এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক যোগাযোগ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিনিধি দল ও ভারতীয় নেতাদের মধ্যে টু+টু বৈঠকে ‘কমিউনিকেশনস কম্পিটেবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাগ্রিমেন্ট’ (কমকোসা) নামে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তির ফলে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে নিরাপত্তা ও সামরিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে এ চুক্তি বলে এখন থেকে ন্যাটো জোটের ছত্রচ্ছায়ায় থাকবে ভারত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এশিয়ার স্বার্থ সুরক্ষায় চীনকে দমাতেই ভারতকে সামরিকায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এক দিনের পাকিস্তান সফরের পর বুধবার নয়াদিল্লি পৌঁছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জয়েন্ট অব স্টাফের প্রধানসহ মোট ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। বৃহস্পতিবার টু+টু বৈঠকে অংশ নেন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। ভারতের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারমন। এ বৈঠকেই সামরিক যোগাযোগ সম্পর্কিত চুক্তিটি হয়। এর আওতায় উভয় দেশের সেনাবাহিনী একে অপরের সঙ্গে গোপনীয়তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। চুক্তিটি তিনটি বিষয় নিশ্চিত করবে। প্রথমত, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত কোনো বিমান কিনলে তাতে বিশেষ যোগাযোগ ডিভাইস স্থাপন করতে পারবে ওয়াশিংটন। আগের বিমানগুলোতে এ সুবিধা ছিল না। দ্বিতীয়ত, নয়াদিল্লি নজরদারি বা গুপ্তচরবৃত্তির জন্য উচ্চ প্রযুক্তির ডিভাইস এবং সশস্ত্র ড্রোন কিনতে পারবে। এবং তৃতীয়ত, ‘লিঙ্ক ১৬’ সংযোগের মাধ্যমে ন্যাটো জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। ফলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ন্যাটোর অন্য সদস্যদের মতো সমান সুবিধা পাবে। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নির্মলা জানান, এ বৈঠকের ফলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। মাইক পম্পেও জানান, চুক্তিটি একটি বড় অগ্রগতি।