এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : যাদের এ্যাজমা আছে বছরের এই সময়টাতে অর্থাৎ শীতের সময়টাতে কষ্ট কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বড়রা তাদের যেকোনো সমস্যায় অন্যের সাথে আলোচনা করে সমাধান করতে পারে। কিন্তু শিশুরা এটা পারে না। আর তার জন্যই তাদের এক সমস্যা থেকে আরো অনেক সমস্যা তৈরি হয়ে যায়।
এ্যাজমা ডায়েরি: একটা শিশুর চিকিৎসা ঠিকভাবে হওয়ার জন্য মা বাবার উচিত শিশুর এ্যাজমা বিষয়ক উন্নতি অবনতি লিপিবদ্ধ করা। কারণ ডাক্তার অবশ্যই জানতে চাইবে যে তার চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ করছে কি না।
তাই আপনার শিশুর রোগের দৈনন্দিন সব খুঁটিনাটি লিখে রাখার জন্য আজই এ্যাজমা ডায়েরি তৈরি করুন। আপনার শিশুর কখন এ্যাজমা এ্যাটাক হয়েছে, কোন কোন দিনে হয়েছে এবং লক্ষণগুলো কী কী ছিল সব বিস্তারিত লিখে রাখুন। অবশ্যই দিন তারিখ লিখতে ভুলবেন না।
শিশু যদি নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করে তবে ঔষধের প্রতিক্রিয়া এবং ডোজের পরিমাণও লিখে ফেলুন। আর কোন পরিস্থিতিতে তার এ্যাজমা বেড়ে যায় সেটাও লিখতে হবে পরিপূর্ণভাবে।
পিক ফ্লো মিটার: প্রতি মিনিটে ফুসফুসে কতটুকু বাতাস পরিবাহিত হয় এটা পরিমাপের জন্য পিক ফ্লো মিটার ব্যবহার করা হয়। এটা আপনাকে শিশুর ফুসফুসের অবস্থা জানতে সাহায্য করবে। আপনার ডাক্তার বা ডাক্তারের সহযোগীর কাছ থেকে পিক ফ্লো মিটার ব্যবহার পদ্ধতি জেনে নিন।
ডাক্তার এ্যাজমা ডায়েরি দেখে রোগী সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন এবং এ বাদেও মা বাবাকে অনেক প্রশ্ন করবেন।
ডাক্তারই মা বাবাকে একটি এ্যাজমা একশন প্ল্যান প্রদান করবেন যার মাধ্যমে মা বাবা শিশুর দেখ ভালের বিস্তারিত প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ঔষধ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন: আপনি যদি শিশুর এ্যাজমার ঔষধ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পান তবে সহজেই শিশুর যত্ন নিতে পারবেন।