এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : হাজার বছর আগের কথা। সাভানা ও মাদাগাস্কারের বৃষ্টিঅরণ্যে তখনও দেখা মিলত বিশালাকার পাখি ‘এলিফ্যান্ট বার্ড’ বা ‘অ্যাপিওরনিস ম্যাক্সিমাস’-এর। ছয় কোটি বছরের বাস ছিল তাদের। কিন্তু মানুষের শিকার হতে হতে একসময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নিরীহ পাখিটি। এরা আকারেই বড় হলেও লড়তে জানত না। ফরাসি বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাখি। যদিও ১৮৯৪ সালেই ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন ‘অ্যাপিওরনিস ম্যাক্সিমাস’-এর চেয়ে বড় ছিল ‘অ্যাপিওরনিস টাইটান’। বিজ্ঞানী সিডব্লিউ অ্যান্ড্র–র দাবি ছিল, টাইটানই সবচেয়ে বড় পাখি। কিন্তু ফরাসি প্রতিপক্ষরা বলতে থাকেন, একটু বড়োসড়ো চেহারার ম্যাক্সিমাসকেই নতুন নাম দিয়ে ‘টাইটান’ বলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকে। সেই সঙ্গে পাখিটির কঙ্কাল, ডিমের জীবাশ্ম সংগ্রহ করে চলতে থাকে গবেষণাও। দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
বুধবার ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করলেন, এলিফ্যান্ট বার্ডের অন্য একটি প্রজাতি আকারে আরও বড় ছিল। সেটির ওজন ছিল প্রায় ৮৬০ কিলোগ্রাম, যা প্রায় একটা জিরাফের সমান। ‘জুলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন’-এর প্রধান বিজ্ঞানী জেমস হ্যান্সফোর্ড বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ একটি আলাদা প্রজাতি। নাম রাখা হয়েছে ‘ভোরোম্বে টাইটান’। অন্তত তিন মিটার, অর্থাৎ ১০ ফুট উচ্চতা। ওজন গড়ে ৬৫০ কেজি। তবে যে হাড়গুলো মিলেছে, তা থেকে অনুমান করা যায়, কিছু পাখির ওজন ৮৬০ কেজিও ছিল। এখন পর্যন্ত এটি সবচেয়ে বড় পাখি।’ হ্যান্সফোর্ডের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্সে।