এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শিগগিরই নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূর। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ৪০তম বিসিএস’র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। দুপুরের পর সরকারি কর্ম কমিশন ৪০তম বিসিএস’র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে সর্বশেষ বিদ্যমান কোটার আলোকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়।
বিকালে নূরুল হক নূর বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে সরকার যেহেতু একটা প্রসেসিংয়ের মধ্যে ছিল আমরাও ভেবেছিলাম সরকার ছাত্রদের দাবির আলোকে প্রজ্ঞাপন দেবে। এজন্য আমরা চেয়েছিলাম কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের পর বিসিএস’র সার্কুলার দেয়া হোক। কিন্তু আমরা দেখলাম যে, সার্কুলার দিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে সরকার কোটা সংস্কারের ব্যাপারে লোক দেখানো কাজ করছে।
আন্তরিকতা থাকলে এতদিনে প্রজ্ঞাপন হয়ে যেতো। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, আমরা অত্যাচার নির্যাতন জেল জুলুম সহ্য করে ছাত্র সমাজের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ জন্য আমরা বসে খুব শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
ওদিকে সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন ৪০তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তির আগেই জারি করার দাবি জানান। তিনি বলেন, সরকারের অনাগ্রহ ও উদাসীনতা যদি প্রজ্ঞাপন জারি আটকে রাখে তবে ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমেই দাবি আদায় করতে বাধ্য হবে।
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট ঘোষণার দীর্ঘ পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও আজ অবধি কোটা সংস্কারের কাঙ্ক্ষিত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ছাত্র সমাজ হতাশ ও বিক্ষুব্ধ। এ সময় পাঁচ দফার আলোকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করে তিনি ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে- ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক সকল মামলা প্রত্যাহার করা; হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন দেয়া।