এশিয়ান বাংলা স্পোর্টস : ক্রিকেটের পরম প্রার্থনীয় দ্বৈরথগুলোর মধ্যে ভারত-পাকিস্তান মহারণের অবস্থান তর্কাতীতভাবেই শীর্ষে।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ এখনও মহারণের মর্যাদা না পেলেও ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এ দু’দলের লড়াই যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠেছে।
মাঠ ও মাঠের বাইরে কথার ঝাঁজ ও উত্তেজনার রসদের কোনো কমতি থাকে না। এর পেছনে বড় ভূমিকা আছে মেলবোর্নে ২০১৫ বিশ্বকাপের সেই অগ্নিগর্ভ কোয়ার্টার ফাইনালের। যে ম্যাচে চরম বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের বলি হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ম্যাচে ভারতের অন্যয় সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় মিডিয়ার ‘মওকা, মওকা’ স্লোগান আগুনে ঢেলেছিল ঘি।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে উত্তেজনা আমদানিতে দ্বিতীয় অনুঘটক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সমীহ জাগানো দল হয়ে ওঠা। ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশকে হারানোর দিন শেষ হয়ে যাওয়ায় ভারতও এখন এই ম্যাচের আগে চাপে থাকে। পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়, ক্রমেই কমে আসছে দু’দলের ব্যবধান।
সবমিলিয়ে দু’দলের ৩৩ ওয়ানডেতে ভারতের ২৭ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র পাঁচটি। কিন্তু এই পাঁচ জয়ের দুটিই এসেছে শেষ চার ম্যাচে। ব্যবধানটা আরও কমিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়েই আজ দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
শ্রীলংকাকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করা বাংলাদেশকে টানা দুই দিনে খেলতে হচ্ছে দুটি ম্যাচ। অবশ্য হঠাৎ সূচি বদলে যাওয়ায় কাল আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের গ্র“পপর্বের শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছিল নিছক মর্যাদার লড়াইয়ে।
প্রথম ম্যাচে চোটের থাবায় ছিটকে যাওয়ার পর গুরুত্বহীন এই ম্যাচে বড় দুই অস্ত্র মুশফিকুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রামে রেখেছিল বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে দু’জনেরই রেকর্ড দুর্দান্ত। দুবাইয়ে আজ তাদের কাছে দলের প্রত্যাশা থাকবে বিশেষ কিছুর। প্রথমবারের মতো এশিয়ার রাজা হওয়ার স্বপ্নপূরণে এই ম্যাচটিই হতে পারে বাঁক বদলের প্রথম ধাপ।
ভারতকে হারাতে পারলে ফাইনালের বন্ধুর পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে যাবে। সুপার ফোরে চার দলই একবার করে পরস্পরের মুখোমুখি হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিত। আর তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলে ফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত।
কিন্তু আজ হারলে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাড়তি চাপ নিয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ধারে-ভারে ভারত এগিয়ে থাকলেও রোহিত শর্মাদের অজেয় ভাবার কোনো কারণ নেই।
গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিলেও প্রথম ম্যাচে পুঁচকে হংকংকে হারাতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল ভারতের। তার ওপর চোটের থাবায় টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন ভারতের বড় ভরসা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। এই সুযোগটা নিতে আজ সাহসী ক্রিকেট খেলতে হবে মাশরাফিদের। প্রতিপক্ষ যখন ভারত, বাড়তি অনুপ্রেরণার দরকার হবে না।