এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মানজনক নাগরিকত্ব প্রত্যাহারে একমত হয়েছে কানাডীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে এমপিরা এই বিষয়ে একমত হন। নিপীড়ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়া সু চির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন কানাডীয় এমপিরা।
গত বছরের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের আলামত পেয়েছে। একে গণহত্যার শামিল বলেছে জাতিসংঘ। মিয়ানমারে সেনা অভিযানের বিষয়ে নীরব থাকায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মুখে পড়েন দেশটির ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চি। ওই নীরবতার অভিযোগে এরই মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন তাকে দেওয়া সম্মাননা বাতিল করেছে।
মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবদান রাখার জন্য ১৯৯১ সালে নোবেল পুরস্কার পান অং সান সু সু চি। ২০০৭ সালে তাকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দেয় কানাডা। মাত্র ছয়জনকে এই সম্মান দিয়েছে তারা।
একদিন আগেই কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, তারা খতিয়ে দেখছেন যে সু চি কানাডীয় সম্মানজনক নাগরিকত্বের যোগ্য কি না। তবে এতে করে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দূর হবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
কানাডার এই নাগরিকত্ব দিতে হলে পার্লামেন্টের দুই কক্ষেরই অনুমোদন লাগে। প্রত্যাহারের ক্ষেত্রেও নিয়ম একই। লিবারেল এমপি অ্যান্ড্রু লেসলি সাংবাদিকদের বলেন, পরবর্তী ধাপগুলো এখন আর পরিষ্কার না। বিষয়টি নিযে আরও আলোচনা চলবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞকে ‘হত্যাযজ্ঞ’ বলার ক্ষেত্রে একমত হয়েছিলেন এমপিরা।