এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কোন ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতির পদে রয়েছেন তার ব্যাখ্যা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন। এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রীকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। না হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাদারীপুর-২ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে সংবিধানের তৃতীয় তফসিলের ১৪৮ ধারা মতে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আপনি সংবিধান সংরক্ষণ, সকল নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ করার শপথ নিয়েছেন। এ অবস্থায় রাগ অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করা নৈতিকতাবিরোধী। যেহেতু শ্রমিক সংগঠন একটি কালেকটিভ বার্গেনিং এজেন্ট (সিবিএ) যা শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করার নিয়ম। সেখানে রাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী হয়েও আপনি সিবিএ-এর কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা অসাংবিধানিক।
নোটিশে বলা হয়েছে, শ্রমিক যদি কোনো সমস্যা বা অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে, তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন। মন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি সাংবিধানিক এবং নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। এ ব্যাপারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে অনুরোধ করা হল। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন ও শপথ ভঙ্গের অভিযোগে আদালতের আশ্রয় নেয়া হবে।