এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সেনাবাহিজনীর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। সোমবার জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয় সেনাবাহিনীকে। এ জন্য তাদের বিচারও দাবি করা হয়। বুধবার ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউজ লাইটের এক খবরে বলা হয়েছে এ বিষয়ে কথা বলেছেন সরকারের মুখপাত্র জাওয়া হতাই।
তিনি বলেছেন, আমরা জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে মিয়ানারে প্রবেশের অনুমতি দিই নি। তাই মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদ কোনো রেজুলেশন নিলে আমরা তাতে সম্মত হবো না এবং তা গ্রহণ করবো না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। গত বছর রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংস নির্যাতন চালায়। এতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ৭ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। এর পর থেকে তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। ওই নৃশংসতা নিয়ে সোমবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রিপোর্ট প্রকাশ করে। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিন শেষে যুক্তরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচারের আহ্বান জানায় বেশ কয়েকটি দেশ। সারা বিশ্ব মিয়ানমারের ওই নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বললেও মিয়ানমার তা অস্বীকার করছে। এবং ঔদ্ধত্য দেখিয়ে জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করছে। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাওয়া হতাই তার দেশে নিজেদের গঠন করা ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অব ইনকুয়ারির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ কমিশন গঠন করা হয়েছে ‘জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে মিথ্যা অভিযোগ করছে’ তার জবাব দিতে। এ সময় তিনি মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ফেসবুকে নিষিদ্ধ করার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে মিয়ানমার সরকার জাতীয় পুনরেকত্রীকরণে যে প্রচেষ্টা নিচ্ছে তা বিঘ্নিত হতে পারে।