এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : তিউনিসিয়ার প্রত্যন্ত এলাকা জেবেল দাহারের মাতমাতা গ্রাম। যাকে পৃথিবীর একমাত্র ‘মাটির তলায় দুনিয়া’ বললেও ভুল হয় না। কয়েক শতাব্দী ধরে এসব বাড়িতে বসবাস করে আসছে অধিবাসীরা। গ্রীস্মের গরম আর শীতের কনকনে ঠাণ্ডা থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষা দেয় মাটি দিয়ে মাটির নিচে তৈরি এই বাড়িগুলো। মাটির নিচে নির্মিত এই বাড়িতে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বাস করছেন ৩৬ বছর বয়সী সালিহা মোহাম্মেদি।
এমন আরও শতাধিক পরিবারের বাস এই গ্রামে। কয়েকদশক আগেও এ সংখ্যা হাজারেরও বেশি ছিল। ৭০-৮০’র দশক থেকে ধীরে ধীরে জনশূন্য হচ্ছে গ্রামটি। নগরায়নের আধুনিক জীবনের ডাকে বাপ-দাদার ঐতিহ্য ফেলে শহরে ছুটছে আজম্যাকৃত স্বাবলম্বী পরিবার। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে পড়ে আছেন। তবে বেশিরভাগই আছেন শেকড়ের টানে। নাড়ির টানে। রাজধানী তিউনিস থেকে এখানকার দূরত্ব প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার। চারপাশ বাঁধানো মাঝখানে গভীর গর্ত। গর্তের ভেতরটাই পুরো একটা বাড়ি। বাড়ির মধ্যে নামার জন্য আছে সিঁড়ির ব্যবস্থা। গর্তের দেয়াল খুঁড়ে তৈরি করা হয়েছে ছোট-বড় কক্ষ। দরজা ছোট হলেও কক্ষের ভেতরগুলো অনেকটা প্রশস্ত। কোনোটা শোবার ঘর, কোনোটা রান্নাঘর। কোনোটা আবার গুদামঘর। মাটির নিচের একটি শোবার ঘর। অনেকটা সুড়ঙ্গের মতো ঘরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। দুই পাশে দুটি বিছানা। মাঝে কার্পেট বিছানো। এককোণে অন্যান্য আসবাবপত্রের সঙ্গে একটি টিভি। ছবিতে, কার্পেটে বসে কাজ করছেন দুই বোন সামার (১৮) ও লতিফা বেন ইয়াহিয়া (৩৮)। বিছানায় শুয়ে টিভি দেখছে
তাদের ভাই। আলজাজিরা