এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশেষ করে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ধারাবাহিক ভালো করলেও টেস্টে বলার মতো সাফল্য নেই গত এক বছরে। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাজেভাবে ধবলধোলাই, বিশেষ করে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা বিসিবিকে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে
ব্যাটিং কোচ দলের সঙ্গে আছেন। যিনি যোগই দিয়েছেন গত মাসের শেষ দিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। কিন্তু শুধু নিল ম্যাকেঞ্জিকে দিয়ে হচ্ছে না। বিসিবি এখন টেস্টের জন্য আলাদা ব্যাটিং কোচ আনতে চাইছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের জন্য ব্যাটিং কোচ নেওয়া হয়েছে। এখন টেস্টের জন্য ব্যাটিং কোচ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’ তার মানে ম্যাকেঞ্জি বাংলাদেশের হয়ে কাজ করবেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। অথচ সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান সীমিত ওভারের ক্রিকেটের চেয়ে টেস্টেই তুলনামূলক বেশি সফল। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে গ্রায়েম স্মিথের সঙ্গে ৪১৫ রানের যে রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন সেটি বাংলাদেশের বুকে আজও শেল হয়ে বিঁধে। বিসিবি অবশ্য জানিয়েছে, ম্যাকেঞ্জিই না কি সময় দিতে পারবেন না। আর বিসিবিই চায়, দলের অন্যান্য কোচিং স্টাফের মতো সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানও যেন ২০১৯ বিশ্বকাপে বেশি মনোযোগ দেন।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশেষ করে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ধারাবাহিক ভালো করলেও টেস্টে বলার মতো সাফল্য নেই গত এক বছরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই, দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হার আর সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাজেভাবে ধবলধোলাই, বিশেষ করে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা বিসিবিকে ব্যাটিং নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। দলের প্রধান কোচ নিয়োগে গ্যারি কারস্টেনের পরামর্শ নিয়েছিল বিসিবি। টেস্ট বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ খুঁজতেও তারা সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের সহায়তা নেবে বলে জানা গেছে।