এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের। পরিণতির তোয়াক্কা না করেই পুলিশ অপহরণ মিশনে নেমেছে বিদ্রোহীরা। কর্মকর্তা থেকে কনস্টেবল- কাউকেই রেহাই দিচ্ছে না। এককথায়, বিদ্রোহীদের ভয়ঙ্কর টার্গেটে পরিণত হয়েছে পুলিশ। বাদ যাচ্ছে না তাদের আত্মীয়স্বজনও। কাউকে হত্যা করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হাসিল হলে আবার ছেড়েও দেয়া হচ্ছে অনেককে। ‘চাকরি ছাড় নতুবা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ কর’ এই স্লোগানে পুলিশের বিরুদ্ধে নিমেছে বিদ্রোহীরা। মূলত বিদ্রোহীদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনকে আটকের প্রতিশোধেই পুলিশের ওপর এমন মারমুখী হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সোমবার আলজাজিরার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কাশ্মীরে এখন অপহরণ, গুম ও হত্যার খেলায় মেতেছে পুলিশ ও বিদ্রোহীরা। গত এক মাসের মধ্যে চলতি সপ্তাহেই দ্বিতীয়বারের মতো পুলিশ অপহরণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মুর সোপিয়ান থেকে তিন স্পেশাল পুলিশ কর্মকর্তা (এসপিও) এবং এক কনস্টেবলকে অপহরণ করে বিদ্রোহীরা। পরদিন সকালেই তাদের তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ছেড়ে দেয়া হয় একজনকে। এর মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ কাশ্মীরে তিন পুলিশ কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের পরিবারের ১১ সদস্যকে অপহরণ করে বিদ্রোহীরা। অতীতে কাশ্মীরে পুলিশ অপহরণের ঘটনা কম ঘটলেও সম্প্রতি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছে ৩৭ পুলিশ। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩২। একদিকে সেখানে ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দমন-পীড়ন চলছে। অন্যদিকে বিদ্রোহী পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে আরও বেশি বেশি টার্গেট করছে। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক অডিও বার্তা ছাড়েন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার রিয়াজ নাইকু। পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ তিনি বলেন, ‘তোমরাই তোমাদের স্বজনদেরকে অপহরণ করতে বাধ্য করছ। তোমরা যখন আমাদের পরিবারকে হয়রানি কর, তখন আমাদের যেমন লাগে, তোমরা যাতে সেটা বুঝতে পার সেজন্য তোমাদের স্বজনদের অপহরণ করা হবে।’ বার্তায় হুমকি দেয়া হয়েছিল, ‘ইস্তফা দিন, নয়তো মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকুন।’