এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : প্রেসিডেন্টের ছেলের সঙ্গে বিবাদের জেরে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইউসেফ চাহেদ ক্ষমতাসীন দল নিদা তুনেস পার্টির সদস্যপদ খুইয়েছেন। অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে দলের নেতা হাফেদ কায়িদ এসেবসির সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই শুক্রবার চাহেদের সদস্যপদ নিয়ে এ সিদ্ধান্ত এল। খবর রয়টার্সের।
হাফেদ তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বাজি কাইদ এসেবসির ছেলে। জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট বাজি প্রধানমন্ত্রীর ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিলেন। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে চাহেদ ক্ষমতাসীন দলকে ধ্বংস করতে প্রেসিডেন্টের ছেলে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। তার অভিযোগ, দলের সংকট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলছে।
শুক্রবার নিদা তুদেসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দল চাহেদের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ হাফেদ এর আগে অর্থনীতির পুনর্জাগরণ ঘটতে ব্যর্থ হওয়ায় চাহেদকে উৎখাতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কার প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্টের ছেলের আহ্বানে সমর্থন জানিয়েছিল তিউনিসিয়ার রাজনীতিতে প্রভাবশালী শ্রমিক ইউনিয়ন ইউজিটিটিও। তবে মধ্যপন্থী ইসলামী দল এন্নাহদা পার্টি হাফেদের আহ্বান উড়িয়ে দিলে চাহেদ প্রধানমন্ত্রী পদে উতরে যান।
অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদায় তিউনিসিয়ার স্থিতিশীলতায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করেছিল এন্নাহদা। জুলাইয়ে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বাজি কাইদ এসেবসি প্রধানমন্ত্রীর ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে তাকে হয় পদত্যাগ না হয় পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মোকাবেলা করতে বলেছিলেন।
২০১১ সালে স্বৈরশাসক জিনে আল আবেদিন বেন আলীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত যে আরব বসন্তের সূচনা হয়েছিল তার পরিণতিতে কেবল উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতেই এখনো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বজায় আছে। সাত বছর আগের ওই আরব বসন্তের ঢেউয়ে সিরিয়া ও লিবিয়ায় প্রাণঘাতী সহিংসতার সূচনা হয়েছিল।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বেন আলীর ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে তিউনিসিয়ার নয়টি মন্ত্রিসভার সবগুলোই মূল্যস্ফীতি, বেকারত্বসহ অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে।