এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সুইডেনে হাজার হাজার মানুষ তাদের হাতে চামড়ার নিচে ইলেকট্রনিক চিপ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেটি আসলে তাদের বাড়িতে ঢোকার চাবি, অফিসের আইডি কার্ড কিংবা ট্রেনের টিকিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতের প্রযুক্তির চেহারা এরকমই হবে। অর্থাৎ মানুষের শরীর আর নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি এভাবেই মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। যদিও অনেকে এতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, সুইডেনের ডিজিটাল বিপ্লবের কেন্দ্র স্টকহোমের প্রাচীন অংশে থাকেন এরিক। তার হাতের আঙুলের চামড়ার নিচে একটা মাইক্রোচিপ ঢোকানো আছে।
সেটা ব্যবহার করে এরিক তার দরজার তালা খুললেন। তিনি পেশায় একজন ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপার। তার ঘরটা সাজানো হয়েছে স্ক্যানডিনেভিয়ান স্টাইলের আড়ম্বরহীন আসবাবপত্র দিয়ে।
সুইডেনে যে চার হাজার মানুষ তাদের শরীরের চামড়ার নিচে মাইক্রোচিপ লাগিয়েছেন তিনি তাদের একজন। একটা মাইক্রোচিপ তার বুড়ো আঙুলের মাথায় লাগানো আছে। এটা একদম চাবির ট্যাগের মতোই কাজ করে। সিলভিয়া এরিকের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন। তার আঙুলেও মাইক্রোচিপ লাগানো।
সিলভিয়া বলছেন, এটা এমন এক প্রযুক্তি যেটা অনেকের কাছে বোকা বোকা মনে হতে পারে। তবে তিনি মনে করছেন এটাই মানুষের ভবিষ্যৎ।
এই চিপে যে তথ্য রাখা হয় তা একেবারেই প্রাথমিক। আপনার হাতে একটা মাইক্রোচিপ ঢোকানো আছে, এটা শুনতে বেশ ভয়ংকর মনে হয়। কিন্তু আপনার হাতের কি ট্যাগের সঙ্গে এর কোনো তফাত নেই। এ ছাড়া এ ট্যাগ খুলে ফেলা বেশ সহজ। ভবিষ্যতে এভাবেই আসলে দৈনন্দিন সব কাজে ব্যবহৃত হবে এ প্রযুক্তি বলে জানাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।