স্টাফ রিপোর্টারঃ
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মিথ্যাচার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন। এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে সন্দেহের ফানুস তৈরি করার অপচেষ্টা হচ্ছে। নির্বাচন কি হবে? এ প্রশ্ন সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত হলো গুজব উৎপাদনের সংগঠিত কারখানা। গুজব রটনাকারীদের কালো থাবা থেকে সামাজিক মাধ্যমকে রক্ষা করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে তথ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গুজব: গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গুজবের অপসংস্কৃতি অনেক পুরোনো। যারা সাম্প্রদায়িক বোমার মালিক, তারাই গুজব রটনার মালিক। গুজব নিরসনে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। গুজব শনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্র করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, গুজব প্রতিরোধে সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে দিতে হবে। গণমাধ্যমকে আস্থায় নিতে হবে। না হলে গুজব নিরসন হবে না।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, গুজব তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য লন্ডন থেকে জামায়াত-শিবির অর্থায়ন করছে। সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের খেলা শুরুতেই শেষ করে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান উদ্বেগ, তথ্যের অস্বচ্ছতা, কোনো তথ্যের গুরুত্ব ও বিশ্বাসযোগ্য উৎস না থাকার কারণে গুজব ছড়ায়।জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে মানুষ বিকল্প পথ খুঁজে নেয়। তাই তথ্য প্রবাহে বাধা দেওয়া ঠিক নয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা বলেন, ‘গণমাধ্যমকে যত বেশি নিয়ন্ত্রণ করবেন, তত বেশি গুজব ছড়াবে। তাই গণমাধ্যমের কাজ করার সুযোগ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া গুজব ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৃত তথ্য জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামরুন নাহার। বক্তব্য দেন তথ্যসচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।