এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবের নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। তৃতীয় দিনের মাথায় মঙ্গলবার বিদ্রোহী অধ্যুষিত বিভিন্ন শহরে বিরামহীন বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ ও সরকারি বাহিনী। এদিন ৯টি শহরকে টার্গেট করে প্রায় ৭০ ব্যারেল বোমা ফেলেছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন। জীবন বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার অধিবাসী।
সোমবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, নতুন করে অভিযান শুরুর পর ইদলিব থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে এ অভিযান অব্যাহত থাকলে আরও আট লাখ বেসামরিক বাসিন্দা পালিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দফতর (ওসিএইচএ)। এতে একুশ শতকের সবচেয়ে ‘শোচনীয় মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি’ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ওসিএইচএ-র প্রধান মার্ক লোকক।
ইদলিবে অস্ত্রবিরতি নিয়ে শুক্রবার তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টত্রয়ের এক বৈঠক ব্যর্থ হয়। এরপর সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ফের প্রদেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে। ওসিএইচএ-র মুখপাত্র ডেভিড সোয়ানসন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রোববার পর্যন্ত ৩০,৫৪২ জন বাস্তুচ্যুত হয়ে ইদলিবের অন্যান্য এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব ও সংলগ্ন লাতাকিয়া, হামা ও আলেপ্পো প্রদেশের ছোট কয়েকটি অংশে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বাস। এদের অর্ধেকই সিরিয়ার অন্যান্য অংশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। পরিবারসহ পালাচ্ছিলেন ইদলিবের অধিবাসী আবু জসিম। পথে এএফপিকে তিনি বলেন, খান শেইখৌন শহর থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে তার পরিবার। তিনি বলেন, তারা আমাদের এলাকায় রকেট হামলা চালাচ্ছে। তাই দলবেঁধে পালিয়ে যাচ্ছি আমরা।’