asianbangla.com

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

    What's Hot

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    October 18, 2024

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024
    Facebook Twitter Instagram
    Trending
    • রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত
    • দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন
    • আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা
    • করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ
    • ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই : ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনাল 
    • লন্ডনে রাইটস অফ দ্যা পিপলস এর ভারতীয় হাইকিমশন ঘেরাও কর্মসূচি
    • লণ্ডনে জিবিএএইচআর এর ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ
    • বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণমানুষকে সোচ্চার হতে হবে
    Facebook Twitter Instagram
    asianbangla.comasianbangla.com
    Demo
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • বিশ্ব
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • কূটনীতি
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • সংস্কৃতি
    • উচ্চশিক্ষা
    • প্রবাস
    • মানবাধিকার
    • মতামত
    • সারা বাংলা
      • ঢাকা
      • চট্টগ্রাম
      • রাজশাহী
      • খুলনা
      • বরিশাল
      • ময়মনসিংহ
      • রংপুর
      • সিলেট
    asianbangla.com
    Home»আলোচিত»সাদাসিধে কথা : আমার ভাষা আমার দায়িত্ব
    আলোচিত

    সাদাসিধে কথা : আমার ভাষা আমার দায়িত্ব

    By এশিয়ান বাংলাAugust 31, 2018No Comments0 Views
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    মুহম্মদ জাফর ইকবাল : মাসখানেক আগে আমি কলকাতায় ভাষা-সংক্রান্ত এক কনফারেন্সে গিয়েছিলাম। একটা সময় ছিল যখন ভাষা নিয়ে গবেষণা করতেন ভাষাবিদরা, প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করতেন প্রযুক্তিবিদরা। তথ্যপ্রযুক্তির কারণে এখন অনেক প্রযুক্তিবিদ ভাষা নিয়ে গবেষণা করেন। আমাকে ডাকা হয়েছে সে কারণে। ভারতবর্ষে অনেক ভাষা, বাংলা ভাষা সেগুলোর একটি। আমাদের একটি মাত্র ভাষা। কাজেই বাংলা ভাষার গুরুত্ব আমাদের কাছে অনেক।
    অনুমান করা হয় পৃথিবীতে এখন প্রায় সাত হাজার ভাষা রয়েছে। অনেকে হয়তো চিন্তাও করতে পারবে না যে, এই সাত হাজার ভাষা থেকে প্রতি দুই সপ্তাহে একটি করে ভাষা ‘মৃত্যুবরণ’ করছে। ভাষা কোনো জীবন্ত প্রাণী নয়।

    তাই এক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ শব্দটা ব্যবহার করা যায় কিনা সেটা নিয়ে তর্ক করা যেতে পারে। যখন কোনো ভাষায় আর একজন মানুষও কথা বলে না তখন ভাষাটির মৃত্যু হয়েছে বলা অযৌক্তিক কিছু হবে না।

    অনুমান করা হয়, এ শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই পৃথিবীর অর্ধেক ভাষা ‘মৃত্যুবরণ’ করবে। কোনো ভাষা যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার সঙ্গে বিশাল এক ইতিহাসের মৃত্যু হয়, অনেক বড় এক কালচারের মৃত্যু হয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে, একটা জাতি যখন আরেকটা জাতিকে পদানত করতে চায় তখন প্রথমেই তারা ওদের ভাষাটির গলাটিপে ধরে।
    এক সময় পৃথিবীর ভয়ংকর এক দেশ ছিল সাউথ আফ্রিকা। সেই দেশের স্কুলের কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চাদের ওপর জোর করে আফ্রিকানরা ভাষা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। ১৯৭৬ সালের ১৬ জুন প্রায় ২০ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ স্কুল শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সেদিন গুলি করে একজন নয়, দু’জন নয়, প্রায় সাতশ’ স্কুল শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলেছিল। ভাষার জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি প্রাণ দেয়ার উদাহরণ আছে বলে আমার জানা নেই।

    ১৯৫২ সালের আমাদের ভাষা আন্দোলনের কথা এখন শুধু আমরা নই, সারা পৃথিবী জানে। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শুধু তা-ই নয়, আমাদের এ দেশটির জন্মের ইতিহাসটি বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা।

    কিন্তু অনেকেই জানে না বাংলা ভাষার জন্য আমাদের এ অঞ্চলে আরও একবার রক্ত ঝরেছিল। আসামের একটা বড় অংশ বাংলা ভাষায় কথা বলত, কিন্তু তারপরও শুধু অহমিয়া ভাষাকে আসামের দাফতরিক ভাষা হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সেখানকার বাঙালিরা তাদের ভাষার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিল। সেই আন্দোলন থামানোর জন্য পুলিশ গুলি করে, ১৯৬১ সালের ১৯ মে ১১ জনকে হত্যা করে। তাদেরই একজন ১৬ বছরের কিশোরী কমলা, মাত্র একদিন আগে সে তার ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা শেষ করেছিল।

    আসামের বরাক উপত্যকার সেই রক্ত শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়নি, সেখানকার তিনটি জেলায় বাংলাও এখন দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে আমরা যত গৌরবের সঙ্গে আমাদের ভাষা শহীদদের স্মরণ করি আসামের ভাষা শহীদদের ততটুকু গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করা হয় বলে মনে হয়নি।

    আমরা একবার শিলচরে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম, তখন সেখানকার বাঙালি শিক্ষকরা দুঃখ করে বলেছিলেন, তাদের ভাষা আন্দোলনের স্মরণে তৈরি করা শহীদ মিনারটিও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে তৈরি করার অনুমতি পাননি, সেটি তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকার বাইরে। আমি মনে করি প্রতি বছর ১৯ মে দিনটিতে বরাক উপত্যকার সেই ভাষা শহীদদের আমাদের বাংলাদেশে গভীর ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করা উচিত।
    ভাষার মৃত্যু হয়- জানার পর আমার এক ধরনের কৌতূহল হয়েছিল, তাহলে কি ভাষা অসুস্থ হতে পারে? ভাষা বিজ্ঞানীরা এখনও অসুস্থ ভাষা হিসেবে ভাষাগুলোকে চিহ্নিত করতে শুরু করেননি, কিন্তু তার উল্টোটা আছে- ‘প্রভাবশালী’ ভাষা। কাউকে নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না ভাষাভাষীর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় হয়েও পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ভাষা হচ্ছে ইংরেজি।

    পৃথিবীতে যে ভাষায় যত বেশি মানুষ কথা বলে তাদের প্রভাবও সেরকম। তবে চোখে পড়ার মতো দুটো ব্যতিক্রম রয়েছে- একটি হচ্ছে ফরাসি ভাষা। ভাষাভাষীর সংখ্যার বিবেচনায় ফরাসি ভাষা প্রায় ১৮তম হলেও প্রভাবের দিক থেকে এটি রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে।

    আবার ভাষাভাষীর সংখ্যার বিবেচনায় বাংলা ভাষা পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ হয়েও প্রভাবের দিকে অনেক পেছনে- একেবারে আঠারো নম্বর। বলাই বাহুল্য তথ্যটি দেখে আমি যথেষ্ট বিচলিত হয়েছি। আমাদের বাংলা ভাষা এত পিছিয়ে আছে কেন? যত দিন যাবে সারা পৃথিবীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমাদের ভাষাটি আরও পিছিয়ে যাবে? ভাষাটি কি আরও দুর্বল হয়ে যাবে?
    এ মুহূর্তে বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষে বিশ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা, ভারতবর্ষ এবং সিয়েরা লিয়নের দাফতরিক ভাষা! বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষ এ দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাংলা ভাষায়। শুধু তাই নয়, বাংলা ভাষায় কথা বলে এরকম প্রায় এক কোটি মানুষ পৃথিবীর নানা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, তারপরও বাংলাদেশ প্রতাপের দিক দিয়ে এত পিছিয়ে আছে কেন?

    তার কারণ বাঙালিরা কখনও অন্য দেশকে কলোনি করে জোর করে নিজ ভাষাকে অন্য ভাষার ওপর চাপিয়ে দেয়নি, কখনও তাদের বিশাল অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ ছিল না যে অন্য ভাষার মানুষ আগ্রহ নিয়ে এ ভাষা শিখবে। শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে যখন ভাষাকে কম্পিউটারে ব্যবহার করার সময় এসেছে তখন আমরা দেখছি বাংলা ভাষাকে তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে সমৃদ্ধ করার ব্যাপারে অনেক পিছিয়ে আছি! আমরা নিজেরা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছি বাংলা ভাষাকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে আমাদের সেরকম আগ্রহ নেই। অপেক্ষা করে আছি, পৃথিবীর বড় বড় প্রতিষ্ঠান কোনো এক সময়ে আমাদের সমাধান করে দেবে এবং তখন সেই সমাধান ব্যবহার করে আমরা কৃতার্থ হয়ে যাব। কাজেই আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম যখন বাংলাদেশ সরকার বাংলা ভাষার উন্নয়ন সংক্রান্ত গবেষণার জন্য প্রায় একশ’ ষাট কোটি টাকার বরাদ্দ করেছে। যখন এ প্রজেক্টটি শেষ হবে তখন এক ধাক্কায় আমাদের হাতে বাংলা ভাষায় গবেষণা করার জন্য অনেক মালমসলা চলে আসার কথা।

    কলকাতার কনফারেন্সে গিয়ে সেখানকার অনেক গবেষক-অধ্যাপকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে আমি একটি বিস্ময়কর বিষয় জানতে পেরেছি। আমাদের দেশে প্রাইমারি সেকেন্ডারিতে যারা পড়াশোনা করে তাদের মাত্র পাঁচ শতাংশ ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। (৩০ শতাংশ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে, সেখানে আলিয়া মাদ্রাসার অংশটুকু বাংলা মাধ্যম)। অর্থাৎ বাংলাদেশের লেখাপড়ার মূল ধারাটি হচ্ছে মাতৃভাষায়- যেরকমটি হওয়া উচিত। কলকাতার চিত্রটি একেবারে ভিন্ন। যেহেতু তাদের প্রতিযোগিতাটি করতে হয় পুরো ভারতবর্ষের সঙ্গে, তাই তারা আর নিজের মাতৃভাষায় পড়তে আগ্রহী নয়। সেখানে সবাই ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। শুধু যাদের কোনো গতি নেই, কোনো উপায় নেই তারা বাংলা মাধ্যমে লেখাপড়া করে। যার অর্থ- এভাবে চলতে থাকলে সেখানকার বাঙালি বাংলা ভাষা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং বাংলা ভাষার পুরো দায়িত্বটি এসে পড়বে আমাদের হাতে।

    যেহেতু ধীরে ধীরে পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে, আমাদের বাংলাদেশের মানুষকেও এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি আন্তর্জাতিক হতে হয়। আমাদের লেখাপড়ার মাঝে তার ব্যবস্থা করে রাখা আছে, ছাত্রছাত্রীরা বাংলার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় বারো বছর ইংরেজি পড়ে। এ বারো বছর ইংরেজি পড়া হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন ছাত্র বা ছাত্রীর ইংরেজিতে যথেষ্ট দক্ষ হওয়ার কথা। কিন্তু যে কারণেই হোক, আমাদের সব ছাত্রছাত্রী ইংরেজিতে যথেষ্ট দক্ষ হচ্ছে না। বাবা-মায়েরা দুর্ভাবনায় পড়ছেন এবং অনেকেই মনে করছেন ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করানোই হয়তো তার সমাধান! কিন্তু আমরা সবাই জানি মাতৃভাষায় লেখাপড়া করার কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা যদি মাতৃভাষার দায়িত্বটি নিতে চাই, স্কুল-কলেজে ঠিক করে ইংরেজি পড়াতে হবে। যদি স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট ইংরেজি শিখে যায়, তাহলে ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করার জন্য ছুটে যাবে না।

    কলকাতায় ভাষা-সংক্রান্ত কনফারেন্সে উড়িষ্যার একজন ভাষাবিদের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল। তার কাছে আমি জানতে পারলাম ভারতবর্ষে প্রতিটি শিশুর তিনটি ভাষা শেখার কথা- একটি হিন্দি, একটি ইংরেজি এবং অন্যটি নিজেদের মাতৃভাষা। আমাকে তথ্যটি দিয়েই ভদ্রলোক হতাশভাবে মাথা নেড়ে জানালেন, তাদের দেশে পদ্ধতিটি মোটেও ঠিকভাবে কাজ করছে না। কেন কাজ করছে না আমরা মোটামুটিভাবে তার কারণটি অনুমান করতে পারি, প্রবল প্রতাপশালী ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার চাপে নিশ্চয়ই তাদের নিজেদের মাতৃভাষাটি কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। একজন শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে তিনটি ভাষা শিখে বড় হওয়া নিশ্চয়ই খুব সহজ নয়। ভারতবর্ষের তুলনায় আমরা অনেক সুবিধাজনক জায়গায় আছি। মাতৃভাষার পাশাপাশি আমাদের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েকে মাত্র একটি ভাষা শিখতে হয়। সেটি হচ্ছে ইংরেজি। সেই ইংরেজিটুকু যদি ভালো করে শেখানো হয়, আমার ধারণা আমাদের মাতৃভাষা অনেক বেশি নিরাপদ থাকবে।

    এখানে আরও একটি বিষয় বলা যায়। আমরা এখন সবাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিংবা নিউরাল নেটওয়ার্ক এ ধরনের কথাগুলো শুনেছি। পৃথিবীতে গবেষণার জগতে এ বিষয়গুলো একেবারে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে। এ বিষয়গুলো এখন যে কাজগুলো করতে পারে সোজা ভাষায় সেটি শুধু যে অবিশ্বাস্য তা নয় এটি রহস্যময়। গবেষণার এই নতুন মাত্রায় অবশ্য আমাদের এখনও আনন্দ পাওয়ার বেশিকিছু নেই, কারণ এর জন্য প্রয়োজন উপাত্ত, লাখ লাখ উপাত্ত, কোটি কোটি উপাত্ত! কার আছে সেই উপাত্ত? আমাদের নেই। সেই উপাত্ত আছে ফেসবুকের হাতে, গুগলের হাতে, আমাজনের হাতে। এ উপাত্ত এখন সোনা থেকে দামি। সেই উপাত্ত ব্যবহার করে তথ্যপ্রযুক্তির এ মহাশক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এখন শুধু আমাদের জীবন নয়, সারা পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমাদের বলার কিছু নেই, কারণ তাদের সেবা গ্রহণ করে কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত হয়ে আমরা তাদের হাতে আমাদের সব তথ্য-উপাত্ত উজাড় করে তুলে দিয়েছি!

    কাজেই আগে হোক পরে হোক আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। সেই নড়বড়ে পা নিয়ে আমাদের লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, দেখতে দেখতে সেই পা শক্তিশালী হবে। অন্যের ঘাড়ে চড়ে বহুদূর দেখা যায়, কিন্তু তখন প্রতি মুহূর্তে আশঙ্কায় থাকতে হয় কখন সে ঘাড় থেকে ছুড়ে কাদামাটিতে ফেলে দেবে!

    জেনেশুনে কেন আমরা সেই ঝুঁকি নেব?

    মুহম্মদ জাফর ইকবাল : লেখক; অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
    এশিয়ান বাংলা

    Related Posts

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024

    লন্ডনে রাইটস অফ দ্যা পিপলস এর ভারতীয় হাইকিমশন ঘেরাও কর্মসূচি

    May 8, 2024

    লণ্ডনে জিবিএএইচআর এর ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    April 23, 2024

    Comments are closed.

    Demo
    Top Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 202493

    সেনা হত্যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা

    March 1, 202466

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 202441

    বাংলাদেশ নতুন নির্বাচনের দাবীতে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানব বন্ধন

    February 19, 202437
    Don't Miss

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    By এশিয়ান বাংলাOctober 18, 20242

    স্টাফ রিপোর্টার  টাওয়ার হ্যামলেটসের জন্য ইস্ট লন্ডন ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে (ইএলএফটি) তাদের পাবলিক গভর্নর হিসেবে রফিকুল…

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024
    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from SmartMag about art & design.

    Demo
    Facebook Twitter Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp TikTok
    © 2025 AsianBangla. Designed by AsianBangla.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Go to mobile version