমউদ্দীন রোড, বিমানবন্দর গোলচত্বর, কাওলা ওভারব্রিজ, খিলক্ষেত, বিএনএস সেন্টারের সামনে হাউসবিল্ডিং নর্থ টাওয়ারের সামনে তারা রাস্তা অবরোধ করে। দুপুরের দিকে জসীমউদ্দীন রোড থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে অবরোধ করে ছাত্ররা গাড়ি ভাংচুর করে। একাধিক শিক্ষার্থী বলে, আমারা সহপাঠীদের হত্যার বিচার চাই। নিরাপদ সড়ক চাই। মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস হলেই আমরা ঘরে ফিরে যাব।
যাত্রাবাড়ী ও দনিয়া প্রতিনিধি জানান, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা গাড়ি থামিয়ে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে। একপর্যায়ে এক পিকআপচালক লাইসেন্স না দেখিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ফয়সালকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কলেজছাত্র ইয়াছিনসহ ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ২০ থেকে ২৫টি যানবাহন ভাংচুর করে। বিক্ষোভ থেকে সন্তানকে বাসায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টায় থাকা এক মা বলেন, সরকার কেন এখনও সমাধান দিচ্ছে না? সরকার দাবিগুলো মেনে নিক, যাতে আমাদের সন্তানরা দ্রুত বাড়িতে ফিরে যেতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শ্রমিকরা প্রায় ৮ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এ সময় পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এত কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মিরপুর থেকে যুগান্তরের প্রতিনিধি জানান, মিরপুর-১৪ নম্বর থেকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ১০ নম্বরের দিকে এলে আন্দোলকারীরা ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। এ সময় পিকআপ ভ্যান রেখে পুলিশ সদস্যরা চলে গেলে শিক্ষার্থীরা ভ্যানটি ভাংচুর ও উল্টে দেয়।
শনিবার থেকে সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক : রাজাধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এখান থেকে তারা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। নতুন কর্মসূচি হিসেবে শুক্রবার কালো ব্যাচ ধারণ এবং শনিবার থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন।
সড়কে সড়কে চালকদের লাইসেন্স যাচাই : পুলিশের এক কর্মকর্তা মোটরসাইকেলে (ঢাকা মেট্রো হ-৩৫-৫৩২৭) যাচ্ছিলেন। ওই সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কর্মকর্তার পথরোধ করে লাইসেন্স দেখতে চায়। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ছাত্রদের বলেন, আমার ভুল হয়েছে, আমাকে ছেড়ে দাও। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ছেড়ে দেয়। পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডের এই কথোপকথন রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হলে তা ভাইরাল হয়। এদিন পুলিশের পাশাপাশি সড়কে লাইসেন্স তল্লাশি করে শিক্ষার্থীরা। লাইসেন্স না থাকায় বেশ কয়েকটি গাড়ি আটক করে বিক্ষোভ করে তারা। তবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যখন গাড়ির লাইসেন্স যাচাই করছিলেন, তখন বহিরাগতরা গাড়ি ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করে পুলিশ। ফার্মগেট এলাকায় গাড়ি ভাংচুরের সময় এমন একজনকে হাতেনাতে আটক করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
শক্তি প্রয়োগ না করার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের : রাজপথে নেমে আসা শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশকে কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ না করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। জনদুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার পুলিশকেও সাবধানে থাকতে বলেছেন। খালি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করেছেন। ডিএমপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমার গাড়ি বাংলামোটর এসে পৌঁছলে বিক্ষোভকারীদের সামনে পড়ে। এ সময় আমি গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলি। আমি শিক্ষার্থীদের বলি, ‘এ ঘটনায় আমি নিজেও কষ্ট পেয়েছি। দুটি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীর এ মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। তারা যে আবেগের প্রকাশ ঘটিয়েছে, এটি সঠিক।’
তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, ‘এরই মধ্যে সরকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্ত চালক ও হেলপারদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’
শুক্রবার মানববন্ধন করবে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) : সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে শুক্রবার মানববন্ধন করবে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে সংগঠনটি।