এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ইরানের অর্থনীতি ভেঙে ফেলতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। সেই লক্ষ্যেই তেহরানের ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বহাল করেছে ওয়াশিংটন। সোমবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তেহরান ও ওয়াশিংটনের শুনানিতে ইরানের পক্ষে এসব কথা বলেন দেশটির আইনজীবী মোহসেন মোহেবি।
তিনি বলেন, তেহরানের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে নতুন নিষেধজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইরানের অর্থনীতি, ইরানি জনগণ ও কোম্পানিগুলোকে যতটা সম্ভব ক্ষতি করার লক্ষ্যে প্রকাশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পর নানা হুমকি-ধামকির পর সম্প্রতি তেহরানের ওপর কঠোরতর নিষেধাজ্ঞা বহালের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের দাবি, তেহরানের ‘পরমাণু অস্ত্র অর্জনের উচ্চাশা’ খর্ব করতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এ অবৈধ নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ঠুকে দেয় ইরান সরকার। সোমবার সন্ধ্যা ৮টায় আন্তর্জাতিক আদালতের সদর দফতর জার্মানির হেগে সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন ধরে চলবে এই শুনানি।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে তেহরান। এ মামলার মাধ্যমে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করতেও বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
তেহরান বলে, এমন পদক্ষেপ নেয়ার কোনো অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের। নিষেধাজ্ঞার ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয় মামলায়। মামলার একদিন পরই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেন আদালত।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতির সঙ্গে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি করে ইরান। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই এই চুক্তিকে ‘ভয়াবহ একপেশে চুক্তি’ ও ‘সবচেয়ে বাজে’ চুক্তি বলে অভিহিত করে আসছিলেন ট্রাম্প। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন তিনি। একইসঙ্গে নতুন করে চুক্তির পক্ষে যুক্তি দেন।