এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : দেশের সেবা খাতে ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়। এখানে সেবা নিতে গিয়ে ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ খানা (পরিবার বা ছোট গোষ্ঠী বিশেষ) কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতির শিকার হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এরপরই রয়েছে পাসপোর্ট অধিদফতর ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। আর দেশের ৮৯ শতাংশ মানুষের মতে, ঘুষ না দিলে কোনো খাতেই সেবা মেলে না।
টিআইবির ‘সেবা খাতে দুর্নীতি : জাতীয় খানা জরিপ ২০১৭’-এ উঠে এসেছে এসব তথ্য। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির টিআইবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ জরিপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জরিপ করা হয়েছে। জরিপে ১৫ হাজার ৫৮১টি খানা অংশ নেয়। এর আগে ২০১৫ সালে একই জরিপ করা হয়েছিল।
টিআইবির জরিপে বলা হয়- ২০১৭ সালে ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ খানাকে ঘুষ দিতে হয়েছে যা ২০১৫ সালের তুলনায় ৮.৩ পয়েন্ট কম। তবে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সেবা খাতে ঘুষের শিকার খানার হার কমলেও ঘুষ আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। খানা প্রতি বার্ষিক গড় ঘুষের পরিমাণ ২০১৫ সালের ৪,৫৩৮ টাকা থেকে ১৩৯২ টাকা বেড়ে ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে ৫,৯৩০ টাকা। জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ২০১৫ সালে ৮,৮২১ দশমিক ৮ কোটি টাকা থেকে ১৮৬৭ দশমিক ১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০,৬৮৮ দশমিক ৯ (প্রায় ১০,৬৮৯) কোটি টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের (সংশোধিত) ৩.৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জিডিপির ০.৫ শতাংশ।
টিআইবির জরিপে উল্লেখ করা হয়- সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের ভিত্তিতে জনগণের মতামত জানতে চাওয়া হয়। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে কোনো কোনো খাতে ঘুষের শিকার খানার হার বেড়েছে (কৃষি, বিআরটিএ, বিচারিক সেবা) এবং কোনো কোনো খাতে কমেছে (শিক্ষা, পাসপোর্ট, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান)। এসব খাতে হয়রানি বা জটিলতা এড়াতে ঘুষ দিয়েছেন ৪৭.১ শতাংশ সেবাগ্রহীতা, নির্ধারিত ফি জানা না থাকায় অতিরিক্ত অর্থ দিয়েছেন ৩৭ শতাংশ, নির্ধারিত সময়ে সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছেন ২৩.৩ শতাংশ, আরও দ্রুত সময়ে সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছেন ৪.৩ শতাংশ, অবৈধ সুবিধা বা সুযোগপ্রাপ্তির জন্য ঘুষ দিয়েছেন ২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঘুষ আদায়ের তিনটি খাত হল গ্যাস (৩৩ হাজার ৮০৫ টাকা), বিচারিক (১৬ হাজার ৩১৪ টাকা) এবং বীমা খাত (১৪ হাজার ৮৮৬ টাকা)।
ব্যক্তিস্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহারকে দুর্নীতির সংজ্ঞা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে টিআইবির জরিপে। সেখানে বলা হয়েছে, সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যেসব দুর্নীতির শিকার হয়েছেন, সেগুলো হচ্ছে- ঘুষ, সম্পদ আত্মসাৎ, প্রতারণা, দায়িত্বে অবহেলা, স্বজনপ্রীতি ও প্রভাব বিস্তার। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাদের।
জরিপ অনুযায়ী, দুর্নীতিগ্রস্ত উল্লিখিত তিন খাতের পরে রয়েছে, বিচারিকসেবা (৬০.৫ শতাংশ), ভূমিসেবা (৪৪.৯ শতাংশ), শিক্ষাসেবা (৪২.৯ শতাংশ), স্বাস্থ্যসেবা (৪২.৫ শতাংশ), কৃষিসেবা (৪১.৬ শতাংশ), বিদ্যুৎসেবা (৩৮.৯ শতাংশ), গ্যাসসেবা (৩৮.৩ শতাংশ), স্থানীয় সরকারসেবা (২৬.৭ শতাংশ), বীমাসেবা (১২.৩ শতাংশ), কর ও শুল্কসেবা (১১.১ শতাংশ), ব্যাংকিংসেবা (৫.৭ শতাংশ), এনজিওসেবা (৫.৪ শতাংশ) এবং অন্য সেবা (২২ শতাংশ)। এসব দুর্নীতি রোধে জড়িতদের বিদ্যমান আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান এবং সেবা প্রদান পর্যায়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোসহ ১২ দফা সুপারিশ করা হয় জরিপে।
জরিপের সঙ্গে একমত নয় পুলিশ : আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়ে মন্তব্য নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা যুগান্তরকে বলেন, পুলিশের মতো বিশাল বাহিনীকে নিয়ে এ ধরনের ঢালাও মন্তব্য কারও কাছ থেকে কাম্য নয়। যে গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে তার নিরপেক্ষতা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। আমরা টিআইবির কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইব। ‘গবেষণায় কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে? প্রশ্ন কী কী ছিল? কিভাবে জরিপ কাজ চালানো হয়েছে? কতজন লোককে জরিপের আওতায় আনা হয়েছে? জরিপটি প্রভাবমুক্ত ছিল কিনা এবং সে ব্যাপারে কি কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?’- এসব বিষয়ে টিআইবির কাছ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। এআইজি সোহেল রানা আরও বলেন, জরিপে পুলিশ সম্পর্কে টিআইবি যে তথ্য দিয়েছে তার সঙ্গে পুলিশ বাহিনী একমত নয়। তাছাড়া ওই জরিপটি ছিল ২০১৭ সালের। বর্তমান আইজিপি তখন গোটা বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন না।
দুর্নীতির শিকার খানার হারের তুলনামূলক চিত্রে দেখানো হয়েছে- ২০১২ সালে ছিল ৬৭.৩ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৬৭.৮ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে তা দাঁড়ায় ৬৬.৫ শতাংশ। টিআইবির দাবি, দুর্নীতি কমার এ হার গ্রহণযোগ্য নয়। সার্বিক পর্যবেক্ষণে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৭২.৫ শতাংশ মানুষ। এখানে সেবা নিতে ঘুষ দিয়েছেন ৬০.৭ শতাংশ মানুষ, যার পরিমাণ ২ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কাছ থেকে সেবা নিতে গিয়ে গড়ে প্রতিটি খানাকে ৬ হাজার ৯৭২ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। জরিপের তথ্য অনুসারে, সেবগ্রহীতারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের দ্বারা (৯২ দশমিক ১ শতাংশ)। আর সবচেয়ে কম হয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের হাতে (৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ)। এছাড়া স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাছ থেকে সেবা নিতে গিয়ে ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং অন্য সংস্থার কাছ থেকে ৮২ দশমিক ৩ শতাংশ দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। জরিপে বলা হয়েছে, সেবাগ্রহীতারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কাছ থেকে বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন গ্রেফতারসংক্রান্ত বিষয়ে সেবা নিতে গিয়ে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ট্রাফিকসংক্রান্ত, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, এফআইআরের ক্ষেত্রে।
এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাসপোর্টসংক্রান্ত কাজে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৬৭.৩ শতাংশ মানুষ। এ খাতে ঘুষ দিয়েছেন ৫৯.৩ শতাংশ সেবাগ্রহীতা, যার পরিমাণ ৪৫১ কোটি টাকার বেশি। তবে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুষের দিক থেকে সবার উপরে ভূমিসেবা খাত। এ খাতে দুর্নীতি হয়েছে ২ হাজার ৫১২ টাকার। সার্বিক পর্যবেক্ষণে দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের তালিকায় পাসপোর্টের পরে রয়েছে বিআরটিএ (ঘুষের পরিমাণ ৭১০ কোটি টাকা), বিচারিকসেবা (ঘুষের পরিমাণ ১২৪১ কোটি টাকা), ভূমিসেবা ও শিক্ষা (ঘুষের পরিমাণ ৪৫৫ কোটি টাকা) এবং স্বাস্থ্য (১৬০ কোটি টাকা)।
সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আর্থ-সামাজিক অবস্থান ভেদে ২০১৭ সালে খানার দুর্নীতির প্রকোপ শহরাঞ্চলের (৬৫ শতাংশ) চেয়ে গ্রামাঞ্চলে (৬৮.৪ শতাংশ) বেশি। আবার ঘুষের শিকার খানার হার শহরাঞ্চলের (৪৬.৬ শতাংশ) চেয়ে গ্রামাঞ্চলে (৫৪ শতাংশ) বেশি। গ্রামাঞ্চলে এ হার বেশি হওয়ার মূল কারণ নিরক্ষর বা স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন খানা প্রধান থাকার কারণে। অর্থাৎ চাকরিজীবী বা শিক্ষিত ব্যবসায়ীদের চেয়ে কৃষক, শ্রমিক, জেলে, পরিবহন শ্রমিক বা সাধারণ পেশার মানুষই বেশি দুর্নীতির শিকার হন। এছাড়া যুবক বা ৩৬ ও তদূর্ধ্ব বয়সের সেবাগ্রহীতারা বেশি দুর্নীতির শিকার হন। কেননা এর চেয়ে কম বয়স্ক মানুষরা প্রতিবাদী হন। আবার উচ্চ আয়ের মানুষদের তুলনায় নিু আয়ের মানুষদের ঘুষ ও দুর্নীতির বোঝা বেশি বইতে হয়। সেবা নিতে গিয়ে উচ্চবিত্তরা তাদের বার্ষিক আয়ের ০.১২ শতাংশ এবং নিুবিত্তরা ২.৪১ শতাংশ ঘুষ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও গবেষণা উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, উপদেষ্টা নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিষদ ড. সুমাইয়া খায়ের ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। এছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- গবেষণা ও পলিসির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. ওয়াহিদ আলম, একই বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা রহমান ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ নূরে আলম।
এক প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দুর্নীতি বাড়ছে এমন কোনো তথ্য সঠিক নয়। তবে রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতি কমানো এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর বর্তমানে ঘুষ বা দুর্নীতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সেবাখাতে দুর্নীতিতে কিছুক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এলেও সার্বিক তথ্য উদ্বেগজনক। ঘুষের শিকার হওয়ার হার কমলেও পরিমাণ বেড়েছে। বিচারিক খাতের দুর্নীতিও উদ্বেগজনক। ‘যারা অনিময় করছেন, তারা ঘুষকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করেছেন। যারা দিচ্ছেন, তারা জীবনযাপনের অংশ করে নিয়েছেন।’ সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বেতন বৃদ্ধির পরে দুর্নীতি কমবে। কিন্তু যারা দুর্নীতি করেন তাদের জন্য বেতন বৃদ্ধি কোনো উপাদান নয়।’ তিনি বলেন, ‘তরুণরা প্রতিবাদ করতে শিখছে বলে তাদের সঙ্গে দুর্নীতি কম হচ্ছে। সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও কিন্তু পেনশনসহ বিভিন্ন কাজে ঘুষ দিয়ে দুর্নীতির অংশীদার হচ্ছেন।’
ফৌজদারি মামলায় কোনো সরকারি কর্মচারীকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না মর্মে বিধান রেখে সম্প্রতি সরকারি চাকরি আইন ২০০৮-এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন পাওয়ায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, আইনের চোখে সবার সমান হওয়া উচিত। আমাদের যা আইন আছে তা সময়োপযোগী এবং যথার্থ। কিন্তু যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।
১২ দফা সুপারিশ : জরিপের উত্তরদাতাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে টিআইবি এ দুর্নীতি থেকে উত্তরণের জন্য ১২ দফা সুপারিশ করেছে। এগুলো হল- ১. বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যমান আইনের আওতায় আনা। এক্ষেত্রে জড়িত ব্যক্তির অবস্থান ও পরিচয় নির্বিশেষে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ২. সেবাখাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভাগীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যকর করা। ৩. প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুদৃঢ় নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা। এর ভিত্তিতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ৪. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেবাদানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পুরস্কার ও তিরস্কার বা শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ৫. সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে গণশুনানির মতো জনগণের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। ৬. দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য সামাজিক আন্দোলন জোরদার করা। ৭. তথ্য অধিকার আইন ও তথ্য প্রকাশকারীর সুরক্ষা আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন। ৮. তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি। ৯. অভিযোগ নিরসন প্রক্রিয়া প্রচলন ও নাগরিক সনদের বাস্তবায়ন। ১০. সেবা প্রদান পদ্ধতি সহজীকরণ। ১১. জনবল, অবকাঠামো ও লজিস্টিক বরাদ্দ বৃদ্ধি। ১২. রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও তার কার্যকর প্রয়োগ।