এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক ও জ্বালানি সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। সমস্যা সমাধান না করার তুচ্ছ অজুহাত হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। কাউকে হুমকি দিলেই সমস্যা নিরসন হয়ে যাবে না।
যদিও ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখা কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে আগেই হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মিত্রদেশগুলোর অনুরোধ সত্ত্বেও ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইরানের সঙ্গে নিজেদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের পক্ষ নিয়ে সাফাই গেয়েছে চীন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাপক ক্ষমতা প্রয়োগের বিরোধীতা করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটি বলেছে, ইরান-চীনের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক ব্যবসায়িক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে। যা যৌক্তিক, সুষ্ঠু ও আইনগত বৈধ।
চীন বলছে, ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাব লঙ্ঘন করবে না। চীন সবসময়ই আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলে। এতে অন্য কোনো দেশের স্বার্থের হানি ঘটবে না। অন্য যে কোনো দেশের স্বার্থকে সম্মান ও সুরক্ষা দেয়া হবে।