এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : মানসিক স্বাস্থ্য হচ্ছে সামাজিক, আবেগ এবং মানসিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। মেডিকেল ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি দৈনন্দিন কিছু কার্যক্রমের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব। যা করতে হবে –
কোনো ডায়েরিতে নিজের চিন্তাগুলো লিখে রাখা: মানসিক প্রফুল্লতা বাড়ানোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। ভালো কোনো চিন্তা নোট করে রেখে সেগুলো বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
হাঁটাহাঁটি করা বা হালকা জগিং করা: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরিক এবং মানসিকভাবে প্রশান্তি পাওয়া যায়। এ কারণে শারীরিক কোনো পরিশ্রমের কাজ বেছে নিতে হবে। এটা সপ্তাহে অন্তত তিনবার করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ১৫মিনিট হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। এতে হার্ট রেট বেড়ে যাবে। হাঁটার সময় শরীর হাইড্রেটেড থাকা নিশ্চিত করতে হবে।
নিয়মিত বই পড়া: আপনার ভালো লাগে এমন কোনো বই পড়তে পারেন। বই পড়ার জন্য নিরিবিলি জায়গা বেছে নেওয়া উচিত যাবে পড়ার ব্যাঘাত না ঘটে। পড়ার মাঝে মাঝে হালকা বিরতি নিতে পারেন। পড়ার সময় কোনো বিষয় তাৎপয্য পূর্ণ বিষয় মাথায় বা মনে আসলে তা নোট করে রাখতে পারেন। আর যদি পারেন একই পড়া দু’য়েকদিন পর পর রিভিউ দিতে পারেন।
রাতে ভালো ঘুম নিশ্চিত করা: ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। মনকে শান্ত করে এবং ইতিবাচক চিন্তা আসবে এমন কোনো ভালো বই ঘুমানোর আগে পড়তে পারেন। খালি পেটে এবং পেটের জন্য স্বস্তিকর নয় এমন কোনো খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়।
কম সময়ে অর্জন করা যায় এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করা: লক্ষ্য নির্ধারণের সময় দীর্ঘ হলে হতাশা বেড়ে যায়। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়।
শখের চর্চা করা: এমন কিছু শখের বিষয় খুঁজে বের করুন। যেখান থেকে আপনি কিছু শিখতে পারবেন। এতে আপনার সময়টাও আনন্দের সঙ্গে কাটবে।
ভালো কিছু বা ইতিবাচক চিন্তা করা: নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলুন। অন্য এবং নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক বিষয় নিয়ে ভাবুন। মনে মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করলে অন্যের সঙ্গে কথা বলার
নিয়মিত নামাজ পড়া : নামাজ হল এমন এক অবস্থা যখন আমাদের মস্তিষ্ক অপ্রয়োজনীয় সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিমগ্ন হয় এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ও নিখুঁতভাবে ব্যবহার করতে শেখে। দৈনিক ৫ বার নামাজ মানসিক সুস্থতা রক্ষা ও বুদ্ধির বিকাশে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।