এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ঘুটঘুটে অন্ধকার। চারদিকটা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। হঠাৎ যেন কিছু নড়ে-চড়ে উঠল! গায়ের সব লোম দাড়িয়ে গেলো। কিছু একটা কাছে আসছে। এখান থেকে বের হতে হবে, কিন্তু পা-ই তো নড়ছে না। বরফ-জমাট হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে সেটি আরো কাছে আসছে। দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। চিৎকার করতে গিয়ে আওয়াজ বেরুচ্ছে না। অন্ধকারের পিশাচটা আরো কাছে…আরো কাছে…আরো কাছে আসছে…।
এই ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখার দিন ফুরিয়ে এসেছে। কারণ বিজ্ঞানীরা এই দুঃস্বপ্নের জন্য দায়ী জিন দুটিকে সনাক্ত করেছে। এবং গবেষণা করে দেখেছে, অপরাধী জিন দুটিকে ফেলে দিলে আর দুঃস্বপ্ন হানা দিচ্ছে না ঘুমের সময়।
ইঁদুরের ওপর এই পরীক্ষা চালিয়েছে টোকিও ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক।
গবেষণায় দেখা গেছে, চার্ম-১ ও চার্ম-৩ নামক দুটি জিন স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের জন্য দায়ী। গভীর ঘুমে থাকার সময় এই কাজ করে থাকে তারা। এরা রেপিড আই মুভমেন্ট বা REM নামে পরিচিত।
সাধারণত স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেমন- মানুষ ঘুমিয়ে থাকলে REM হয়। এটি স্মৃতি জমিয়ে রাখার কাজটিও করে থাকে।
বিজ্ঞানীরা যখন স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের জন্য দায়ী জিন দুটিকে ইঁদুরের মস্তিস্ক থেকে ফেলে দিলেন, তারা আশ্চর্য হলেন! কারণ জিন দুটি ফেলে দেয়ার পরও ইঁদুরটি সুস্থ ছিল। এর আগে এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, REM ফেলে দিলে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
তবে নতুন গবেষণায় তেমনটা দেখা যায়নি। জার্নাল সেল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা জানিয়েছেন, বেঁচে থাকার জন্য REM স্লিপের প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে গৃহপালিত প্রাণীদের।