asianbangla.com

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

    What's Hot

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    October 18, 2024

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024
    Facebook Twitter Instagram
    Trending
    • রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত
    • দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন
    • আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা
    • করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ
    • ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই : ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনাল 
    • লন্ডনে রাইটস অফ দ্যা পিপলস এর ভারতীয় হাইকিমশন ঘেরাও কর্মসূচি
    • লণ্ডনে জিবিএএইচআর এর ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ
    • বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণমানুষকে সোচ্চার হতে হবে
    Facebook Twitter Instagram
    asianbangla.comasianbangla.com
    Demo
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • বিশ্ব
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • কূটনীতি
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • সংস্কৃতি
    • উচ্চশিক্ষা
    • প্রবাস
    • মানবাধিকার
    • মতামত
    • সারা বাংলা
      • ঢাকা
      • চট্টগ্রাম
      • রাজশাহী
      • খুলনা
      • বরিশাল
      • ময়মনসিংহ
      • রংপুর
      • সিলেট
    asianbangla.com
    Home»জাতীয়»খালেদা জিয়াকে বাঁচান, এই নির্মমতা মেনে নেয়া যায় না
    জাতীয়

    খালেদা জিয়াকে বাঁচান, এই নির্মমতা মেনে নেয়া যায় না

    By এশিয়ান বাংলাSeptember 10, 2018No Comments0 Views
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    সৈয়দ আবদাল আহমদ : বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর বা হাত ও বা পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে। চোখেও প্রচন্ড ব্যথা। পরিবারের সদস্য ও চারজন সিনিয়র আইনজীবি কারাগারে পৃথকভাবে তাঁকে দেখে এসে এ খবর জানিয়েছেন। তারা জরুরী ভিত্তিতে বিশেষায়িত হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার আহবান জানিয়েছেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর কারাগারে বসানো আদালতে হুইল চেয়ারে করে তাঁকে উপস্থি করানো হলে –খালেদা জিয়া নিজেই বলেন- “ আমি ভীষন অসুস্থ। আপনারা মেডিক্যাল রিপোর্ট গুলো দেখেন। এভাবে বসে থাকলে আমার পা ফুলে যায়। আমি বার বার আদালতে আসতে পারব না। এখানে ন্যায় বিচার নেই। যা ইচ্ছা সাজা দিতে পারেন।”
    খুবই উদ্বেগজনক খবর। খালেদা জিয়ার এই শারিরীক পরিস্থিতিতে দলেন নেতা কর্মী ও দেশের মানুষ চিন্তিত এবং একই সঙ্গে বিস্মিত। নির্মম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি আজ কারাগারে। তাঁর প্রতি করা হচ্ছে চরম অন্যায়-অবিচার। ৭৩ বছর বয়সের জীবনে এসে দেশের এই প্রবীণ ও শীর্ষ রাজনীতিবিদ ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে সহ্য করছেন এই অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন। জনমানবহীন কারাগারের ভুতুরে পরিবেশের মধ্যে একটি স্যাঁতস্যাঁতে ভবনে তাঁকে রাখা হয়েছে।

    ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সালের দিনটিতে বেগম খালেদা জিয়া এক-এগারোর জরুরি সরকারের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু এই দিনে তিনি আর মুক্ত নন। ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিগত ৭ মাস ধরেই তিনি নিষ্ঠুর বন্দিজীবন অতিবাহিত করছেন। এমন অমানবিক আচরণ নেই যা তাঁর সঙ্গে করা হচ্ছে না। অসুস্থতায় চিকিৎসার সুযোগ থেকে তিনি বঞ্চিত। ঈদের দিনে পরিবার থেকে পাঠানো খাবারটুকুও পর্যন্ত তার ভাগ্যে জোটেনি। একজন সাধারণ বন্দি যে সুবিধা পায়, সেটাও পাচ্ছেন না বেগম খালেদা জিয়া।

    যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাগারে বন্দি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলা দুটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই দুদক করেছিল। এক এগারোর জরুরী সরকার দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে মইনাস করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শেখ হাসিনার সবগুলো মামলা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলো রেখে দেয়া হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা প্রায় দশ বছর স্থগিত ছিল। কিন্তু দু’বছর আগে হঠাৎ মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই সরকার সচল করে এবং দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে বলেন, যেখানে লেনদেনই হয়নি, সেখানে কী করে দুর্নীতি হয়? খালেদা জিয়াও আদালতে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন, এর তহবিল সংগ্রহ, ট্রাস্ট পরিচালনা এবং কোনো লেনদেনের সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি কখনো পদের প্রভাব খাটাননি। রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই অনুমান নির্ভর, কল্পিত অভিযোগে তাঁকে জড়ানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে কুয়েতের আমীরের ব্যক্তিগত অনুদান হিসেবে প্রায় ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আসে এতিম তহবিলের জন্য। তৎকালীন বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএসএম মোস্তাফিজুর রহমান এই টাকা আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে এতিম তহবিলের জন্য এই টাকা দিয়েছিলেন কুয়েতের আমীর। ওই টাকার অর্ধেক একটি চেকের মাধ্যমে বাগেরহাটে মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিষ্ঠিত জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টে দেয়া হয়। বাকি অর্ধেক টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দেয়া হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানে এ টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো ভূমিকা ছিল না। অথচ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁকেই এ মামলায় জড়ানো হয়।

    বেগম জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খানসহ আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি প্রমাণ পেশ করে বলেন ‘‘এই মামলায় দুদকের পক্ষে এতিম তহবিলের যে নথিপত্র জমা দেয়া হয়েছে তা হাতে লেখা, ঘষামাজা করা এবং স্বাক্ষরবিহীন। কোনো মূলনথি পাওয়া যায়নি। আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করেই ছায়ানথি সৃজন করা হয়েছে। মামলার ৩২ জন স্বাক্ষীর কেউই বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বলেননি। বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে করা এটি একটি সাজানো মামলা। তাছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকে দেয়া টাকা থেকে একটি পয়সাও তছরূপ হয়নি। বরং সোনালী ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা সেই টাকা এখন সুদাসলে প্রায় ৬ কোটি হয়েছে। তাছাড়া দুটি প্রতিষ্ঠানকে সমানভাবে ভাগ করে দুটি চেকে টাকা দেয়া হলেও মামলা হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে। এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। জাল নথিপত্র তৈরি করে মামলাটি করা হয়েছে। জাল নথিপত্র তৈরি করা অপরাধ। জাল নথিপত্র তৈরি ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছয়জন স্বাক্ষীর বরং শাস্তি হওয়া উচিত।’’

    কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতার হয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হয়। উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে জেলে যাওয়ার ২৫ দিনের মাথায় জামিন হলেও তাঁর মুক্তি মেলেনি। একের পর এক আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে আটকে দেয়া হয় তাঁর মুক্তি। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ৩৬টি মামলা সচল করে তাঁকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখনো হয়। আইনজীবীরা এসব মামলা নিয়ে গত সাত মাস ধরে একের পর এক আদালতের শরনাপন্ন হন। একটি মামলায় জামিন হলে অন্য মামলায় তাঁর মুক্তি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আইনি পথে খালেদা জিয়া শিগগিরই মুক্তি পাবেন কিনা আইনজীবীরা এখনো নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না। তারা বলছেন, যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়া কারাভোগ করছেন অর্থাৎ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, সেই মামলায় তিনি সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এ মামলায় জামিন পাওয়ার অর্থই হচ্ছে তিনি মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসবেন। অথচ সরকারের অবৈধ হস্তক্ষেপে কেবলমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলার জটিলতায় ফেলে তার মুক্তি আটকে দেয়া হচ্ছে। তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না। ৩৬টি মামলার মধ্যে ৩৪টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলার আদালতে জামিন শুনানি অপেক্ষায় রয়েছে। কী হয় আইনজীবীরা তারই প্রতীক্ষা করছেন। এরই মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটির শুনানি সম্পন্ন করে রায় দেয়ার জন্য তোড়জোর চালানো হয়েছে। সরকার কতটা প্রতিহিংসাপরায়ন তার উদাহরণ হচ্ছে গত ৪ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রনালয় নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারকে আদালত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটা চরম অন্যায়। সংবিধানের লংঘন। এটা বিচার নয়, ক্যামেরা ট্রায়াল। এটা বিচারের নামে প্রহসন।” কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ন সরকার ৫ সেপ্টেম্বর কারাগারের ভেতরই আদালত বসায়। এই শুনানীতে বেগম জিয়াকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে উপস্থিত করানো হয়। এর প্রতিবাদে আদালতে তার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন না। বেগম জিয়া আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমার আইনজীবীরা আসেননি জানলে আমিও আসতাম না। আমাকে জোর করে আনা হয়েছে। এখানে ন্যায়বিচার নেই। যত ইচ্ছে সাজা দিতে পারেন। আমি অসুস্থ। আমার মেডিক্যাল রিপোর্টগুলো এখানে জমা আছে। আপনারা দেখেন রিপোর্টে কী আছে, আমার অবস্থাটা কী রকম? বারবার আদালতে আসতে পারব না। এভাবে বসে থাকলে আমার পা ফুলে যায়।” নিষ্ঠুরতা কোন পর্যায়ে গেছে তাঁর এ বক্তব্যেই প্রমাণ করে। কারাগারের ভেতর আদালত বসানোর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। ইতোমধ্যে এ নিয়ে আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    গত ৬ সেপ্টেম্বর পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং ৭ সেপ্টেম্বর চারজন সিনিয়র আইনজীবি কারাগাওে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। তারা বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার যে চিত্র তুলে ধরেন তা খূবই মর্মান্তিক। এ খবর দলের নেতাকর্মী ও দেশের মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, সরকার কারাগারে বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে হত্যার হীন চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় সব দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। সাক্ষাতকারী আইনজীবিদের পক্ষ থেকে সুপ্রীম কোর্ট বারের সভাপতি এডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, আগে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, পরে বিচার। তিনি তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসা ও বিচার পাওয়ার তাঁর অধিকার রয়েছে।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জেলে যাওয়ার আগের দিন গুলশান কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেনি, কোনো দুর্নীতি করেনি।’’ বাংলাদেশের মানুষ দেশনেত্রীর এই কথা একশভাগ বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেননি, দেশের জন্য যে নেত্রী চরম ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, তিনি অন্যায় করতে পারেন না। তিনি জুলুমের শিকার হয়েছেন। বড় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আবারও একটি নির্বাচনী প্রহসন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার নীলনকশা হিসেবেই অবৈধ ক্ষমতাসীনরা খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। কারণ খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের পক্ষে এবার এই নীল নকশা বাস্তবায়ন তথা একতরফা নির্বাচনী প্রহসন করা সম্ভব হবে না।

    বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি কেন এই অমানবিকতা, কেন এই জুলুম? তিনিতো কোনো অপরাধ করেননি, কোনো অন্যায় করেননি। দেশকে তিনি প্রচ- ভালোবাসেন, দেশের জনগন তাঁকে প্রাণ উজার করে ভালোবাসে। এটাই কী তাঁর অপরাধ? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি বন্দিশিবিরে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে তার রয়েছে অবদান। তাঁর স্বামী শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও সেক্টর কমা-ার হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশ গঠনে অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন। এটাই কি তাঁর অপরাধ? বেগম জিয়া গনতন্ত্রের জন্য তার পুরো রাজনৈতিক জীবন ধরেই সংগ্রাম করছেন, এরশাদ স্বৈরাচারকে হঠিয়ে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন, দেশের দায়িত্বে এসে উন্নয়নে নিরলস ভূমিকা রেখেছেন এবং বর্তমানেও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই কি তাঁর অপরাধ? আজ তাঁর মতো একজন দেশপ্রেমিক নেত্রীকে এভাবে জেলে বন্দি করে তাঁর প্রতি চরম জুলুম করার পাশাপাশি গনতন্ত্রকেও আজ বন্দি করা হয়েছে।

    বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের এক অনন্য প্রতিষ্ঠানের নাম। আগেই বলেছি তার আপোষহীন আন্দোলনের কারণেই নব্বুইয়ের স্বৈরশাসনের অবসান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। সংসদে বিল এনে তিনিই সংসদীয় গণতন্ত্র ও সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনেন। যমুনা সেতুর মতো বড় বড় উন্নয়ন কাজের সিংহভাগই হয়েছে তার হাতে। তিনিই দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দু’বার সার্কের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বিপ্লব ঘটেছে সেটা তারই অবদান। তিনি দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। বাংলাদেশের সামাজিক খাতের উন্নয়ন, সামাজিক সূচকগুলোর ভালো রেকর্ডের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অতুলনীয়। খালেদা জিয়ার দৃঢ় মনোভাবের কারণেই এক-এগারোর মঈন-ফখরুদ্দিনের জরুরি সরকার জরুরি আইন তুলে নিয়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রের ব্যাপারে জনগণের প্রধান আশ্রয়স্থল খালেদা জিয়া। আজ তাঁকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করে দিয়ে, নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ষড়যন্ত্র করে, ৩৮টি মামলায় হয়রানী করে, এবং জেলে বন্দি রেখে ক্ষমতাসীনরা আবার নির্বাচন হাইজ্যাক করার ষড়যন্ত্র করলে তার পরিণাম শুভ হবে না, সেটা বুমেরাং হতে বাধ্য। জেলে যাওয়ার আগে এবং জেলের ভেতর থেকে সাক্ষাতকারী নেতৃবৃন্দ ও আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি বলেছেন, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্যে, দেশের স্বার্থে তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করছেন। তিনি গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসী ও নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতেও তিনি আহ্বান জানান। সেই ঐক্য হতে যাচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে জনতার ঢল নেমেছিল। গনতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে জনগন আর জেলে দেখতে চায় না। তাঁকে মুক্ত করে অবিলম্বে তাঁর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ বৃথা যাবে না। সুফল নিয়েই তিনি জেল থেকে মুক্ত হবেন। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হবে দেশের গনতন্ত্র।

    লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাতীয় প্রেসক্লাব

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
    এশিয়ান বাংলা

    Related Posts

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    October 18, 2024

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024

    Comments are closed.

    Demo
    Top Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 202493

    সেনা হত্যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা

    March 1, 202466

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 202441

    বাংলাদেশ নতুন নির্বাচনের দাবীতে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানব বন্ধন

    February 19, 202437
    Don't Miss

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    By এশিয়ান বাংলাOctober 18, 20242

    স্টাফ রিপোর্টার  টাওয়ার হ্যামলেটসের জন্য ইস্ট লন্ডন ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে (ইএলএফটি) তাদের পাবলিক গভর্নর হিসেবে রফিকুল…

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024
    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from SmartMag about art & design.

    Demo
    Facebook Twitter Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp TikTok
    © 2025 AsianBangla. Designed by AsianBangla.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Go to mobile version