asianbangla.com

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

    What's Hot

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    October 18, 2024

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024
    Facebook Twitter Instagram
    Trending
    • রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত
    • দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন
    • আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা
    • করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ
    • ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই : ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনাল 
    • লন্ডনে রাইটস অফ দ্যা পিপলস এর ভারতীয় হাইকিমশন ঘেরাও কর্মসূচি
    • লণ্ডনে জিবিএএইচআর এর ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ
    • বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণমানুষকে সোচ্চার হতে হবে
    Facebook Twitter Instagram
    asianbangla.comasianbangla.com
    Demo
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • বিশ্ব
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • কূটনীতি
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • সংস্কৃতি
    • উচ্চশিক্ষা
    • প্রবাস
    • মানবাধিকার
    • মতামত
    • সারা বাংলা
      • ঢাকা
      • চট্টগ্রাম
      • রাজশাহী
      • খুলনা
      • বরিশাল
      • ময়মনসিংহ
      • রংপুর
      • সিলেট
    asianbangla.com
    Home»অর্থনীতি»নির্বাচনী চাপে অর্থনীতি
    অর্থনীতি

    নির্বাচনী চাপে অর্থনীতি

    By এশিয়ান বাংলাSeptember 29, 2018No Comments0 Views
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চাপে পড়েছে দেশের সার্বিক অর্থনীতি। নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্তও হয়ে উঠেছে। এসব মিলে উদ্যোক্তারা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের অনেকেই নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। রফতানির যেসব আদেশ রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করছেন। বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদাও কিছুটা কমে গেছে।

    এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ও প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে টাকা ছাড়ের বিপরীতে সরকার অর্থছাড় করতে পারছে না। অর্থ সংকটে ঋণের বোঝা বাড়ছে। আবার বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়লেও কমে যাচ্ছে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। ওদিকে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের তুলনায় কমে গেছে আয়ের পরিমাণ। সব মিলিয়ে নির্বাচনী অর্থনীতির নতুন এ সমীকরণে নানামুখী সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।

    নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে টাকা ছাড়পত্র অনুমোদনের হিড়িক পড়েছে। যে হারে টাকা ছাড়ের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে, সে হারে সরকারের হিসাবে অর্থের সংস্থান নেই। ফলে ওইসব টাকার জোগান দিতে সরকারকে ভর করতে হচ্ছে ঋণের ওপর। এসব অর্থের বেশির ভাগই যথাযথভাবে ব্যয় না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    এদিকে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাড়তি খরচ মেটাতে বাজারে ব্যাংকবহির্ভূত টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই কালো টাকা। এই টাকার প্রভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এরই মধ্যে দেশের অর্থনীতি কিছু বিশেষ সহ্য ক্ষমতা অর্জন করেছে। যে কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আন্তর্জাতিক প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। একইভাবে নির্বাচনী চাপ মোকাবেলা করে ভোটের পর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তারা আশাবাদী।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়েছে, কিন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে গেছে। বেড়ে গেছে সরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ। রেমিটেন্স ও রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধির হার কমে গেছে। আমদানি ব্যয় গত অর্থবছর পর্যন্ত বেড়ে এখন কমতে শুরু করেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগেও চলছে মন্দা। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে সরকারের চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়ে যাচ্ছে, যা মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে, বাড়িয়ে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতির চাপ।

    রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশে বৈদেশিক অনুদানের প্রবাহ বেড়ে গেছে। এগুলোর বেশির ভাগই অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলোর প্রভাবে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাচ্ছে। এগুলোও মূল্যস্ফীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে। এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন এলে অর্থনীতিতে একটু চাপ বাড়ে। এবারের নির্বাচন কেন্দ্র করে এখনও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। যে কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটু নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে একটু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের পরও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার নিরসন না হলে অর্থনীতিতে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে।

    বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নির্বাচনের কারণে রফতানির অর্ডারগুলো দ্রুত সরবরাহ করতে কাজ করছি। আর নতুন প্রকল্পে হাত দেয়ার কাজ আপাতত বন্ধ আছে। নির্বাচন হোক, পরিস্থিতি দেখি, তারপর সিদ্ধান্ত নেব। এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, অর্থনৈতিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব পড়বে না।

    বাজারে টাকার প্রবাহ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়েছিল ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে। গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশে। অর্থাৎ বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ছে। কিন্তু এই টাকার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়ছে না। বাড়ছে সরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ। ফলে সরকার ঋণ নিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি সংশ্লিষ্ট কাজে খরচ করছে। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কম বলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

    দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়েছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। জুলাইয়ে অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের এক মাসেই তা বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে গত অর্থবছরে ঋণপ্রবাহ বেড়েছিল ছিল ১৭ শতাংশ। গত জুলাইয়ে ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অর্থাৎ বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির হার কমে গেছে। সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে তা কমে হয়েছে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে তা আবার বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের তুলনায় আয়ের পরিমাণ কমে গেছে। ফলে চলতি হিসাবে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকারের চলতি হিসাবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৪২৬ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১৩৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এই ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে হয়েছে ৯৭৮ কোটি ডলার। গত জুলাইয়ে এ খাতে ঘাটতি হয়েছে ২৮ কোটি ডলার। রফতানি আয়, রেমিটেন্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ খাতে প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় এবং আমদানি খাতে এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ব্যয় বেশি হওয়ায় এ খাতে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘাটতি টাকার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। চাপে রাখছে মূল্যস্ফীতিকে।

    প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ গত অর্থবছরের জুলাই, আগস্ট- এ দুই মাসে বেড়েছিল ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির হার প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। রেমিটেন্স দুই মাসের গড় হিসাবে বাড়লেও আগস্টে কমে গেছে। গত অর্থবছরের আগস্টে রেমিটেন্স বেড়েছিল ২০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের আগস্টে না বেড়ে বরং কমেছে শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ।

    চলতি অর্থবছরের দুই মাসে গড় হিসাবে রফতানি বাড়লে আগস্টে কমে গেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে রফতানি আয় বেড়েছিল ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হার ৬ গুণেরও বেশি কমেছে। এদিকে গত বছরের আগস্টের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে এ আয় কমে গেছে। গত অর্থবছরের আগস্টে রফতানি আয় বেড়েছিল ১০ দশমকি ৭১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের আগস্টে আয় কমেছে ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

    আমদানি ব্যয় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেড়েছিল ৬ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়েছিল ৯ শতাংশ। গত অর্থবছরে বেড়েছে ২৫ দশমকি ২৩ শতাংশ। গত জুলাইয়ে বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, আমদানির আড়ালে টাকা পাচার হচ্ছে। কেননা যেভাবে আমদানি হচ্ছে, সেভাবে শিল্প উৎপাদন বাড়ছে না।

    বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং আয় কমে যাওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এর আগে রিজার্ভ ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত ৩০ জুন ছিল ৩ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। ১৯ সেপ্টেম্বর এটি ৩ হাজার ১৮৮ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।

    এদিকে ১২ মাসের গড় হিসাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। গত বছরের আগস্টে এ হার ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। আগস্টে এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে অর্থাৎ গত বছরের আগস্টের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে এ হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত বছরের এ সময়ে ছিল ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গ্রামে টাকার প্রবাহ কমে গেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে কৃষি ও অকৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বকেয়াসহ আদায় হয়েছিল ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ২ হাজার ৯০ কোটি টাকা। বকেয়াসহ আদায় হয়েছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঋণ আদায় একই অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু বিতরণ কম হয়েছে। এতে গ্রামে টাকার প্রবাহ কম যাচ্ছে। কিন্তু গ্রাম থেকে টাকা চলে আসছে।

    শিল্প খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মেয়াদি ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল ৬৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিতরণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ শিল্প খাতেও মেয়াদি ঋণ বিতরণের পরিমাণ কমেছে।

    গত অর্থবছরের জুলাইয়ে রাজস্ব আদায় বেড়েছিল ৩৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই মাসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। রাজস্ব আদায় কমলেও সরকারের খরচ কমেনি। এখন খরচের টাকার জোগান দেয়া হচ্ছে ঋণ করে।

    উল্লেখ্য, এর আগে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রায় সব জাতীয় নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। এতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এরশাদ সরকারের পুরো সময়টাই গেছে রাজনৈতিক উত্তেজনায়। সে কারণে ১৯৮৬ সালের ৭ মে এবং ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল বেশ উত্তপ্ত। ১৯৯১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হলেও এর আগে ৯০ সালের শেষদিকে আন্দোলন ছিল তুঙ্গে। যে আন্দোলনে এরশাদের পতন হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৯৫ সালেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

    এর মধ্য দিয়েই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে সংবিধানের আওতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একই বছরের ১১ জুন আবার সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় শান্তিপূর্ণভাবে। ২০০১ সালের অক্টোবরে নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও ২০০৬ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০০৫ সাল থেকেই পরিস্তিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ২০০৭ সালের ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই সরকারের পুরো সময়েই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে-পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল বেশ উত্তপ্ত।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
    এশিয়ান বাংলা

    Related Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    খালেদা জিয়া ও ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি

    February 22, 2023

    তারকে রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতটা প্রয়োজন ?

    November 20, 2022

    Comments are closed.

    Demo
    Top Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 202493

    সেনা হত্যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা

    March 1, 202466

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 202441

    বাংলাদেশ নতুন নির্বাচনের দাবীতে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানব বন্ধন

    February 19, 202437
    Don't Miss

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    By এশিয়ান বাংলাOctober 18, 20242

    স্টাফ রিপোর্টার  টাওয়ার হ্যামলেটসের জন্য ইস্ট লন্ডন ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে (ইএলএফটি) তাদের পাবলিক গভর্নর হিসেবে রফিকুল…

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024
    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from SmartMag about art & design.

    Demo
    Facebook Twitter Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp TikTok
    © 2025 AsianBangla. Designed by AsianBangla.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Go to mobile version