এশিয়ান বাংলা, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের সাত নম্বর সড়কে আগুনে বস্তির ৩৬টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় বস্তির একটি ঘরে শেকলে বাঁধা অবস্থায় রবিউল আলম (৩২) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক
জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো দু’জন। রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে ওই বস্তিতে আগুন লাগে। শেকল বাঁধা থাকায় আগুন লাগার পর অনেক চেষ্টা করেও ওই ঘর ছেড়ে বেরুতে পারেননি রবিউল। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে তাকে উদ্ধারও করতে পারেনি স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় লোকজন জানান, খবর পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে বস্তির সব ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো রবিউল আলমের লাশ উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বায়েজিদ, কালুরঘাট ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে সাতটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌনে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে বস্তির ৩৬টি কাঁচা ঘর পুড়ে যায়। সেখান থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী রবিউল আলমের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। বস্তিবাসীর দাবি, এখনো দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন। কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার অতিশ চাকমা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে বস্তির কারো রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ঘরগুলোতে টিনের পাশাপাশি প্লাস্টিকের ব্যবহার বেশি হওয়ায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।