মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : ডিসেম্বরের শেষদিকে সংসদ নির্বাচন হলে নির্বাচন আসতে আর বেশি দেরি নেই। হয়তো অক্টোবরে বা নভেম্বরের শুরুতেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করবে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনী বোঝাপড়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সরকারি দলের মনোভাব স্পষ্ট। তারা যে কোনো উপায়ে এ নির্বাচনে জিতে তাদের ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখতে চায়। এজন্য দলটি এর জনপ্রিয়তা বাড়াতে নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছে কি? সরকারি দলের নেতাকর্মী ও এমপিদের কাজকর্মে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তাদের চুরি-চামারি ও দুর্নীতি এতটাই বেড়েছে যে, আসমান-জমিনের দুর্নীতি শেষ করে এখন দুর্নীতির নতুন ক্ষেত্র হিসেবে তারা পাতালপুরিতে দৃষ্টি দিয়েছে।
ইতিমধ্যে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির লাখ লাখ টন কয়লা গায়েব করার পর এবার একই জেলার পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া খনি থেকে লোপাট করা হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টন মূল্যবান পাথর।
এই গায়েব হওয়া পাথরের মধ্যে রয়েছে মূল্যবান অ্যামেলগেমেট গ্রানাইট ও শিলা (যুগান্তর, ০৫-০৮-২০১৮)। গত ২৯ জুলাই মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল)-এর পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানির মহাব্যবস্থাপকের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এ পাথর গায়েবের তথ্য ফাঁস হয়। এ তথ্যে পুরো পাথর মাটির নিচে দেবে গেছে বলে উল্লেখ করে ওই পাথর ও অর্থের পরিমাণ কোম্পানির মূল হিসাব থেকে বাদ দেয়ার সুপারিশ বোর্ড সভায় গৃহীত হয়নি।
অধিকতর তদন্তের জন্য আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। জানিনা এ কমিটি কি নিষ্প্রাণ পাথরের ওপর-নিচে হাঁটাহাঁটি উদ্ঘাটন করবে, নাকি পিলে চমকানোর মতো কোনো দুর্নীতির নতুন তথ্য উপস্থাপন করবে।
সরকারের দোষ নেই। সরকার প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার যে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে, তাকে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন বললেও বাস্তবতা বা নৈতিকতার দিক দিয়ে নির্বাচনটির অনেক অসুবিধা ছিল।
কারণ, যে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগেই কোন দল সরকার গঠন করবে তা নিশ্চিত হয়ে যায়, সে নির্বাচন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারে না। যেখানে সরকার গঠন করতে ১৫১ সিট লাগে, সেখানে প্রধান বিরোধীদলসহ অধিকাংশ দল নির্বাচন বর্জন করায় ওই নির্বাচনে সরকারি দলের ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অটো এমপি নির্বাচিত হন। ফলে ভোটগ্রণের আগেই ক্ষমতাসীন দলের সরকার গঠন নিশ্চিত হয়ে যায়।
এভাবে জনগণের ভোট ছাড়া এমপি নির্বাচিত হওয়ায় তাদের দায়িত্বশীলতা হ্রাস পায়। তারা জনকল্যাণের লক্ষ্য বিসর্জন দিয়ে যা খুশি তাই করতে থাকে। এতে দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। এ কারণে এই সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত উপজেলা, ইউপি, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতেও দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতা বিস্তারিত হয়। ভোট কাটাকাটি, ভোটের পূর্বরাতে ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্স ভরে রাখা, ভোটের দিন প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের আয়ত্বে নিয়ে ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরা, বিরোধীদলীয় এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া ইত্যাদি ঘটনা জনগণের সামনেই ঘটে।
এসব ঘটনা ছিল এ সরকারের ১০ বছরের শাসনামলের দু’একটি নির্বাচনের ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের সাধারণ চিত্র। কাজেই নির্বাচনী দুর্নীতির প্রভাব ব্যাংক, শেয়ারবাজার এবং অন্যান্য আর্থিক খাতেও ছড়িয়ে পড়ে। দুর্নীতিকারীদের শাস্তি না হওয়ায় তারা নতুন উদ্যমে আরও দুর্নীতি করে। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে দুর্নীতি বাড়তে থাকে।
সংসদ নির্বাচন নিকটবর্তী হওয়ায় এখন সরকার যে কোনো উপায়ে আরেকবার নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইছে। এ লক্ষ্যে সরকারপ্রধান শত শত উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন এবং ওইসব প্রকল্প উদ্বোধনে গিয়ে সরকারি অর্থ ও প্রোটকল ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোকে জনসভা বা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তাদেরকে হামলা-মামলায় পর্যুদস্ত করে রাখা হয়েছে। এতকিছু করার পরও সরকারি দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে না। সরকারের কাছে হিসাব রয়েছে, নিরপেক্ষভাবে সংসদ নির্বাচন হলে সরকারি দলের জন্য নির্বাচন জেতা কঠিন হবে। এ জন্য সরকার নানা ফন্দি ফিকিরে ব্যস্ত রয়েছে।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক হেফাজতের যে নেতাকর্মীদের ২০১৩ সালে এ সরকার নির্মমভাবে শাপলা চত্বর থেকে বিতাড়িত করেছিল, তাদেরকে নির্বাচনী সমীকরণে পরবর্তীকালে বঙ্গভবনে দাওয়াত দিয়ে মেহমানদারি করা হয়েছে।
তাদের পাঠ্যপুস্তকের সংস্কার দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তাদের মাদ্রাসার ডিগ্রিরও সরকারি স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তবে যত সমাদরই করা হোক না কেন, ভোট দেয়ার সময় যে তারা শাপলা চত্বরের কথা ভুলে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন, সরকারের পক্ষে এমনটা বিশ্বাস করা কঠিন। সরকার জোট বাড়াতে চেষ্টা করেও সুবিধা করতে পারেনি। সরকারি জোটে সম্পৃক্ত ইনু-মেননদের দলের যে কী পরিমাণ জনসমর্থন আছে, তা সরকার ভালো করেই জানে।
এ কারণে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে মনপছন্দ ইসির অধীনে দলীয়করণকৃত প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে।
এ রকম ব্যবস্থায় বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা থাকে না। এমন ব্যবস্থায় প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সরকারি দলের নেতাকর্মীবাহিনী মিলে ক্ষমতাসীন দলের বিজয়কে সহজে নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি সরকার এ ব্যবস্থায়ও আস্থা রাখতে পারছে না বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
দশ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যায় না। সবাইকে খুশি রাখা যায় না। সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে মানুষ তখন পরিবর্তন চায়। এজন্যই সরকার দলীয় ব্যবস্থাধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে অনেকটা সামনের নির্বাচনে জয়ের ব্যবস্থা করে শান্তিতে ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ছাত্র-যুবকদের গণজোয়ার দেখে সরকারের সে শান্তি উবে গেছে। এ দুটি আন্দোলনে কেবল রাজধানীতে ছাত্র-যুবকরা রাস্তায় নেমে সরকারকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে।
অত্যাচার, নির্যাতন, হেলমেট বাহিনী ব্যবহার এবং গ্রেফতার-নিপীড়ন ও রিমান্ড ব্যবহার করেও তাদের দমানো যায়নি। কাজেই কোটা সংস্কার বা নিরাপদ সড়কের দাবিতে তরুণ-যুবকরা যদি দলবদ্ধ হয়ে এমনভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে রাজধানী প্রায় অচল করে দিতে পারে, তাহলে তার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেখভাল করার জন্য যে তারা ভোটকেন্দ্র ঘেরাও করে ভোটদানের কাজ যথানিয়মে হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করা শুরু করবে না, সে নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।
সে কারণে সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার ব্যবস্থাও সরকারের কাছে পূর্ণ নিরাপদ মনে হচ্ছে না। সরকার এসব ভোট কাটাকাটির ঝুঁকির মধ্যে না গিয়ে অন্য কোনো কায়দা-কানুন করে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে নীরবে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় আসা যায় কিনা সে চেষ্টা করছে।
এ কারণে সরকার হয়তো শেষ অবলম্বন হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। এ ক্ষেত্রে সরকার চাইবে, নির্বাচন কমিশন যেন তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করে। তবে সব কিছু যে সরকারের চাওয়ামতোই হবে এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ইসির মধ্যে একটা তাড়াহুড়া লক্ষ করা যাচ্ছে। তা না হলে যে কমিশন সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে ইভিএম ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশংসিত হয়েছিল, সে কমিশনের হঠাৎ সংসদ নির্বাচন ইভিএমে করার প্রতি এত দ্রুত আগ্রহ বাড়ার কারণ কী? কমিশন যে স্বল্পসংখ্যক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সম্প্রতি ইভিএমে ভোট করেছে, সে অভিজ্ঞতাও তো ভালো নয়।
পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী এসব নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হওয়া কেন্দ্রগুলোতে বয়স্ক ও নারী ভোটারদের নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। একেকজনকে বিষয়টি বোঝাতে বোঝাতে কয়েক মিনিট পার হলেও তাদের অনেকে ভুল বাটনে চাপ দিয়েছেন। ভোটকক্ষের বাইরে কড়া রোদে ভোটাররা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বরিশালে ১২৩টি কেন্দ্রের ৭৫০টি কক্ষের মধ্যে ৪টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রের ৭৮টি কক্ষে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করতে গিয়ে ইসি কর্মকর্তারা নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েন। এ আর এস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে গেলে ভোটারদের ওই কক্ষে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে ভোটপ্রদান করতে হয়।
এছাড়াও ইভিএম নিয়ে আরও নানা জটিলতায় পড়েন ভোটাররা। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে চাই, কয়েকটি সিটি কর্পোরেশনের সামান্য কয়েকটি বুথে ইভিএমে নির্বাচন করতে গিয়েই যখন ইসি কর্মকর্তাদের এমন নাকানিচুবানি অবস্থা, তখন সারা দেশে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে তারা কার অঘোষিত নির্দেশনায় ইভিএমে নির্বাচন করার কথা ভাবছেন?
ইসিকে মনে রাখতে হবে, তারা সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে ইভিএমে নির্বাচন চাননি। পরবর্তী সময়ে কতিপয় স্থানীয় নির্বাচনের নমুনা হিসেবে ইভিএম ব্যবহার করতে গিয়ে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হওয়ার পরও তারা কেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য করে ৩ হাজার ৮২১ কোটি টাকা ব্যয় করে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন ক্রয়ের প্রকল্প গ্রহণ করেছেন (যুগান্তর, ১৮-০৮-২০১৮)? আমাদের সবিনয় জিজ্ঞাসা, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়ে কমিশনের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই এমন পরিকল্পনা গ্রহণ কতটা বিজ্ঞতার পরিচায়ক? মান্যবর ও দেশপ্রেমিক ইসি সদস্যদের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে বলছি, স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের সর্বসম্মত অনুমতি না দেন, তাহলে এসব শ্রম ও অর্থ অপচয়ের দায় কে নেবে?
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস যখন কাগজের ব্যালটে নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়েছে, যখন উন্নত বিশ্বের অনেক দেশই ইভিএম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তখন আমাদের মতো অল্পশিক্ষিত ও প্রযুক্তি অসচেতন ভোটারের দেশে এখনও ইভিএমে নির্বাচন করার সময় আসেনি। আমি এখনও বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আগে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ আরও কতিপয় প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দেশে আমাদের ইভিএমের নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষা করিয়ে দেখবে যে এ মেশিন হ্যাক করা যাবে কিনা। সেখান থেকে ইতিবাচক ফল পেলে যদি অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো রাজি থাকে, তাহলে কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে পারে।
এ ব্যাপারে মাননীয় সিইসিও একাধিকবার বলেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো আপত্তি করলে কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে না। তবে এমন আপত্তি থাকা সত্ত্বেও যদি কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে, তাহলে নাগরিক সমাজ যুগপৎ সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সন্দেহের চোখে দেখবে। আর তা হল আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কাটাকাটির ঝুঁকি এড়িয়ে ইভিএম ব্যবহার করে নীরবে-নিঃশব্দে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের বিজয় সুনিশ্চিত করার সন্দেহ।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়