এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিমতীরের যাযাবরদের গ্রাম খান আল আহমারের অধীবাসীদের আগামী পহেলা অক্টোবরের মধ্যে অন্যত্র চলে যেতে বলেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।
এর আগে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের নির্মিত বেশ কয়েকটি ছাউনি ভেঙে ফেলেছিল ইহুদি রাষ্ট্রটির সেনারা। দেশটি ওই গ্রামটি ধ্বংস করে সেখানে ইহুদি বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনাও কুড়িয়েছে।
গ্রামটি ধ্বংসের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান প্রতিবাদ করতে ছাউনি বানিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন তারা। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী গ্রামটিতে এসে নতুন করে নির্মিত ছাউনিগুলো ভেঙে ফেলে।
দুই শতাধিক অধিবাসীর গ্রাম খান আল আহমার এখন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
জেরুজালেম থেকে পশ্চিমতীর হয়ে মৃতসাগরের দিকে যাওয়া ইসরাইলের একটি মহাসড়কের পাশে খান আল আহমার গ্রামটির অবস্থান।
অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল গ্রামটি ধ্বংস করে সেখান অধিবাসীদের তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। গ্রামটির অধিবাসীরা ছাগল ও ভেড়া পুষে জীবিকা উপার্জন করেন।
বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, গ্রামটি ধ্বংস করে দিলে তা সেখানকার অধিবাসীদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে ও শান্তির সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যাবে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একজন যোগাযোগ কর্মকর্তা বলেন, গ্রামটি কবে ধ্বংস করা হবে, এখনো সেই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
রোববার সকালেই ইহুদি সেনারা গ্রামবাসীর হাতে চিঠি ধরিয়ে জানায়, আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে। তারা যদি নিজেদের বসতবাড়ি নিজেরা ধ্বংস না করেন, তবেই ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তা মাটিতে মিশিয়ে দেবে।
তবে ফয়সাল আবু দাহুক নামের এক গ্রামবাসী বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় গ্রাম ছাড়ব না। দখলদার বাহিনীর অস্ত্র ও সেনা আছে। তারা জোর করে আমাদের তাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। কাজেই আমরা অন্যকোথাও যেতে পারব না।